ঢাকা ০৯:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতিসংঘের জুলাই অভ্যুত্থান রিপোর্টকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণে রুল জারি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ-এর ১৭তম প্যাকেজের নিষেধাজ্ঞা: তুরস্ক সহ একাধিক দেশও এর অন্তর্ভুক্ত সুন্দরবন সুরক্ষায় নতুন কৌশলে বন বিভাগ, ফাঁদ জমা দিলে মিলছে পুরস্কার ভারতের অরুণাচলের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করল চীন ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনা নিয়ে সৌদির পূর্ণ সমর্থন আছে: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বনেতাদের সংলাপে আহ্বান নতুন পোপ লিও চতুর্দশের ভিসা সংকটে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে যাত্রী কমেছে, কমেছে রাজস্ব আয় মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ৪৪ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ ডিপ্লোমা নার্সিংকে ডিগ্রির মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে শাহবাগ নার্সিং শিক্ষার্থীদের অবরোধ আইপিএলে ৬ কোটি রুপিতে মোস্তাফিজকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস

আটারি সীমান্তে ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে একজন করে সেনা বন্দিবিনিময়

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:২৪:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • / 5

ছবি সংগৃহীত

 

ভারত ও পাকিস্তান আজ বুধবার সকালে শান্তিপূর্ণভাবে একজন করে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যকে একে অপরের কাছে হস্তান্তর করেছে। আটারি-ওয়াঘা সীমান্তে অনুষ্ঠিত এ বন্দী বিনিময় দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান উত্তেজনার মধ্যে একটি শান্তির বার্তা নিয়ে এল।

ভারতের হাতে থাকা পাকিস্তান রেঞ্জার্সের সদস্য মুহাম্মদ উল্লাহকে পাকিস্তানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। একই সঙ্গে পাকিস্তানও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্য পূর্ণম কুমার শ–কে ভারতের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে। পূর্ণম কুমার গত ২৩ এপ্রিল পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সীমান্তে দায়িত্ব পালনের সময় ভুলবশত পাকিস্তানে প্রবেশ করেন এবং সেখানকার রেঞ্জার্স বাহিনীর হাতে আটক হন।

বিএসএফ-এর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘পূর্ণম কুমার ২৩ এপ্রিল থেকে পাকিস্তান রেঞ্জার্সের হেফাজতে ছিলেন। আজ সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে পাঞ্জাবের অমৃতসরের আটারি যৌথ চেকপোস্ট দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে তাঁকে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রক্রিয়াটি দুই দেশের মধ্যে প্রচলিত নিয়ম মেনেই সম্পন্ন হয়েছে।’

জানা যায়, ৪০ বছর বয়সী পূর্ণম কুমার ভারত–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর একটি সশস্ত্র হামলার ঠিক পরদিন সীমান্ত পার হয়ে পাকিস্তানে চলে যান। উক্ত হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন নিরীহ পর্যটক, যা ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা আরও তীব্র করে তোলে।

বন্দী বিনিময়ের এ ঘটনাকে দুই দেশের মিডিয়া শান্তিপূর্ণ এবং আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে তুলে ধরেছে। আন্তর্জাতিক মহলেও এই বিনিময়কে স্বাগত জানানো হচ্ছে, কারণ এটি পারস্পরিক আস্থা পুনর্গঠনে সহায়ক হতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, দুই দেশের মধ্যে এমন মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি ভবিষ্যতে আলোচনার দরজা খুলে দিতে পারে এবং সীমান্তে সহিংসতা ও উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

এই ঘটনা প্রমাণ করে, সঠিক সময় ও সদিচ্ছা থাকলে এমন জটিল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আটারি সীমান্তে ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে একজন করে সেনা বন্দিবিনিময়

আপডেট সময় ০৪:২৪:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

 

ভারত ও পাকিস্তান আজ বুধবার সকালে শান্তিপূর্ণভাবে একজন করে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যকে একে অপরের কাছে হস্তান্তর করেছে। আটারি-ওয়াঘা সীমান্তে অনুষ্ঠিত এ বন্দী বিনিময় দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান উত্তেজনার মধ্যে একটি শান্তির বার্তা নিয়ে এল।

ভারতের হাতে থাকা পাকিস্তান রেঞ্জার্সের সদস্য মুহাম্মদ উল্লাহকে পাকিস্তানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। একই সঙ্গে পাকিস্তানও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্য পূর্ণম কুমার শ–কে ভারতের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে। পূর্ণম কুমার গত ২৩ এপ্রিল পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সীমান্তে দায়িত্ব পালনের সময় ভুলবশত পাকিস্তানে প্রবেশ করেন এবং সেখানকার রেঞ্জার্স বাহিনীর হাতে আটক হন।

বিএসএফ-এর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘পূর্ণম কুমার ২৩ এপ্রিল থেকে পাকিস্তান রেঞ্জার্সের হেফাজতে ছিলেন। আজ সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে পাঞ্জাবের অমৃতসরের আটারি যৌথ চেকপোস্ট দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে তাঁকে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রক্রিয়াটি দুই দেশের মধ্যে প্রচলিত নিয়ম মেনেই সম্পন্ন হয়েছে।’

জানা যায়, ৪০ বছর বয়সী পূর্ণম কুমার ভারত–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর একটি সশস্ত্র হামলার ঠিক পরদিন সীমান্ত পার হয়ে পাকিস্তানে চলে যান। উক্ত হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন নিরীহ পর্যটক, যা ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা আরও তীব্র করে তোলে।

বন্দী বিনিময়ের এ ঘটনাকে দুই দেশের মিডিয়া শান্তিপূর্ণ এবং আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে তুলে ধরেছে। আন্তর্জাতিক মহলেও এই বিনিময়কে স্বাগত জানানো হচ্ছে, কারণ এটি পারস্পরিক আস্থা পুনর্গঠনে সহায়ক হতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, দুই দেশের মধ্যে এমন মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি ভবিষ্যতে আলোচনার দরজা খুলে দিতে পারে এবং সীমান্তে সহিংসতা ও উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

এই ঘটনা প্রমাণ করে, সঠিক সময় ও সদিচ্ছা থাকলে এমন জটিল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব।