ঢাকা ১২:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শাহাদাতের রক্তে রাঙা অবিনাশী চেতনা শীর্ষক কনফারেন্স সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়তের সভাপতি নির্বাচিত হলেন আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান খন্দকার মোশাররফের নেতৃত্বে যমুনায় বিএনপির প্রতিনিধি দল থাইল্যান্ডে পুলিশ হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে ৩ জন নিহত চার দাবিতে এনবিআরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি চলবে রোববার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন প্রধান উপদেষ্টা নবীনগরে গলায় লিচুর বিচি আটকে শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু ভারতের টেস্ট দলের নতুন অধিনায়ক হলেন শুভমান গিল পুঁজিবাজার থেকে উধাও ১৫ হাজার কোটি টাকা: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের বিস্ফোরক দাবি ওষুধ ছাড়াই ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে যেসব খাবার খাবেন!

জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম বন্ধের নির্দেশ দিল ভিয়েতনাম সরকার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:০৮:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
  • / 6

ছবি সংগৃহীত

 

 

ভিয়েতনামে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম-এর কার্যক্রম বন্ধে ইন্টারনেট পরিষেবা সরবরাহকারীদের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। সরকারি সূত্র বলছে, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা না করায় এবং আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

২৩ মে শুক্রবার সরকারের নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিয়েতনামের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের টেলিযোগাযোগ বিভাগ একটি চিঠির মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারীদের সতর্ক করে জানায়, টেলিগ্রামে ‘আইন লঙ্ঘনের স্পষ্ট লক্ষণ’ রয়েছে এবং এই অ্যাপের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।

চিঠিতে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়, টেলিগ্রাম ব্যবহারকারীদের মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ ঠেকাতে ২ জুনের মধ্যে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং সে সম্পর্কিত রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।

সরকারি প্রতিবেদনে দেশটির পুলিশ বাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, “বর্তমানে ভিয়েতনামে টেলিগ্রামের সক্রিয় চ্যানেলের সংখ্যা প্রায় ৯,৬০০টি। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ চ্যানেলেই ‘বিষাক্ত ও ক্ষতিকর তথ্য’ ছড়ানো হচ্ছে।” এ ছাড়াও, বিভিন্ন গোষ্ঠী ও চ্যানেলের মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী নথি প্রচার, প্রতিক্রিয়াশীল তৎপরতা, এমনকি মাদক পাচার ও ব্যক্তিগত তথ্য বেচাকেনার মতো অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

ভিয়েতনাম সরকার আরও জানিয়েছে, টেলিগ্রামের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারী জড়িত বিভিন্ন গোষ্ঠী রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছে, যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।

এই সিদ্ধান্তে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে দেওয়া এক বিবৃতিতে টেলিগ্রামের একজন প্রতিনিধি বলেন, “ভিয়েতনাম সরকারের এমন পদক্ষেপে আমরা বিস্মিত।” তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি কোম্পানিটি।

বিশ্লেষকদের মতে, এ সিদ্ধান্ত ভিয়েতনামে ডিজিটাল স্বাধীনতা ও যোগাযোগের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। তথ্য ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত করার উদ্দেশ্যে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কি না—সেটি নিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক।

সূত্র: আল জাজিরা

নিউজটি শেয়ার করুন

জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম বন্ধের নির্দেশ দিল ভিয়েতনাম সরকার

আপডেট সময় ০৪:০৮:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

 

 

ভিয়েতনামে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম-এর কার্যক্রম বন্ধে ইন্টারনেট পরিষেবা সরবরাহকারীদের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। সরকারি সূত্র বলছে, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা না করায় এবং আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

২৩ মে শুক্রবার সরকারের নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিয়েতনামের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের টেলিযোগাযোগ বিভাগ একটি চিঠির মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারীদের সতর্ক করে জানায়, টেলিগ্রামে ‘আইন লঙ্ঘনের স্পষ্ট লক্ষণ’ রয়েছে এবং এই অ্যাপের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।

চিঠিতে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়, টেলিগ্রাম ব্যবহারকারীদের মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ ঠেকাতে ২ জুনের মধ্যে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং সে সম্পর্কিত রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।

সরকারি প্রতিবেদনে দেশটির পুলিশ বাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, “বর্তমানে ভিয়েতনামে টেলিগ্রামের সক্রিয় চ্যানেলের সংখ্যা প্রায় ৯,৬০০টি। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ চ্যানেলেই ‘বিষাক্ত ও ক্ষতিকর তথ্য’ ছড়ানো হচ্ছে।” এ ছাড়াও, বিভিন্ন গোষ্ঠী ও চ্যানেলের মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী নথি প্রচার, প্রতিক্রিয়াশীল তৎপরতা, এমনকি মাদক পাচার ও ব্যক্তিগত তথ্য বেচাকেনার মতো অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

ভিয়েতনাম সরকার আরও জানিয়েছে, টেলিগ্রামের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারী জড়িত বিভিন্ন গোষ্ঠী রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছে, যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।

এই সিদ্ধান্তে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে দেওয়া এক বিবৃতিতে টেলিগ্রামের একজন প্রতিনিধি বলেন, “ভিয়েতনাম সরকারের এমন পদক্ষেপে আমরা বিস্মিত।” তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি কোম্পানিটি।

বিশ্লেষকদের মতে, এ সিদ্ধান্ত ভিয়েতনামে ডিজিটাল স্বাধীনতা ও যোগাযোগের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। তথ্য ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত করার উদ্দেশ্যে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কি না—সেটি নিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক।

সূত্র: আল জাজিরা