ঢাকা ০৯:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নতুন সংবিধানের দাবিতে মাঠে নেমেছি : নাহিদ ভূরুঙ্গামারীতে বিদ‍্যুৎস্পৃষ্টে দ্বিতীয় শ্রেনির শিক্ষার্থীর মৃত্যু বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে বিএসএফ’র মারধর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প একনেকে অনুমোদন আশানুরূপ উন্নতি হয়নি আইনশৃঙ্খলার : রিজভী জাতিসংঘ মানবাধিকার রক্ষায় কার্যকর ভাবে কাজ করতে চায় : ফরিদা আখতার হাতিয়ায় বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত আওয়ামীলীগের চৌদ্দগোষ্ঠীরও ক্ষমতা হবে না আমাদের কেনার : তাজুল ইসলাম মসজিদের বারান্দা নির্মাণ নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ-বাড়িঘর ভাঙচুর, ১৪৪ ধারা জারি ফিলিস্তিন সংকট নিয়ে সম্মেলনে,যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

অর্থনীতিবিদদের দাবি বাজেটে কৃষিতে ১০ শতাংশ বরাদ্দ নিশ্চিত করার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:০৯:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • / 20

ছবি সংগৃহীত

 

জাতীয় বাজেটে ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেলেও কৃষি খাতে তেমন বাড়ছে না বরাদ্দ। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, টেকসই কৃষি ব্যবস্থার জন্য জাতীয় বাজেটের কমপক্ষে ১০ শতাংশ এই খাতে বরাদ্দ নিশ্চিত করা জরুরি। পাশাপাশি কৃষিপণ্য উৎপাদনে খরচ বাড়লেও ভর্তুকি কমে যাওয়ায় কৃষক ও ভোক্তা উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

বর্তমানে দেশের শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি বাড়লেও অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি এখনো কৃষি। ফলে বাজেট এলে এই খাতে বাড়তি দৃষ্টিপাত থাকে সংশ্লিষ্টদের। কিন্তু বছরের পর বছর বাজেটের মোট পরিমাণ বাড়লেও কৃষির জন্য বরাদ্দের অনুপাত কমেই যাচ্ছে।

সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ২০১১-১২ অর্থবছরে কৃষি খাতে বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের ১০ দশমিক ৬৫ শতাংশ। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সেই হার কমতে কমতে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশে। এতে কৃষির বার্ষিক প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য ৪ শতাংশ পূরণ করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং কৃষকদের স্বস্তি দিতে হলে কৃষিখাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “জাতীয় বাজেটের অন্তত ১০ শতাংশ কৃষিখাতে এবং অতিরিক্ত ৫ শতাংশ কৃষিভর্তুকি খাতে বরাদ্দ দেয়া প্রয়োজন।”

তবে বাস্তবতা হচ্ছে, গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে কৃষিভর্তুকি বরাদ্দ আরও কমানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোর চাপে পরবর্তী বাজেটেও ভর্তুকি কমার আশঙ্কা রয়েছে।

বিশ্ববাজারে অস্থিরতার মধ্যে অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বাড়াতে কৃষিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কৃষি অর্থনীতিবিদ মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “প্রান্তিক কৃষকদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটির মাধ্যমে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ ও বরাদ্দ ব্যবহারের অগ্রগতি মনিটরিং জরুরি।”

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বরাদ্দ ও ভর্তুকি বৃদ্ধির মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানো গেলে কৃষকের আয় বাড়বে, আর ভোক্তাও পাবে স্বস্তি। তাই সমৃদ্ধ কৃষি খাত গঠনে নীতিনির্ধারকদের আরও কার্যকর উদ্যোগের প্রত্যাশা করছেন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

অর্থনীতিবিদদের দাবি বাজেটে কৃষিতে ১০ শতাংশ বরাদ্দ নিশ্চিত করার

আপডেট সময় ০৪:০৯:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

 

জাতীয় বাজেটে ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেলেও কৃষি খাতে তেমন বাড়ছে না বরাদ্দ। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, টেকসই কৃষি ব্যবস্থার জন্য জাতীয় বাজেটের কমপক্ষে ১০ শতাংশ এই খাতে বরাদ্দ নিশ্চিত করা জরুরি। পাশাপাশি কৃষিপণ্য উৎপাদনে খরচ বাড়লেও ভর্তুকি কমে যাওয়ায় কৃষক ও ভোক্তা উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

বর্তমানে দেশের শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি বাড়লেও অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি এখনো কৃষি। ফলে বাজেট এলে এই খাতে বাড়তি দৃষ্টিপাত থাকে সংশ্লিষ্টদের। কিন্তু বছরের পর বছর বাজেটের মোট পরিমাণ বাড়লেও কৃষির জন্য বরাদ্দের অনুপাত কমেই যাচ্ছে।

সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ২০১১-১২ অর্থবছরে কৃষি খাতে বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের ১০ দশমিক ৬৫ শতাংশ। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সেই হার কমতে কমতে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশে। এতে কৃষির বার্ষিক প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য ৪ শতাংশ পূরণ করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং কৃষকদের স্বস্তি দিতে হলে কৃষিখাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “জাতীয় বাজেটের অন্তত ১০ শতাংশ কৃষিখাতে এবং অতিরিক্ত ৫ শতাংশ কৃষিভর্তুকি খাতে বরাদ্দ দেয়া প্রয়োজন।”

তবে বাস্তবতা হচ্ছে, গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে কৃষিভর্তুকি বরাদ্দ আরও কমানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোর চাপে পরবর্তী বাজেটেও ভর্তুকি কমার আশঙ্কা রয়েছে।

বিশ্ববাজারে অস্থিরতার মধ্যে অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বাড়াতে কৃষিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কৃষি অর্থনীতিবিদ মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “প্রান্তিক কৃষকদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটির মাধ্যমে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ ও বরাদ্দ ব্যবহারের অগ্রগতি মনিটরিং জরুরি।”

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বরাদ্দ ও ভর্তুকি বৃদ্ধির মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানো গেলে কৃষকের আয় বাড়বে, আর ভোক্তাও পাবে স্বস্তি। তাই সমৃদ্ধ কৃষি খাত গঠনে নীতিনির্ধারকদের আরও কার্যকর উদ্যোগের প্রত্যাশা করছেন তারা।