ঢাকা ০৬:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
যারা নির্বাচন বয়কট করবে, নিজেরাই মাইনাস হয়ে যাবে: সালাহউদ্দিন আহমদ শ্রীবরদীতে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্পেইন অস্ট্রেলিয়ার ১০ বিলিয়ন ডলারের উইন্ড ফার্ম প্রকল্প বাতিল কোস্টগার্ডের হাতে ধরা পড়ল ৪১৩ কোটি টাকার অবৈধ জাল ডাকসু প্রচারণায় কঠোর শৃঙ্খলা জারি, প্রার্থীদের জন্য নতুন নির্দেশনা চীন সফরে যাচ্ছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধি দল ঢাকা অঞ্চলের ৩১৬ দাবি-আপত্তির শুনানি করছে নির্বাচন কমিশন ফেডারেল রিজার্ভ গভর্নর লিসা কুককে অপসারণের ঘোষণা ট্রাম্পের “প্রত্যাবাসনের পথ: যুক্তরাষ্ট্র-চীনের দ্বন্দ্বে রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ” যুদ্ধ শেষ হলেও রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে : ফিনল্যান্ড

শীর্ষ আদালতে জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক ফেরতের রায় ১ জুন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:২৭:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • / 42

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ও ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক পুনরুদ্ধারের আবেদনের বিষয়ে আপিল বিভাগের রায় আগামী ১ জুন ঘোষণার দিন ধার্য হয়েছে। বুধবার (১৪ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এই তারিখ নির্ধারণ করেন।

জামায়াতের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক ও শিশির মনির। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।

এর আগে ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর জামায়াতের পক্ষে আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় আপিল বিভাগ মামলাটি খারিজ করে দেয়। পরে পুনরায় শুনানির আবেদন করলে ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর আদালত দেরির জন্য মার্জনা করে আপিলটি রিস্টোর করেন। এরপর ৩ ডিসেম্বর থেকে মামলার ওপর শুনানি শুরু হয়।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে সাময়িক নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন। পরের বছর বিভিন্ন ইসলামী দল ও ব্যক্তিরা জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। মামলায় জামায়াতের তৎকালীন শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকেও বিবাদী করা হয়।

২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারি করে। এরপর জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে দলের গঠনতন্ত্রে একাধিকবার পরিবর্তন এনে তা নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হয়। ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্টের একটি বৃহত্তর বেঞ্চ জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন।

ওই রায়ে আদালত বলেন, জামায়াতকে নিবন্ধন প্রদান আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ছিল। তবে দলটিকে আপিল করার অনুমতি দেওয়া হয়। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত একই বছরের ৫ আগস্ট জামায়াতের করা স্থগিতাদেশের আবেদন খারিজ করেন। পরে ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলে জামায়াত আপিল করে।

২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর আবারও জামায়াতের আপিল খারিজ হয় আইনজীবীদের অনুপস্থিতির কারণে। এরপর রেস্টোর আবেদনের মাধ্যমে আবার শুনানির সুযোগ পাওয়া যায়।

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগ সরকার পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর চলমান কোটা বিরোধী আন্দোলনের মধ্যেই জামায়াত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সেই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে নতুন সরকার। এরপর দলটি পুনরায় নিবন্ধনের আবেদন করে এবং বর্তমানে মামলা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

১ জুনের রায়ের দিকে তাকিয়ে আছে রাজনৈতিক অঙ্গন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

শীর্ষ আদালতে জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক ফেরতের রায় ১ জুন

আপডেট সময় ০২:২৭:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ও ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক পুনরুদ্ধারের আবেদনের বিষয়ে আপিল বিভাগের রায় আগামী ১ জুন ঘোষণার দিন ধার্য হয়েছে। বুধবার (১৪ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এই তারিখ নির্ধারণ করেন।

জামায়াতের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক ও শিশির মনির। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।

এর আগে ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর জামায়াতের পক্ষে আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় আপিল বিভাগ মামলাটি খারিজ করে দেয়। পরে পুনরায় শুনানির আবেদন করলে ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর আদালত দেরির জন্য মার্জনা করে আপিলটি রিস্টোর করেন। এরপর ৩ ডিসেম্বর থেকে মামলার ওপর শুনানি শুরু হয়।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে সাময়িক নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন। পরের বছর বিভিন্ন ইসলামী দল ও ব্যক্তিরা জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। মামলায় জামায়াতের তৎকালীন শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকেও বিবাদী করা হয়।

২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারি করে। এরপর জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে দলের গঠনতন্ত্রে একাধিকবার পরিবর্তন এনে তা নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হয়। ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্টের একটি বৃহত্তর বেঞ্চ জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন।

ওই রায়ে আদালত বলেন, জামায়াতকে নিবন্ধন প্রদান আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ছিল। তবে দলটিকে আপিল করার অনুমতি দেওয়া হয়। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত একই বছরের ৫ আগস্ট জামায়াতের করা স্থগিতাদেশের আবেদন খারিজ করেন। পরে ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলে জামায়াত আপিল করে।

২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর আবারও জামায়াতের আপিল খারিজ হয় আইনজীবীদের অনুপস্থিতির কারণে। এরপর রেস্টোর আবেদনের মাধ্যমে আবার শুনানির সুযোগ পাওয়া যায়।

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগ সরকার পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর চলমান কোটা বিরোধী আন্দোলনের মধ্যেই জামায়াত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সেই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে নতুন সরকার। এরপর দলটি পুনরায় নিবন্ধনের আবেদন করে এবং বর্তমানে মামলা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

১ জুনের রায়ের দিকে তাকিয়ে আছে রাজনৈতিক অঙ্গন।