০২:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে রাজধানীতে জশনে জুলুস শোভাযাত্রা কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের দুই দিন পর পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার তুরাগ নদীর ১৭ কিলোমিটার ড্রেজিংয়ে অর্থ দেবে বিশ্বব্যাংক যারা ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে, তারাই এখন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: আসিফ মাহমুদ বিষাক্ত মদ্যপানে মুন্সিগঞ্জে ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ৩ লেবাননে সব অস্ত্র রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পরিকল্পনা অনুমোদন বৈশ্বিক ড্রোন বিক্রি বাড়াতে ১৯৮৭ সালের ব্যাখ্যা পরিবর্তন করছে যুক্তরাষ্ট্র নথি ফাঁস: ২০১৯ সালে মার্কিন বাহিনী উত্তর কোরিয়ার বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করে যুক্তরাজ্য–নরওয়ের মধ্যে ১০ বিলিয়ন পাউন্ডের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সিরিয়া থেকে বেআইনিভাবে তেল উত্তোলন করছে SDF/YPG, AANES

মধুপুরে বনবাসীদের ১২৯টি মামলা প্রত্যাহারের ঘোষণা পরিবেশ উপদেষ্টার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:০২:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
  • / 60

ছবি সংগৃহীত

 

টাঙ্গাইলের মধুপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ বনবাসীদের বিরুদ্ধে করা ১২৯টি মামলা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। পাশাপাশি তিনি মধুপুরের শালবনে পুনরায় শালগাছ রোপণের পরিকল্পনাও প্রকাশ করেন।

রবিবার (২৫ মে) দুপুরে টাঙ্গাইল বন বিভাগের আওতাধীন মধুপুরের টেলকি এলাকায় শালগাছের চারা রোপণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “মধুপুর শালবনে আবারও শালগাছ ফেরত আনা হবে। এজন্য আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ব্যাপকভাবে শালগাছ রোপণ করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “এই বন রক্ষায় এখানকার বনবাসীদের সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদেরও এসব কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে।”

তিনি জানান, বনের যেসব অংশ বেদখল হয়ে পড়েছে, সেগুলো পুনরুদ্ধারে সীমানা চিহ্নিত করে পিলার স্থাপন করা হচ্ছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বনভূমি পুনঃপ্রতিষ্ঠার পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।

রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, “বাণিজ্যিকভাবে ইউক্যালিপটাস ও আকাশিয়া গাছ রোপণের যে প্রবণতা ছিল, তা ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেওয়া হবে।” শালবনের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় এসব গাছের পরিবর্তে স্বাভাবিক শাল প্রজাতির গাছ রোপণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

এই সময় মধুপুর বনাঞ্চলের রাজবাড়ী এলাকায় সীমানা নির্ধারণ ও পিলার স্থাপন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা। পাশাপাশি ‘স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে মধুপুর শালবন পুনঃপ্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী রেজা খান এবং প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী।

সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় বনবাসী ও পরিবেশকর্মীরা। তারা আশা প্রকাশ করেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে শালবনের প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি বনজীবীদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তিরও অবসান ঘটবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মধুপুরে বনবাসীদের ১২৯টি মামলা প্রত্যাহারের ঘোষণা পরিবেশ উপদেষ্টার

আপডেট সময় ০৮:০২:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

 

টাঙ্গাইলের মধুপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ বনবাসীদের বিরুদ্ধে করা ১২৯টি মামলা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। পাশাপাশি তিনি মধুপুরের শালবনে পুনরায় শালগাছ রোপণের পরিকল্পনাও প্রকাশ করেন।

রবিবার (২৫ মে) দুপুরে টাঙ্গাইল বন বিভাগের আওতাধীন মধুপুরের টেলকি এলাকায় শালগাছের চারা রোপণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “মধুপুর শালবনে আবারও শালগাছ ফেরত আনা হবে। এজন্য আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ব্যাপকভাবে শালগাছ রোপণ করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “এই বন রক্ষায় এখানকার বনবাসীদের সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদেরও এসব কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে।”

তিনি জানান, বনের যেসব অংশ বেদখল হয়ে পড়েছে, সেগুলো পুনরুদ্ধারে সীমানা চিহ্নিত করে পিলার স্থাপন করা হচ্ছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বনভূমি পুনঃপ্রতিষ্ঠার পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।

রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, “বাণিজ্যিকভাবে ইউক্যালিপটাস ও আকাশিয়া গাছ রোপণের যে প্রবণতা ছিল, তা ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেওয়া হবে।” শালবনের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় এসব গাছের পরিবর্তে স্বাভাবিক শাল প্রজাতির গাছ রোপণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

এই সময় মধুপুর বনাঞ্চলের রাজবাড়ী এলাকায় সীমানা নির্ধারণ ও পিলার স্থাপন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা। পাশাপাশি ‘স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে মধুপুর শালবন পুনঃপ্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী রেজা খান এবং প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী।

সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় বনবাসী ও পরিবেশকর্মীরা। তারা আশা প্রকাশ করেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে শালবনের প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি বনজীবীদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তিরও অবসান ঘটবে।