ঢাকা ১০:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতিসংঘের জুলাই অভ্যুত্থান রিপোর্টকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণে রুল জারি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ-এর ১৭তম প্যাকেজের নিষেধাজ্ঞা: তুরস্ক সহ একাধিক দেশও এর অন্তর্ভুক্ত সুন্দরবন সুরক্ষায় নতুন কৌশলে বন বিভাগ, ফাঁদ জমা দিলে মিলছে পুরস্কার ভারতের অরুণাচলের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করল চীন ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনা নিয়ে সৌদির পূর্ণ সমর্থন আছে: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বনেতাদের সংলাপে আহ্বান নতুন পোপ লিও চতুর্দশের ভিসা সংকটে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে যাত্রী কমেছে, কমেছে রাজস্ব আয় মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ৪৪ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ ডিপ্লোমা নার্সিংকে ডিগ্রির মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে শাহবাগ নার্সিং শিক্ষার্থীদের অবরোধ আইপিএলে ৬ কোটি রুপিতে মোস্তাফিজকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এক দিনে নিহত আরও ৫৬ জন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:২১:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • / 5

ছবি সংগৃহীত

 

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা আরও তীব্র হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত গাজার বিভিন্ন এলাকায় চালানো হামলায় অন্তত ৫৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন, নিহতদের অধিকাংশই উত্তর জাবালিয়া এলাকার বাসিন্দা।

স্থানীয় সময় মধ্যরাতের পরপরই ইসরায়েলি বাহিনী একযোগে বেশ কয়েকটি স্থানে হামলা চালায়। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হয় জাবালিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়, যেখানে নারী ও শিশুসহ অসংখ্য সাধারণ মানুষ হতাহত হন।

এদিকে সৌদি আরব সফরে থাকা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি গাজায় চলমান সংঘাতের দ্রুত অবসান চেয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে একেবারেই অনমনীয় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “আমরা কোনো চাপেই যুদ্ধ থামাব না।”

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলায় ইসরায়েলে প্রাণ হারান আনুমানিক ১ হাজার ১৩৯ জন। সেইসঙ্গে ২০০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ওইদিন থেকেই গাজায় টানা সামরিক অভিযানে নামে ইসরায়েল।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যমতে, ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৫২ হাজার ৯০৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ১৯ হাজার ৭২১ জন। তবে গাজার সরকারি গণমাধ্যম অফিস বলছে, প্রকৃত নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। কারণ, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া বহু মানুষকেই মৃত ধরে নেওয়া হয়েছে।

চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়া গাজায় পরিস্থিতি প্রতিদিনই আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। চিকিৎসাকর্মীরা জানাচ্ছেন, সীমিত সরঞ্জাম, ওষুধের অভাব ও বিদ্যুৎ সংকটে কার্যত মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে হাসপাতালগুলো। আন্তর্জাতিক মহলের আহ্বান সত্ত্বেও এখনো কার্যকর কোনো যুদ্ধবিরতি হয়নি।

গাজায় ইসরায়েলি হামলার ধারা অব্যাহত থাকায় মানবিক সংকট দিন দিন আরও গভীর হচ্ছে। শান্তিপূর্ণ সমাধানের আশায় বিশ্ববাসী যখন চেয়ে রয়েছে, তখনই নতুন করে রক্তাক্ত হচ্ছে গাজা উপত্যকা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এক দিনে নিহত আরও ৫৬ জন

আপডেট সময় ০২:২১:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

 

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা আরও তীব্র হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত গাজার বিভিন্ন এলাকায় চালানো হামলায় অন্তত ৫৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন, নিহতদের অধিকাংশই উত্তর জাবালিয়া এলাকার বাসিন্দা।

স্থানীয় সময় মধ্যরাতের পরপরই ইসরায়েলি বাহিনী একযোগে বেশ কয়েকটি স্থানে হামলা চালায়। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হয় জাবালিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়, যেখানে নারী ও শিশুসহ অসংখ্য সাধারণ মানুষ হতাহত হন।

এদিকে সৌদি আরব সফরে থাকা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি গাজায় চলমান সংঘাতের দ্রুত অবসান চেয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে একেবারেই অনমনীয় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “আমরা কোনো চাপেই যুদ্ধ থামাব না।”

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলায় ইসরায়েলে প্রাণ হারান আনুমানিক ১ হাজার ১৩৯ জন। সেইসঙ্গে ২০০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ওইদিন থেকেই গাজায় টানা সামরিক অভিযানে নামে ইসরায়েল।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যমতে, ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৫২ হাজার ৯০৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ১৯ হাজার ৭২১ জন। তবে গাজার সরকারি গণমাধ্যম অফিস বলছে, প্রকৃত নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। কারণ, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া বহু মানুষকেই মৃত ধরে নেওয়া হয়েছে।

চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়া গাজায় পরিস্থিতি প্রতিদিনই আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। চিকিৎসাকর্মীরা জানাচ্ছেন, সীমিত সরঞ্জাম, ওষুধের অভাব ও বিদ্যুৎ সংকটে কার্যত মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে হাসপাতালগুলো। আন্তর্জাতিক মহলের আহ্বান সত্ত্বেও এখনো কার্যকর কোনো যুদ্ধবিরতি হয়নি।

গাজায় ইসরায়েলি হামলার ধারা অব্যাহত থাকায় মানবিক সংকট দিন দিন আরও গভীর হচ্ছে। শান্তিপূর্ণ সমাধানের আশায় বিশ্ববাসী যখন চেয়ে রয়েছে, তখনই নতুন করে রক্তাক্ত হচ্ছে গাজা উপত্যকা।