ঢাকা ০৬:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আমাদের উজানের দেশ, তথ্য না দিলে বন্যার প্রস্তুতি নেওয়া কঠিন: পরিবেশ উপদেষ্টা সর্দি কাশি নিরাময়ে লবঙ্গের ৭টি স্বাস্থ্য উপকারিতা যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নিয়ে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টা নারী ক্ষমতায়নে বিএনপি বরাবরই সহায়ক: সালাহউদ্দিন আহমদ সারাদেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৩০ জন জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই হবে: আইন উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জাতীয় সংস্কারক ঘোষণা কেন নয়, জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল জারি ইন্দোনেশিয়ার তানিম্বার দ্বীপপুঞ্জে৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত মব ভায়োলেন্স কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়, রুখে দাঁড়াক জনগণ’: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গণভবনে হচ্ছে ‘জুলাই স্মৃতি জাদুঘর’, ৫ আগস্ট উদ্বোধন: সংস্কৃতি উপদেষ্টা

জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম বন্ধের নির্দেশ দিল ভিয়েতনাম সরকার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:০৮:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
  • / 28

ছবি সংগৃহীত

 

 

ভিয়েতনামে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম-এর কার্যক্রম বন্ধে ইন্টারনেট পরিষেবা সরবরাহকারীদের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। সরকারি সূত্র বলছে, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা না করায় এবং আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

২৩ মে শুক্রবার সরকারের নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিয়েতনামের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের টেলিযোগাযোগ বিভাগ একটি চিঠির মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারীদের সতর্ক করে জানায়, টেলিগ্রামে ‘আইন লঙ্ঘনের স্পষ্ট লক্ষণ’ রয়েছে এবং এই অ্যাপের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।

চিঠিতে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়, টেলিগ্রাম ব্যবহারকারীদের মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ ঠেকাতে ২ জুনের মধ্যে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং সে সম্পর্কিত রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।

সরকারি প্রতিবেদনে দেশটির পুলিশ বাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, “বর্তমানে ভিয়েতনামে টেলিগ্রামের সক্রিয় চ্যানেলের সংখ্যা প্রায় ৯,৬০০টি। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ চ্যানেলেই ‘বিষাক্ত ও ক্ষতিকর তথ্য’ ছড়ানো হচ্ছে।” এ ছাড়াও, বিভিন্ন গোষ্ঠী ও চ্যানেলের মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী নথি প্রচার, প্রতিক্রিয়াশীল তৎপরতা, এমনকি মাদক পাচার ও ব্যক্তিগত তথ্য বেচাকেনার মতো অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

ভিয়েতনাম সরকার আরও জানিয়েছে, টেলিগ্রামের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারী জড়িত বিভিন্ন গোষ্ঠী রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছে, যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।

এই সিদ্ধান্তে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে দেওয়া এক বিবৃতিতে টেলিগ্রামের একজন প্রতিনিধি বলেন, “ভিয়েতনাম সরকারের এমন পদক্ষেপে আমরা বিস্মিত।” তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি কোম্পানিটি।

বিশ্লেষকদের মতে, এ সিদ্ধান্ত ভিয়েতনামে ডিজিটাল স্বাধীনতা ও যোগাযোগের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। তথ্য ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত করার উদ্দেশ্যে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কি না—সেটি নিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক।

সূত্র: আল জাজিরা

নিউজটি শেয়ার করুন

জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম বন্ধের নির্দেশ দিল ভিয়েতনাম সরকার

আপডেট সময় ০৪:০৮:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

 

 

ভিয়েতনামে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম-এর কার্যক্রম বন্ধে ইন্টারনেট পরিষেবা সরবরাহকারীদের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। সরকারি সূত্র বলছে, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা না করায় এবং আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

২৩ মে শুক্রবার সরকারের নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিয়েতনামের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের টেলিযোগাযোগ বিভাগ একটি চিঠির মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারীদের সতর্ক করে জানায়, টেলিগ্রামে ‘আইন লঙ্ঘনের স্পষ্ট লক্ষণ’ রয়েছে এবং এই অ্যাপের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।

চিঠিতে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়, টেলিগ্রাম ব্যবহারকারীদের মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ ঠেকাতে ২ জুনের মধ্যে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং সে সম্পর্কিত রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।

সরকারি প্রতিবেদনে দেশটির পুলিশ বাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, “বর্তমানে ভিয়েতনামে টেলিগ্রামের সক্রিয় চ্যানেলের সংখ্যা প্রায় ৯,৬০০টি। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ চ্যানেলেই ‘বিষাক্ত ও ক্ষতিকর তথ্য’ ছড়ানো হচ্ছে।” এ ছাড়াও, বিভিন্ন গোষ্ঠী ও চ্যানেলের মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী নথি প্রচার, প্রতিক্রিয়াশীল তৎপরতা, এমনকি মাদক পাচার ও ব্যক্তিগত তথ্য বেচাকেনার মতো অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

ভিয়েতনাম সরকার আরও জানিয়েছে, টেলিগ্রামের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারী জড়িত বিভিন্ন গোষ্ঠী রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছে, যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।

এই সিদ্ধান্তে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে দেওয়া এক বিবৃতিতে টেলিগ্রামের একজন প্রতিনিধি বলেন, “ভিয়েতনাম সরকারের এমন পদক্ষেপে আমরা বিস্মিত।” তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি কোম্পানিটি।

বিশ্লেষকদের মতে, এ সিদ্ধান্ত ভিয়েতনামে ডিজিটাল স্বাধীনতা ও যোগাযোগের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। তথ্য ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত করার উদ্দেশ্যে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কি না—সেটি নিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক।

সূত্র: আল জাজিরা