ঢাকা ০৪:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জবি শিক্ষার্থীদের ওপর টিয়ারশেল-সাউন্ড গ্রেনেডে আহত শতাধিক শিক্ষার্থী ক্ষমতার সময় ফুরিয়ে এসেছে: হুঁশিয়ারি শাজাহান খান চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৮ দফা দাবিতে রেলপথ অবরোধ ও মানববন্ধন মানিকগঞ্জে অসময়ের যমুনার ভাঙন: হুমকির মুখে শতাধিক ঘরবাড়ি শীর্ষ আদালতে জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক ফেরতের রায় ১ জুন ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এক দিনে নিহত আরও ৫৬ জন দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেন ডা. জুবাইদা রহমান তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচি নিয়ে মালয়েশিয়ায় বিএনপির কর্মশালা ঢাবি ভিসিকে দোষী দেখিয়ে মূল সত্য আড়াল করার পাঁয়তারা: সারজিসের অভিযোগ চট্টগ্রাম বন্দর ছাড়া অর্থনীতির নতুন দিগন্ত সম্ভব নয়: ড. ইউনূস

শাহরিয়ার সাম্য হত্যাকাণ্ড: সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এখন ‘অপরাধের স্বর্গরাজ্য’: হাসনাত আব্দুল্লাহ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৫০:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • / 5

ছবি সংগৃহীত

 

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এখন অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে এমনই মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য নিহতের ঘটনায় গভীর ক্ষোভ জানিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি লেখেন, “আমাদের ভাই সাম্যর হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর অন্তত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অপরাধচক্র, মাদক কারবার ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়।”

নিহত সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের মাস্টার্স ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। পাশাপাশি, তিনি স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন।

তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলায়। তার বাবার নাম ফখরুল আলম।

পুলিশ ও সহপাঠীদের বরাতে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে মোটরসাইকেল চালিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন সাম্য। এসময় আরেকটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে দুইপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে উভয়পক্ষ।

ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা সাম্যকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডান রানে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।

তার বন্ধুরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সাম্যর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শোক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। রাতেই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে তারা পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল করে হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানান।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনও পর্যন্ত ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি। তবে তদন্ত চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শাহরিয়ার সাম্য হত্যাকাণ্ড: সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এখন ‘অপরাধের স্বর্গরাজ্য’: হাসনাত আব্দুল্লাহ

আপডেট সময় ১১:৫০:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

 

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এখন অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে এমনই মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য নিহতের ঘটনায় গভীর ক্ষোভ জানিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি লেখেন, “আমাদের ভাই সাম্যর হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর অন্তত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অপরাধচক্র, মাদক কারবার ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়।”

নিহত সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের মাস্টার্স ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। পাশাপাশি, তিনি স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন।

তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলায়। তার বাবার নাম ফখরুল আলম।

পুলিশ ও সহপাঠীদের বরাতে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে মোটরসাইকেল চালিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন সাম্য। এসময় আরেকটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে দুইপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে উভয়পক্ষ।

ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা সাম্যকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডান রানে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।

তার বন্ধুরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সাম্যর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শোক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। রাতেই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে তারা পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল করে হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানান।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনও পর্যন্ত ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি। তবে তদন্ত চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।