ঢাকা ০৬:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর মডেলের প্রস্তাব ডিএমপি আবারো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে যান চলাচল বন্ধ, যমুনা সেতুতে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩ ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় রাশিয়ার হামলা নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাস যেন ক্রস না করে : শামসুজ্জামান দুদু ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট: দায়ীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট, শুনানি ১৭ আগস্ট ত্রিদেশীয় জয় শেষে ইংল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল

ভারতে চ্যানেল বন্ধে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা না মিললে পাল্টা পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৫৪:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
  • / 90

ছবি সংগৃহীত

 

 

ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশের ছয়টি টেলিভিশন চ্যানেলের ইউটিউব সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে গুগলের মালিকানাধীন ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব। ভারতের ভূ-অবস্থান থেকে এসব চ্যানেলে প্রবেশ করতে গেলে এখন লেখা দেখা যাচ্ছে“ এই কনটেন্টটি বর্তমানে এই দেশে প্রবেশযোগ্য নয়। কারণ, এটি জাতীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সরকারি আদেশের আওতায় রয়েছে।”

প্রাথমিকভাবে যমুনা টিভি, একাত্তর টিভি, বাংলাভিশন ও মোহনা টিভির সম্প্রচার বন্ধ করা হয়। পরবর্তীতে শনিবার হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ডিসমিস ল্যাব জানায়, তালিকায় যুক্ত হয়েছে সময় টিভি ও ডিবিসি নিউজ। সবগুলো চ্যানেলই ইউটিউব স্বীকৃত (ভেরিফায়েড), যাদের সম্মিলিত সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ৫ কোটি ৪২ লাখের বেশি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, ইউটিউবের এই পদক্ষেপের ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। তাঁর ভাষায়, “ভারতের অনুরোধে ইউটিউব এ সিদ্ধান্ত নিলেও বাংলাদেশের নাগরিকদের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে। আমরা সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা চাইবো। যদি না পাই, তাহলে বাংলাদেশও পাল্টা পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।”

শুক্রবার রাতে নিজের ফেসবুক পোস্টে ফয়েজ আহমদ বলেন, “বাংলাদেশের অন্তত চারটি টিভি স্টেশন জিও ব্লক করেছে ইউটিউব ভারত। ফলে ভারতে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকরা যেসব চ্যানেল নিয়মিত অনুসরণ করতেন, তারা বড় রকমের অসুবিধায় পড়েছেন। এটি ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনের শামিল।”

তথ্য ও প্রযুক্তির উপর গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান ডিজিটালি রাইট এবং তাদের তথ্য যাচাই সহযোগী ডিসমিস ল্যাব পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানা গেছে।

এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে বাংলাদেশের গণমাধ্যম এবং ডিজিটাল অধিকারকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তাদের মতে, দুই দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনার রেশ প্রযুক্তি নির্ভর তথ্য প্রবাহে প্রভাব ফেলছে, যা গণতান্ত্রিক ও মুক্ত তথ্যপ্রবাহের পরিপন্থী।

বাংলাদেশ সরকার ইউটিউবের সঙ্গে যোগাযোগে রয়েছে এবং প্রয়োজন হলে কূটনৈতিক পর্যায়েও বিষয়টি তোলা হবে বলে সূত্র জানায়। এখন প্রশ্ন উঠছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার রক্ষায় প্রযুক্তি জায়ান্টদের ভূমিকা কতটা দায়িত্বশীল?

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারতে চ্যানেল বন্ধে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা না মিললে পাল্টা পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ

আপডেট সময় ০৬:৫৪:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

 

 

ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশের ছয়টি টেলিভিশন চ্যানেলের ইউটিউব সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে গুগলের মালিকানাধীন ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব। ভারতের ভূ-অবস্থান থেকে এসব চ্যানেলে প্রবেশ করতে গেলে এখন লেখা দেখা যাচ্ছে“ এই কনটেন্টটি বর্তমানে এই দেশে প্রবেশযোগ্য নয়। কারণ, এটি জাতীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সরকারি আদেশের আওতায় রয়েছে।”

প্রাথমিকভাবে যমুনা টিভি, একাত্তর টিভি, বাংলাভিশন ও মোহনা টিভির সম্প্রচার বন্ধ করা হয়। পরবর্তীতে শনিবার হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ডিসমিস ল্যাব জানায়, তালিকায় যুক্ত হয়েছে সময় টিভি ও ডিবিসি নিউজ। সবগুলো চ্যানেলই ইউটিউব স্বীকৃত (ভেরিফায়েড), যাদের সম্মিলিত সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ৫ কোটি ৪২ লাখের বেশি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, ইউটিউবের এই পদক্ষেপের ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। তাঁর ভাষায়, “ভারতের অনুরোধে ইউটিউব এ সিদ্ধান্ত নিলেও বাংলাদেশের নাগরিকদের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে। আমরা সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা চাইবো। যদি না পাই, তাহলে বাংলাদেশও পাল্টা পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।”

শুক্রবার রাতে নিজের ফেসবুক পোস্টে ফয়েজ আহমদ বলেন, “বাংলাদেশের অন্তত চারটি টিভি স্টেশন জিও ব্লক করেছে ইউটিউব ভারত। ফলে ভারতে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকরা যেসব চ্যানেল নিয়মিত অনুসরণ করতেন, তারা বড় রকমের অসুবিধায় পড়েছেন। এটি ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনের শামিল।”

তথ্য ও প্রযুক্তির উপর গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান ডিজিটালি রাইট এবং তাদের তথ্য যাচাই সহযোগী ডিসমিস ল্যাব পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানা গেছে।

এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে বাংলাদেশের গণমাধ্যম এবং ডিজিটাল অধিকারকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তাদের মতে, দুই দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনার রেশ প্রযুক্তি নির্ভর তথ্য প্রবাহে প্রভাব ফেলছে, যা গণতান্ত্রিক ও মুক্ত তথ্যপ্রবাহের পরিপন্থী।

বাংলাদেশ সরকার ইউটিউবের সঙ্গে যোগাযোগে রয়েছে এবং প্রয়োজন হলে কূটনৈতিক পর্যায়েও বিষয়টি তোলা হবে বলে সূত্র জানায়। এখন প্রশ্ন উঠছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার রক্ষায় প্রযুক্তি জায়ান্টদের ভূমিকা কতটা দায়িত্বশীল?