স্টারলিংক নিয়ে দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বে কোনো হুমকির শঙ্কা নেই: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

- আপডেট সময় ০২:৪৭:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
- / 6
দেশে স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা চালু হলে জাতীয় নিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্বে কোনো হুমকি তৈরি হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, স্টারলিংককে বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা দিতে হলে অবশ্যই স্থানীয় গেটওয়ে ব্যবহার করতে হবে। ফলে তথ্যের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে বাংলাদেশের হাতে।
মঙ্গলবার (২০ মে) রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় স্টারলিংকের বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা চালুর প্রস্তুতি ও সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবায় কোনো ধরনের ডেটা লিমিট থাকবে না। ব্যবহারকারীরা পাবেন পুরোপুরি আনলিমিটেড ডেটা সুবিধা। সিগন্যাল কাভারেজ ২০-৩০ মিটার এলাকা ছাড়াও দুই-তিন তলা বিশিষ্ট ভবনের একাধিক কক্ষ পর্যন্ত বিস্তৃত থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “এই সেবা উদ্যোক্তাবান্ধব এবং এতে কোনো ধরণের ব্যান্ডউইথ বৈষম্যের সুযোগ নেই। এটি দেশের প্রযুক্তি খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। উদ্যোক্তারা সহজেই স্টারলিংকের মাধ্যমে নিরবিচারে ও স্থিতিশীল সংযোগ পাবেন, যা ডিজিটাল অর্থনীতিকে আরও বেগবান করবে।”
এছাড়াও, দেশের নিজস্ব ব্রডব্যান্ড প্রকল্প বা চাইনিজ কোম্পানির সঙ্গে বিদ্যমান টেকসই ইন্টারনেট উন্নয়ন পরিকল্পনা স্টারলিংকের কারণে কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত হবে না বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি। বরং এসব উদ্যোগের পাশাপাশি স্টারলিংক আরও একটি কার্যকর বিকল্প হিসেবে ভূমিকা রাখবে।
প্রাথমিক পর্যায়ে গ্রাহকদের কাছে প্রায় ৭ হাজার টাকায় স্টারলিংকের ডিভাইস সরবরাহের পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল এবং দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে স্টারলিংক একটি যুগান্তকারী ভূমিকা রাখতে পারে। তবে এর বাস্তবায়নে নীতিগত দিক ও নজরদারির বিষয়ে সরকারের স্বচ্ছ ও কার্যকর দিকনির্দেশনা প্রয়োজন বলেও মত দিয়েছেন প্রযুক্তিবিদরা।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এই স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা চালুর উদ্যোগে সাধারণ গ্রাহক, উদ্যোক্তা ও নীতিনির্ধারকদের মধ্যে ইতিমধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।