বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণে সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

- আপডেট সময় ০৬:৩৫:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
- / 11
স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার প্রতি জরুরি ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রবিবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এলডিসি উত্তরণ কমিটির সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান। বৈঠকে এলডিসি উত্তরণ কার্যক্রমের সার্বিক অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।
বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীসহ এলডিসি উত্তরণ কমিটির সদস্য ও নীতিগত উপদেষ্টারা উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আমাদের এমন একটি দল গঠন করতে হবে, যারা জরুরি মুহূর্তে অগ্নিনির্বাপক দলের মতো দ্রুত, দক্ষ ও নিরবচ্ছিন্নভাবে সাড়া দিতে পারবে এবং সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকবে।”
তিনি প্রাতিষ্ঠানিক প্রস্তুতির ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করে বলেন, “উত্তরণের এই সময়টিতে কোনো ধরনের জটিলতা বা ধীরগতি সহ্যযোগ্য নয়। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় এটি বাস্তবায়ন করতে হবে।”
প্রধান উপদেষ্টা আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পুরো উত্তরণ প্রক্রিয়ার তত্ত্বাবধান ও নজরদারি করা হবে। তিনি বলেন, “সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এ কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।”
বৈঠকে এলডিসি উত্তরণ কমিটি জরুরি ভিত্তিতে বাস্তবায়নের জন্য পাঁচটি অগ্রাধিকারমূলক পদক্ষেপ চিহ্নিত করে।
এই পদক্ষেপগুলো হলোঃ
* সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার অংশগ্রহণে ‘ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো’ পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যকর করা
* একটি স্পষ্ট কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে ‘জাতীয় শুল্কনীতি ২০২৩’ বাস্তবায়ন
* অবকাঠামো প্রকল্পসহ ‘জাতীয় লজিস্টিকস নীতি ২০২৪’-এর মূল কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়ন
* সাভার ট্যানারি পল্লীতে ইটিপি প্লান্ট প্রস্তুত করা
* মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) পার্ক পূর্ণমাত্রায় চালু করা
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এসব শুধু প্রশাসনিক বা রুটিন কাজ নয়, বরং দেশের অর্থনৈতিক শক্তিমত্তা ও ন্যায্য উন্নয়ন নিশ্চিত করতে অপরিহার্য পদক্ষেপ।”
তিনি সব অংশীজনকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমাদের এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে, কারণ সময়ের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়লে ভবিষ্যৎ ক্ষতির দায়ভার জাতিকেই নিতে হবে।”