ঢাকা ০৮:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিদেশফেরত রংমিস্ত্রি থেকে সফল কৃষি উদ্যোক্তা: আফজাল শেখের রাম্বুটান বিপ্লব কলটি বিবিসি উদ্ধার করেনি, এটা ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি: চিফ প্রসিকিউটর ১ লাখ শিক্ষক নিয়োগে পুলিশের ভেরিফিকেশন: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা দুর্নীতিবাজ, দখলদার ও চাঁদাবাজদের না বলুন, যারা ওদের পক্ষে তাঁদের বয়কট করুন: নাহিদ ইসলাম রাজস্থানে ভারতীয় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত: নিহত দুই পাইলট বাগেরহাটে ডাকাতিকৃত মালামাল সহ ৭ ডাকাত আটক বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান ঘনিষ্ঠতায় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগে ভারতীয় প্রতিরক্ষা প্রধান গুম তদন্ত কমিশনের সঙ্গে ইউভিইডির বৈঠক, নিখোঁজ ২০০ জনের তালিকা হস্তান্তর আধুনিকতার চাপে মাদ্রাসা শিক্ষা ধ্বংস হতে দেওয়া যাবে না: ধর্ম উপদেষ্টা ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্য অধিদফতরকে চিকিৎসা সরঞ্জাম দিলো ডব্লিউএইচও

মধুপুরে বনবাসীদের ১২৯টি মামলা প্রত্যাহারের ঘোষণা পরিবেশ উপদেষ্টার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:০২:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
  • / 36

ছবি সংগৃহীত

 

টাঙ্গাইলের মধুপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ বনবাসীদের বিরুদ্ধে করা ১২৯টি মামলা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। পাশাপাশি তিনি মধুপুরের শালবনে পুনরায় শালগাছ রোপণের পরিকল্পনাও প্রকাশ করেন।

রবিবার (২৫ মে) দুপুরে টাঙ্গাইল বন বিভাগের আওতাধীন মধুপুরের টেলকি এলাকায় শালগাছের চারা রোপণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “মধুপুর শালবনে আবারও শালগাছ ফেরত আনা হবে। এজন্য আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ব্যাপকভাবে শালগাছ রোপণ করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “এই বন রক্ষায় এখানকার বনবাসীদের সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদেরও এসব কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে।”

তিনি জানান, বনের যেসব অংশ বেদখল হয়ে পড়েছে, সেগুলো পুনরুদ্ধারে সীমানা চিহ্নিত করে পিলার স্থাপন করা হচ্ছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বনভূমি পুনঃপ্রতিষ্ঠার পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।

রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, “বাণিজ্যিকভাবে ইউক্যালিপটাস ও আকাশিয়া গাছ রোপণের যে প্রবণতা ছিল, তা ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেওয়া হবে।” শালবনের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় এসব গাছের পরিবর্তে স্বাভাবিক শাল প্রজাতির গাছ রোপণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

এই সময় মধুপুর বনাঞ্চলের রাজবাড়ী এলাকায় সীমানা নির্ধারণ ও পিলার স্থাপন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা। পাশাপাশি ‘স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে মধুপুর শালবন পুনঃপ্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী রেজা খান এবং প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী।

সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় বনবাসী ও পরিবেশকর্মীরা। তারা আশা প্রকাশ করেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে শালবনের প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি বনজীবীদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তিরও অবসান ঘটবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মধুপুরে বনবাসীদের ১২৯টি মামলা প্রত্যাহারের ঘোষণা পরিবেশ উপদেষ্টার

আপডেট সময় ০৮:০২:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

 

টাঙ্গাইলের মধুপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ বনবাসীদের বিরুদ্ধে করা ১২৯টি মামলা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। পাশাপাশি তিনি মধুপুরের শালবনে পুনরায় শালগাছ রোপণের পরিকল্পনাও প্রকাশ করেন।

রবিবার (২৫ মে) দুপুরে টাঙ্গাইল বন বিভাগের আওতাধীন মধুপুরের টেলকি এলাকায় শালগাছের চারা রোপণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “মধুপুর শালবনে আবারও শালগাছ ফেরত আনা হবে। এজন্য আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ব্যাপকভাবে শালগাছ রোপণ করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “এই বন রক্ষায় এখানকার বনবাসীদের সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদেরও এসব কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে।”

তিনি জানান, বনের যেসব অংশ বেদখল হয়ে পড়েছে, সেগুলো পুনরুদ্ধারে সীমানা চিহ্নিত করে পিলার স্থাপন করা হচ্ছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বনভূমি পুনঃপ্রতিষ্ঠার পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।

রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, “বাণিজ্যিকভাবে ইউক্যালিপটাস ও আকাশিয়া গাছ রোপণের যে প্রবণতা ছিল, তা ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেওয়া হবে।” শালবনের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় এসব গাছের পরিবর্তে স্বাভাবিক শাল প্রজাতির গাছ রোপণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

এই সময় মধুপুর বনাঞ্চলের রাজবাড়ী এলাকায় সীমানা নির্ধারণ ও পিলার স্থাপন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা। পাশাপাশি ‘স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে মধুপুর শালবন পুনঃপ্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী রেজা খান এবং প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী।

সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় বনবাসী ও পরিবেশকর্মীরা। তারা আশা প্রকাশ করেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে শালবনের প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি বনজীবীদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তিরও অবসান ঘটবে।