বাংলাদেশি নারীদের সঙ্গে বিয়েতে সতর্ক করল চীনা দূতাবাস

- আপডেট সময় ১১:৩১:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
- / 9
বাংলাদেশি নারীদের সঙ্গে বিবাহের বিষয়ে নিজেদের নাগরিকদের সতর্ক করেছে ঢাকায় অবস্থিত চীনা দূতাবাস। ২৫ মে (রোববার) রাতে দূতাবাসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। খবরটি প্রথম প্রকাশ করে গ্লোবাল টাইমস।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীনা নাগরিকদের বিদেশিদের সঙ্গে বিয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই নিজ দেশের আইন কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়, বৈধতার বাইরে কোনো ধরনের বিয়ের দালালি বা বাণিজ্যিক এজেন্টের মাধ্যমে বিবাহে জড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
দূতাবাসের বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, চীনা নাগরিকদের আন্তঃসীমান্ত প্রেম বা ডেটিং সংক্রান্ত অনলাইন কনটেন্ট দ্বারা প্রভাবিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে, বাংলাদেশি নারীদের সঙ্গে বিবাহের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিষয়টি ভালোভাবে চিন্তা করে এগোনোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
চীনের আইনে কোনো বিয়ের সংস্থা আন্তর্জাতিকভাবে বিয়ের দালালি করতে পারে না। কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে প্রতারণা বা লাভের উদ্দেশ্যে এমন কার্যক্রম পরিচালনা করে, সেটিও আইনগতভাবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
বিবৃতিতে চীনা নাগরিকদের অনুরোধ করা হয়েছে, কেউ যদি এই ধরনের প্রতারণার শিকার হন, তাহলে যেন দ্রুত চীনের জননিরাপত্তা বিভাগে অভিযোগ করেন।
এছাড়া, দূতাবাস সতর্ক করে জানায়, বাংলাদেশ মানবপাচারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ফলে যদি কোনো চীনা নাগরিক বাংলাদেশি নারীর সঙ্গে অবৈধভাবে বিবাহে জড়ান, তবে তাকে মানবপাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, মানবপাচারের অপরাধে সাত বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড এবং ন্যূনতম ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। এছাড়া, যাঁরা এই কাজে উসকানি দেন বা সহায়তা করেন, তাঁদের তিন থেকে সাত বছর কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে।
দূতাবাস আরও উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশে বিচারিক প্রক্রিয়া দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে। কেউ যদি মানবপাচারের মামলায় গ্রেপ্তার হন, তবে তদন্ত থেকে শুরু করে রায় পর্যন্ত দীর্ঘ সময় লেগে যেতে পারে, যা ব্যক্তিগত জীবন, পরিবার ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় গুরুতর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এই সতর্কবার্তাটি বাংলাদেশে অবস্থানরত কিংবা বাংলাদেশে আসতে আগ্রহী চীনা নাগরিকদের উদ্দেশে জারি করা হয়েছে।