ঢাকা ০৯:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ভূমি সেবায় হয়রানির অবসান ঘটাতে মন্ত্রণালয় অঙ্গীকারাবদ্ধ: সিনিয়র সচিব কাশ্মীরে বন্দুকযুদ্ধে ১ ভারতীয় সেনা নিহত: নতুন করে বাড়ছে উত্তেজনা তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে ‘বাধা সৃষ্টি করছে’ সরকারের একটি অংশ: রিজভী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত পরিবেশ উপেক্ষিত থাকলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়: রিজওয়ানা হাসান রামগড়ে সীমান্তে ৫ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ শক্তিশালী মেঘমালায় উত্তাল বঙ্গোপসাগর, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জাপানে ৫০ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ট্যাক্সিচালক গ্রেপ্তার, ৩০০০ ছবি-ভিডিও উদ্ধার সরকারি চাকরি আইন সংশোধনে বড় পদক্ষেপ, অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমালো বিটিআরসি

আঞ্চলিক বাণিজ্যে গতি আনতে চীন–পাকিস্তান করিডরে যুক্ত আফগানিস্তান

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৩৯:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
  • / 3

ছবি সংগৃহীত

 

চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (CPEC)-এ এবার যুক্ত হচ্ছে আফগানিস্তান। বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত এক ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে চীন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে বৈঠকে আফগান তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার অংশ নেন।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জাপানের এনএইচকে বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর প্রকল্প আফগানিস্তান পর্যন্ত সম্প্রসারণের বিষয়ে তিন দেশই একমত হয়েছে। এটি চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI) বা ‘অঞ্চল ও পথ’ প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বলে মনে করা হচ্ছে।

যদিও পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে সম্পর্কের টানাপোড়েন ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান নিয়ে জটিলতা দেখা গেছে, তবে এবার উভয় দেশ পরস্পরের দেশে রাষ্ট্রদূত নিয়োগে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে।

আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে আগ্রহী আফগানিস্তান। মন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি বলেন, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানো হবে।

২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর এখন পর্যন্ত চীন ও পাকিস্তান কোনো দেশই তাদের সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি। তবে চীন কৌশলগতভাবে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করছে এবং ২০২৩ সালে তারা কাবুলে একজন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেয়।

এ বৈঠক নিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, আফগানিস্তানকে CPEC-এ অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তটি অঞ্চল ও পথ প্রকল্পের কাঠামোর মধ্যে পড়ে এবং এটি দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক সংযুক্তি বাড়াতে সহায়ক হবে।

চীন আবারও পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।

এছাড়া বিবৃতিতে সন্ত্রাসবাদ ও বহিরাগত হুমকির বিরুদ্ধে যৌথভাবে কাজ করার অঙ্গীকারও তুলে ধরা হয়েছে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও উন্নয়নের স্বার্থে তিন দেশ সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান জোরদারে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বলে জানানো হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, আফগানিস্তানকে সিপিইসিতে অন্তর্ভুক্ত করে চীন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায় তাদের কৌশলগত প্রভাব বাড়াতে চায়। বিশেষ করে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের সাম্প্রতিক উত্তেজনার পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটাই প্রথম বেইজিং সফর।

নিউজটি শেয়ার করুন

আঞ্চলিক বাণিজ্যে গতি আনতে চীন–পাকিস্তান করিডরে যুক্ত আফগানিস্তান

আপডেট সময় ১২:৩৯:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

 

চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (CPEC)-এ এবার যুক্ত হচ্ছে আফগানিস্তান। বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত এক ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে চীন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে বৈঠকে আফগান তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার অংশ নেন।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জাপানের এনএইচকে বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর প্রকল্প আফগানিস্তান পর্যন্ত সম্প্রসারণের বিষয়ে তিন দেশই একমত হয়েছে। এটি চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI) বা ‘অঞ্চল ও পথ’ প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বলে মনে করা হচ্ছে।

যদিও পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে সম্পর্কের টানাপোড়েন ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান নিয়ে জটিলতা দেখা গেছে, তবে এবার উভয় দেশ পরস্পরের দেশে রাষ্ট্রদূত নিয়োগে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে।

আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে আগ্রহী আফগানিস্তান। মন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি বলেন, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানো হবে।

২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর এখন পর্যন্ত চীন ও পাকিস্তান কোনো দেশই তাদের সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি। তবে চীন কৌশলগতভাবে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করছে এবং ২০২৩ সালে তারা কাবুলে একজন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেয়।

এ বৈঠক নিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, আফগানিস্তানকে CPEC-এ অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তটি অঞ্চল ও পথ প্রকল্পের কাঠামোর মধ্যে পড়ে এবং এটি দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক সংযুক্তি বাড়াতে সহায়ক হবে।

চীন আবারও পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।

এছাড়া বিবৃতিতে সন্ত্রাসবাদ ও বহিরাগত হুমকির বিরুদ্ধে যৌথভাবে কাজ করার অঙ্গীকারও তুলে ধরা হয়েছে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও উন্নয়নের স্বার্থে তিন দেশ সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান জোরদারে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বলে জানানো হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, আফগানিস্তানকে সিপিইসিতে অন্তর্ভুক্ত করে চীন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায় তাদের কৌশলগত প্রভাব বাড়াতে চায়। বিশেষ করে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের সাম্প্রতিক উত্তেজনার পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটাই প্রথম বেইজিং সফর।