ঢাকা ০৯:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
২১ আগস্ট মামলায় খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের শুনানি শুরু শ্রীমঙ্গলে করলা চাষে বিপ্লব, বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ জীবন গণতন্ত্রের পথে ঐকমত্য প্রয়োজন, মতপার্থক্য নয়: আলী রীয়াজ মেয়র পদে ইশরাক হোসেনকে বসানো নিয়ে উত্তপ্ত গুলিস্তান, চলছেই লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের হামলার নিন্দা সারজিস আলমের, ‘ধিক্কার জানাই এমন আচরণে’ সিন্ধু চুক্তি ভাঙার চিন্তা করবেন না, নয়াদিল্লিকে হুঁশিয়ারি পাক প্রধানমন্ত্রীর বাল্যবিবাহ বিরোধী পোস্টের জেরে প্রাণ গেল তরুণের: গ্রেফতার ৬ জন বাজেটে মৎস্য-প্রাণিসম্পদে বাড়তি ভর্তুকি ও ঋণ সুবিধা চান খাতসংশ্লিষ্টরা কুড়িগ্রাম সীমান্তে বজ্রপাতে ১ বিজিবি সদস্য নিহত, আহত আরো ৪ কোটচাঁদপুরে ট্রেনে অভিযান, ৩ কোটির হেরোইন উদ্ধার

রাজনৈতিক বিতর্ক নিয়ে জাতীয় ঐক্যের পক্ষে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল এনসিপি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:০০:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
  • / 10

ছবি: সংগৃহীত

 

সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সোমবার (১২ মে) দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে এনসিপি জানায়, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চলমান আন্দোলনের যৌক্তিকতা তারা সমর্থন করলেও, জনগণের ইতিহাসবিরোধী কিংবা দলীয় স্লোগানে তারা জড়িত নয়।

এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, তারা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছেন যে, সাম্প্রতিক আন্দোলনে একটি পক্ষ দলীয় স্লোগান ও জনগণের ঐতিহাসিক সংগ্রামের বিরুদ্ধে কথা বলছে। এতে করে আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য থেকে দৃষ্টি সরে যাচ্ছে এবং জাতীয় ঐক্য গঠনের সম্ভাবনা ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলা হয়, এনসিপির কোনো সদস্য এমন কোনো স্লোগান দেয়নি যা জনগণের সংগ্রাম ও ইতিহাসের বিরোধী। এ ধরনের আপত্তিকর স্লোগান যেসব পক্ষ দিয়েছে, দায়ভারও তাদেরই বহন করতে হবে। এনসিপি মনে করে, ১৯৪৭, ১৯৭১ এবং ২০২৪ সালের সংগ্রামের ধারাবাহিকতা দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি, এবং তাদের বক্তব্য ও স্লোগানে সে চেতনারই প্রতিফলন ঘটেছে।

জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সময় একপক্ষের আপত্তির পরও আন্দোলনকারীদের দৃঢ়তা প্রশংসনীয় বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

এনসিপি আরও জানায়, যারা অতীতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল বা গণহত্যায় সহযোগিতা করেছে, তাদের উচিত বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে জাতীয় ঐক্য গঠনে সহায়তা করা। চব্বিশের অভ্যুত্থানকে বাস্তবায়নের জন্য এই ঐক্য অপরিহার্য।

বিবৃতিতে বলা হয়, গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে ফ্যাসিবাদী জমানায় যারা নির্যাতিত হয়েছেন এবং চব্বিশের অভ্যুত্থানে ভূমিকা রেখেছেন, তাদের এখন প্রয়োজন ‘বাংলাদেশপন্থি’ ভূমিকা পালন করে নতুন বাংলাদেশের নির্মাণে অংশ নেওয়া।

এনসিপি মনে করে, অতীতের বিভাজন ও আদর্শগত মতপার্থক্য মুছে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ঐক্য গড়ে তোলাই এখন সময়ের দাবি। কেবল ঐক্যবদ্ধ জনগণই মুজিববাদের আদর্শকে পরাজিত করে বাংলাদেশকে একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে নিতে পারবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

রাজনৈতিক বিতর্ক নিয়ে জাতীয় ঐক্যের পক্ষে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল এনসিপি

আপডেট সময় ১২:০০:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

 

সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সোমবার (১২ মে) দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে এনসিপি জানায়, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চলমান আন্দোলনের যৌক্তিকতা তারা সমর্থন করলেও, জনগণের ইতিহাসবিরোধী কিংবা দলীয় স্লোগানে তারা জড়িত নয়।

এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, তারা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছেন যে, সাম্প্রতিক আন্দোলনে একটি পক্ষ দলীয় স্লোগান ও জনগণের ঐতিহাসিক সংগ্রামের বিরুদ্ধে কথা বলছে। এতে করে আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য থেকে দৃষ্টি সরে যাচ্ছে এবং জাতীয় ঐক্য গঠনের সম্ভাবনা ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলা হয়, এনসিপির কোনো সদস্য এমন কোনো স্লোগান দেয়নি যা জনগণের সংগ্রাম ও ইতিহাসের বিরোধী। এ ধরনের আপত্তিকর স্লোগান যেসব পক্ষ দিয়েছে, দায়ভারও তাদেরই বহন করতে হবে। এনসিপি মনে করে, ১৯৪৭, ১৯৭১ এবং ২০২৪ সালের সংগ্রামের ধারাবাহিকতা দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি, এবং তাদের বক্তব্য ও স্লোগানে সে চেতনারই প্রতিফলন ঘটেছে।

জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সময় একপক্ষের আপত্তির পরও আন্দোলনকারীদের দৃঢ়তা প্রশংসনীয় বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

এনসিপি আরও জানায়, যারা অতীতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল বা গণহত্যায় সহযোগিতা করেছে, তাদের উচিত বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে জাতীয় ঐক্য গঠনে সহায়তা করা। চব্বিশের অভ্যুত্থানকে বাস্তবায়নের জন্য এই ঐক্য অপরিহার্য।

বিবৃতিতে বলা হয়, গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে ফ্যাসিবাদী জমানায় যারা নির্যাতিত হয়েছেন এবং চব্বিশের অভ্যুত্থানে ভূমিকা রেখেছেন, তাদের এখন প্রয়োজন ‘বাংলাদেশপন্থি’ ভূমিকা পালন করে নতুন বাংলাদেশের নির্মাণে অংশ নেওয়া।

এনসিপি মনে করে, অতীতের বিভাজন ও আদর্শগত মতপার্থক্য মুছে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ঐক্য গড়ে তোলাই এখন সময়ের দাবি। কেবল ঐক্যবদ্ধ জনগণই মুজিববাদের আদর্শকে পরাজিত করে বাংলাদেশকে একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে নিতে পারবে।