০১:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

নাইজেরিয়ার ইমো রাজ্যে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ৩০ যাত্রী

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৪৯:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
  • / 65

ছবি: সংগৃহীত

 

নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ইমো রাজ্যে সন্ত্রাসীদের গুলিতে অন্তত ৩০ জন যাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ ঘটনা নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি।

ঘটনাটি ইমো রাজ্যের ওরু এলাকায় ঘটেছে, যা দীর্ঘদিন ধরেই সহিংসতা ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে চরম উদ্বেগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের এক্স (পূর্বে টুইটার) প্ল্যাটফর্মে জানিয়েছে, এই বর্বর হামলার পেছনে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘ইন্ডিজেনাস পিপল অব বিয়াফ্রা (আইপিওবি)’-এর সন্দেহভাজন সদস্যরা জড়িত।

বিজ্ঞাপন

সন্ত্রাসীরা একযোগে তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে একটি ব্যস্ত মহাসড়ক অবরোধ করে। এরপর শুরু করে এলোপাতাড়ি গুলি চালানো এবং যাত্রীবাহী গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া। এতে ঘটনাস্থলেই বহু যাত্রীর মৃত্যু হয়। অ্যামনেস্টির তথ্যমতে, হামলাকারীরা অন্তত ২০টিরও বেশি গাড়ি ও ট্রাক পুড়িয়ে দেয়।

ইমো রাজ্যের পুলিশ মুখপাত্র হেনরি ওকোয়ে হামলার খবর নিশ্চিত করলেও নিহতের সঠিক সংখ্যা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি রয়টার্সকে জানান, পুলিশের পাল্টা অভিযানে অন্তত একজন হামলাকারী নিহত হয়েছে।

পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘হামলার পরপরই এলাকাটি ঘিরে রেখে একটি পূর্ণাঙ্গ চিরুনি অভিযান শুরু করা হয়েছে। সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করতে পার্শ্ববর্তী বনাঞ্চল এবং বসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় এই অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই আইপিওবি গোষ্ঠীর বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা চলছে। গোষ্ঠীটি স্বাধীন বিয়াফ্রা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে বহুবার সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে এবং স্থানীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা মারাত্মক চাপে পড়েছে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এই ধরনের হামলা শুধু নিরীহ মানুষের প্রাণহানি বাড়াচ্ছে না, বরং গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকেই হুমকির মুখে ফেলছে।

সূত্র: রয়টার্স

নিউজটি শেয়ার করুন

নাইজেরিয়ার ইমো রাজ্যে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ৩০ যাত্রী

আপডেট সময় ০৩:৪৯:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

 

নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ইমো রাজ্যে সন্ত্রাসীদের গুলিতে অন্তত ৩০ জন যাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ ঘটনা নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি।

ঘটনাটি ইমো রাজ্যের ওরু এলাকায় ঘটেছে, যা দীর্ঘদিন ধরেই সহিংসতা ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে চরম উদ্বেগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের এক্স (পূর্বে টুইটার) প্ল্যাটফর্মে জানিয়েছে, এই বর্বর হামলার পেছনে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘ইন্ডিজেনাস পিপল অব বিয়াফ্রা (আইপিওবি)’-এর সন্দেহভাজন সদস্যরা জড়িত।

বিজ্ঞাপন

সন্ত্রাসীরা একযোগে তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে একটি ব্যস্ত মহাসড়ক অবরোধ করে। এরপর শুরু করে এলোপাতাড়ি গুলি চালানো এবং যাত্রীবাহী গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া। এতে ঘটনাস্থলেই বহু যাত্রীর মৃত্যু হয়। অ্যামনেস্টির তথ্যমতে, হামলাকারীরা অন্তত ২০টিরও বেশি গাড়ি ও ট্রাক পুড়িয়ে দেয়।

ইমো রাজ্যের পুলিশ মুখপাত্র হেনরি ওকোয়ে হামলার খবর নিশ্চিত করলেও নিহতের সঠিক সংখ্যা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি রয়টার্সকে জানান, পুলিশের পাল্টা অভিযানে অন্তত একজন হামলাকারী নিহত হয়েছে।

পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘হামলার পরপরই এলাকাটি ঘিরে রেখে একটি পূর্ণাঙ্গ চিরুনি অভিযান শুরু করা হয়েছে। সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করতে পার্শ্ববর্তী বনাঞ্চল এবং বসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় এই অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই আইপিওবি গোষ্ঠীর বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা চলছে। গোষ্ঠীটি স্বাধীন বিয়াফ্রা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে বহুবার সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে এবং স্থানীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা মারাত্মক চাপে পড়েছে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এই ধরনের হামলা শুধু নিরীহ মানুষের প্রাণহানি বাড়াচ্ছে না, বরং গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকেই হুমকির মুখে ফেলছে।

সূত্র: রয়টার্স