০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
বিষাক্ত মদ্যপানে মুন্সিগঞ্জে ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ৩ লেবাননে সব অস্ত্র রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পরিকল্পনা অনুমোদন বৈশ্বিক ড্রোন বিক্রি বাড়াতে ১৯৮৭ সালের ব্যাখ্যা পরিবর্তন করছে যুক্তরাষ্ট্র নথি ফাঁস: ২০১৯ সালে মার্কিন বাহিনী উত্তর কোরিয়ার বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করে যুক্তরাজ্য–নরওয়ের মধ্যে ১০ বিলিয়ন পাউন্ডের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সিরিয়া থেকে বেআইনিভাবে তেল উত্তোলন করছে SDF/YPG, AANES চীন সফর শেষে দেশে ফিরেছেন কিম জং উন প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক র‌্যাঙ্কিংয়ে দামেস্ক বিশ্ববিদ্যালয় নুরাল পাগলা’র দরবারে হামলার ঘটনায় মামলা মাজার ভাঙা ও লাশ পুড়িয়ে দেওয়া রাসুলের শিক্ষা নয় : রিজভী

টেকনাফে কোস্টগার্ড-পুলিশের যৌথ অভিযানে বিপুল অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:২৮:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • / 32

ছবি সংগৃহীত

 

কক্সবাজারের টেকনাফে কোস্টগার্ড ও পুলিশের যৌথ অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি বিদেশি জি-৩ রাইফেল, দুটি ম্যাগাজিন, পাঁচটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৯৭৫ রাউন্ড তাজা গুলি।

মঙ্গলবার (২০ মে) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, মিয়ানমার থেকে নাফ নদী হয়ে বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি পাচার হতে পারে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোররাতে টেকনাফ স্থলবন্দরের ১৪ নম্বর ব্রিজ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে কোস্টগার্ড ও পুলিশ যৌথভাবে অংশগ্রহণ করে।

অভিযানের সময় চারজন সন্দেহভাজনকে কয়েকটি বস্তা নিয়ে পাহাড়ের দিকে যেতে দেখা যায়। যৌথবাহিনী তাদের থামতে নির্দেশ দিলে তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় বাহিনী সাত রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সন্দেহভাজনরা দুটি অস্ত্র ও গোলাবারুদের বস্তা ফেলে পাহাড়ে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে একটি বিদেশি জি-৩ রাইফেল, দুটি ম্যাগাজিন, একটি দেশীয় পিস্তল, একটি দেশীয় দু’নলা বন্দুক, তিনটি দেশীয় একনলা বন্দুক এবং ৯৭৫ রাউন্ড তাজা গুলি জব্দ করা হয়।

তবে অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, পাচারকারীরা আগে থেকেই পাহাড়ি পালানোর পথ চিনে রেখেছিল।

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ বলেন, “বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দেশব্যাপী নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ২৪ ঘণ্টা টহল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। উপকূলীয় ও নদীতীরবর্তী এলাকায় চোরাচালান ও অপরাধ দমন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান চলবে।”

উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদের বিষয়ে পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

টেকনাফে কোস্টগার্ড-পুলিশের যৌথ অভিযানে বিপুল অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

আপডেট সময় ০৮:২৮:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

 

কক্সবাজারের টেকনাফে কোস্টগার্ড ও পুলিশের যৌথ অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি বিদেশি জি-৩ রাইফেল, দুটি ম্যাগাজিন, পাঁচটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৯৭৫ রাউন্ড তাজা গুলি।

মঙ্গলবার (২০ মে) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, মিয়ানমার থেকে নাফ নদী হয়ে বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি পাচার হতে পারে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোররাতে টেকনাফ স্থলবন্দরের ১৪ নম্বর ব্রিজ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে কোস্টগার্ড ও পুলিশ যৌথভাবে অংশগ্রহণ করে।

অভিযানের সময় চারজন সন্দেহভাজনকে কয়েকটি বস্তা নিয়ে পাহাড়ের দিকে যেতে দেখা যায়। যৌথবাহিনী তাদের থামতে নির্দেশ দিলে তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় বাহিনী সাত রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সন্দেহভাজনরা দুটি অস্ত্র ও গোলাবারুদের বস্তা ফেলে পাহাড়ে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে একটি বিদেশি জি-৩ রাইফেল, দুটি ম্যাগাজিন, একটি দেশীয় পিস্তল, একটি দেশীয় দু’নলা বন্দুক, তিনটি দেশীয় একনলা বন্দুক এবং ৯৭৫ রাউন্ড তাজা গুলি জব্দ করা হয়।

তবে অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, পাচারকারীরা আগে থেকেই পাহাড়ি পালানোর পথ চিনে রেখেছিল।

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ বলেন, “বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দেশব্যাপী নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ২৪ ঘণ্টা টহল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। উপকূলীয় ও নদীতীরবর্তী এলাকায় চোরাচালান ও অপরাধ দমন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান চলবে।”

উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদের বিষয়ে পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।