ঢাকা ০৯:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
অবসরপ্রাপ্ত বিমানসেনাদের জন্য ‘পেনশনার সল্যুশন’ ওয়েব পোর্টালের উদ্বোধন টেকনাফে কোস্টগার্ড-পুলিশের যৌথ অভিযানে বিপুল অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার এনবিআরের কলমবিরতিতে বাড়ছে রাজস্ব ঘাটতি, অর্থনীতিতে শঙ্কার ছায়া শাহরিয়ার সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে ছাত্রদলের শাহবাগ অবরোধ মহাকাশে চীনের এআই কম্পিউটার: ১২টি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ, মোট পাঠানো হবে এরকম ২৮০০ টি স্যাটেলাইট সারা দেশে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১,৬০৫ আসামি এবার চীনে আম রপ্তানির লক্ষ্য ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন দারিদ্র্যের মূল কারণ ভূমি দখল ও আইনি ত্রুটি: পরিকল্পনা উপদেষ্টা সরকারি চাকরিতে শৃঙ্খলা ভঙ্গের শাস্তিতে নতুন বিধান, ২৫ দিন বরখাস্তের নির্দেশনা ইশরাক ইস্যু বিচারাধীন, এই বিষয় নিয়ে আমাকে দোষারোপ করা সমীচীন নয়: সজীব ভূইয়া

পাবনায় ৭৪ কেজি কষ্টিপাথরের মূর্তি উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৫৮:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • / 8

ছবি: সংগৃহীত

 

পাবনার বেড়া উপজেলার চক আবদুস শুকুর গ্রাম থেকে প্রায় ৭৪ কেজি ওজনের একটি কষ্টিপাথরের মূর্তিসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। সোমবার সন্ধ্যায় র‍্যাব-১২ এর পাবনা ক্যাম্প ও র‍্যাব-১০ এর কুষ্টিয়ার একটি যৌথ দল এ অভিযান পরিচালনা করে।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি হলেন মৃত মকছেদ শেখের ছেলে রাজু আহম্মেদ ওরফে বাবু (৪৮)। র‍্যাবের দাবি, তাঁর বাড়ির মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা ছিল প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী এই মূর্তিটি। পাচারের উদ্দেশ্যে মূর্তিটি গোপনে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

র‍্যাব-১২ এর পাবনা ক্যাম্পের কমান্ডার ফারহান উজ-জামান জানান, পাচারের উদ্দেশ্যে মূর্তিটি গোপন করে রাখা হয়েছে—এমন তথ্যের ভিত্তিতে যৌথভাবে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে রাজু আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করে তাঁর বাড়ির নির্দিষ্ট স্থানে খোঁড়াখুঁড়ি চালিয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজু স্বীকার করেছেন, এটি পাচারের জন্যই তাঁর কাছে রাখা হয়েছিল।

র‍্যাব আরও জানায়, এই চক্রে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, সে বিষয়েও তদন্ত চলছে। তারা সন্দেহ করছে, এটি একটি বৃহৎ পাচার চক্রের অংশ হতে পারে। উদ্ধার হওয়া মূর্তিটি অত্যন্ত মূল্যবান এবং এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে বলেও উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।

পরে মূর্তিসহ রাজু আহম্মেদকে আমিনপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তাফা বলেন, র‍্যাব বাদী হয়ে মামলা করেছে এবং গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন, যা যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। মূর্তিটি প্রাথমিকভাবে প্রাচীন শিল্পকর্ম হিসেবে ধারণা করা হলেও, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত মূল্যায়ন করা হবে।

এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই ধারণা করছেন, এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের যোগসূত্র থাকতে পারে। প্রশাসন বলছে, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনে আরও অভিযান পরিচালনা করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাবনায় ৭৪ কেজি কষ্টিপাথরের মূর্তি উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১

আপডেট সময় ০২:৫৮:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

 

পাবনার বেড়া উপজেলার চক আবদুস শুকুর গ্রাম থেকে প্রায় ৭৪ কেজি ওজনের একটি কষ্টিপাথরের মূর্তিসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। সোমবার সন্ধ্যায় র‍্যাব-১২ এর পাবনা ক্যাম্প ও র‍্যাব-১০ এর কুষ্টিয়ার একটি যৌথ দল এ অভিযান পরিচালনা করে।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি হলেন মৃত মকছেদ শেখের ছেলে রাজু আহম্মেদ ওরফে বাবু (৪৮)। র‍্যাবের দাবি, তাঁর বাড়ির মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা ছিল প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী এই মূর্তিটি। পাচারের উদ্দেশ্যে মূর্তিটি গোপনে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

র‍্যাব-১২ এর পাবনা ক্যাম্পের কমান্ডার ফারহান উজ-জামান জানান, পাচারের উদ্দেশ্যে মূর্তিটি গোপন করে রাখা হয়েছে—এমন তথ্যের ভিত্তিতে যৌথভাবে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে রাজু আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করে তাঁর বাড়ির নির্দিষ্ট স্থানে খোঁড়াখুঁড়ি চালিয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজু স্বীকার করেছেন, এটি পাচারের জন্যই তাঁর কাছে রাখা হয়েছিল।

র‍্যাব আরও জানায়, এই চক্রে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, সে বিষয়েও তদন্ত চলছে। তারা সন্দেহ করছে, এটি একটি বৃহৎ পাচার চক্রের অংশ হতে পারে। উদ্ধার হওয়া মূর্তিটি অত্যন্ত মূল্যবান এবং এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে বলেও উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।

পরে মূর্তিসহ রাজু আহম্মেদকে আমিনপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তাফা বলেন, র‍্যাব বাদী হয়ে মামলা করেছে এবং গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন, যা যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। মূর্তিটি প্রাথমিকভাবে প্রাচীন শিল্পকর্ম হিসেবে ধারণা করা হলেও, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত মূল্যায়ন করা হবে।

এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই ধারণা করছেন, এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের যোগসূত্র থাকতে পারে। প্রশাসন বলছে, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনে আরও অভিযান পরিচালনা করা হবে।