৪ জেলায় নতুন করে বন্যার আশঙ্কা, কৃষকদের জন্য জরুরি সতর্কতা
- আপডেট সময় ০৪:৩৩:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
- / 112
চলতি মে মাসের ২৩ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন বেসরকারি আবহাওয়া পূর্বাভাস সংস্থা আবহাওয়া.কম-এর প্রধান আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ।
আজ সোমবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে সতর্কবার্তা দেন তিনি। আবহাওয়াবিদ পলাশ জানান, সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম হতে পারে ‘শক্তি’। এটি ২৪ থেকে ২৬ মে’র মধ্যে ভারতের ওড়িশা উপকূল এবং বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূলের মধ্যবর্তী যে কোনো স্থানে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে।
তবে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ এবং খুলনা উপকূলীয় অঞ্চলের ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করার সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে বেশি।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলায়, বিশেষ করে সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলায় টানা ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক আবহাওয়া মডেলসমূহ। ফলে পাহাড়ি ঢলের কারণে হাওড় অঞ্চলের বিলগুলো প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই এসব এলাকা পানিতে প্লাবিত হতে পারে। এ অবস্থায়, যেসব হাওড় বা বিল এলাকায় এখনো ধান কাটা হয়নি, সেগুলো দ্রুত কেটে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, “যদি কোনো বিলে এখনো ধান কাটা না হয়ে থাকে, তাহলে ২০ মে’র মধ্যেই ফসল কেটে নেওয়া উচিত। কারণ ঝড় ও বৃষ্টির ফলে হাওড় অঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে, এতে ফসলের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।”
এর আগে গতকাল রবিবারও আবহাওয়াবিদ পলাশ ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনার বিষয়ে সতর্কতা দিয়েছিলেন। আজকের বার্তায় তিনি সিলেট বিভাগে সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি নিয়েও আলোকপাত করেন।
সতর্কবার্তায় কৃষক ও স্থানীয় প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ যদি পূর্বাভাস অনুযায়ী আঘাত হানে, তবে এটি এ বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উপকূলীয় এলাকায় বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সবার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “সতর্ক থাকুন, তথ্য হালনাগাদ রাখুন এবং আবহাওয়া অধিদপ্তর বা বিশ্বস্ত সূত্র থেকে পাওয়া বার্তা অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নিন।”