গাজার স্কুলে ইসরাইলের বোমা হামলা, নিহত অন্তত ২০

- আপডেট সময় ১০:২১:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
- / 11
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত একটি স্কুলে ভয়াবহ বোমা হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। এতে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন বহু মানুষ।
সোমবার (২৬ মে) ভোররাতে গাজা শহরের ফাহমি আল-জারজাউই স্কুলে এই হামলা চালানো হয়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনী ওই স্কুলে বোমাবর্ষণ করে, যেটি যুদ্ধাহত ও গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
বিস্ফোরণের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ছবিতে পুড়ে যাওয়া মরদেহ দেখা গেছে। তবে রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে এসব ছবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
গাজার সিভিল ডিফেন্স বিভাগের মতে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছেন উদ্ধারকারীরা, তবে স্কুল ভবনটি প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেক মানুষ আটকে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
মে মাসের শুরু থেকেই গাজায় হামলা আরও তীব্র করেছে ইসরাইল। আন্তর্জাতিক মহলের চাপ সত্ত্বেও গাজায় খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহে অবরোধ তুলে নেয়নি ইসরাইল। বরং গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দেন, ইসরাইল পুরো গাজা দখলে নেবে।
ইতোমধ্যে গাজার জনসংযোগ কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরাইলি স্থল অভিযান এবং সেনা মোতায়েনের মাধ্যমে গাজার ৭৭ শতাংশ এলাকা তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। এসব এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের চলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে।
ফলে গাজার কয়েকটি ক্ষুদ্র অঞ্চলে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছেন বাসিন্দারা। মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপের আশায় দিন কাটাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা।
এমন প্রেক্ষাপটে, যুদ্ধবিরতির আহ্বানে সরব হয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। স্পেনের নেতৃত্বে ২০টি দেশ মাদ্রিদে বৈঠক করে যুদ্ধ অবসানের আহ্বান জানিয়েছে। স্পেন স্পষ্টভাবে বলেছে, এই যুদ্ধের আর কোনো ন্যায্যতা নেই। অবিলম্বে অবরোধ তুলে দিয়ে গাজায় খাদ্য প্রবেশের সুযোগ দিতে হবে এ দাবি জানিয়েছে দেশটি ও তার মিত্ররা।
গাজা উপত্যকায় চলমান এই সহিংসতা এখন মানবিক বিপর্যয়ের রূপ নিয়েছে। দ্রুত আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ না এলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।