ঢাকা ০৫:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সুন্দরবনে টহল দলের বনকর্মীদের ওপর দুষ্কৃতকারীদের হামলা, আহত ২ পীরগঞ্জে বজ্রঘাতে কৃষকের মৃত্যু বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি কৌতুক অভিনেতা দিলদারের মৃত্যুবার্ষিকী আজ সোহাগ হত্যায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হজ ব্যবস্থাপনায় আরও সাশ্রয়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে বাংলাদেশ: ধর্ম উপদেষ্টা ইসরাইলের হামলার উদ্দেশ্য ছিল ইরানের প্রেসিডেন্টকে হত্যা করা: রিপোর্ট ভুরুঙ্গামারীতে ড্রাম ট্রাকের চাপায় অটোচালকসহ নিহত ২, আহত ৩ বদরগঞ্জে ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার ‘অপারেশন ইগল হান্ট’ মামলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে আ’ লীগ নেতা গ্রেফতার জুলাই আন্দোলন মামলায় আত্মসমর্পণে জামিন পেলেন অপু বিশ্বাস

নাইজেরিয়ার ইমো রাজ্যে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ৩০ যাত্রী

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৪৯:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
  • / 18

ছবি: সংগৃহীত

 

নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ইমো রাজ্যে সন্ত্রাসীদের গুলিতে অন্তত ৩০ জন যাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ ঘটনা নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি।

ঘটনাটি ইমো রাজ্যের ওরু এলাকায় ঘটেছে, যা দীর্ঘদিন ধরেই সহিংসতা ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে চরম উদ্বেগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের এক্স (পূর্বে টুইটার) প্ল্যাটফর্মে জানিয়েছে, এই বর্বর হামলার পেছনে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘ইন্ডিজেনাস পিপল অব বিয়াফ্রা (আইপিওবি)’-এর সন্দেহভাজন সদস্যরা জড়িত।

সন্ত্রাসীরা একযোগে তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে একটি ব্যস্ত মহাসড়ক অবরোধ করে। এরপর শুরু করে এলোপাতাড়ি গুলি চালানো এবং যাত্রীবাহী গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া। এতে ঘটনাস্থলেই বহু যাত্রীর মৃত্যু হয়। অ্যামনেস্টির তথ্যমতে, হামলাকারীরা অন্তত ২০টিরও বেশি গাড়ি ও ট্রাক পুড়িয়ে দেয়।

ইমো রাজ্যের পুলিশ মুখপাত্র হেনরি ওকোয়ে হামলার খবর নিশ্চিত করলেও নিহতের সঠিক সংখ্যা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি রয়টার্সকে জানান, পুলিশের পাল্টা অভিযানে অন্তত একজন হামলাকারী নিহত হয়েছে।

পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘হামলার পরপরই এলাকাটি ঘিরে রেখে একটি পূর্ণাঙ্গ চিরুনি অভিযান শুরু করা হয়েছে। সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করতে পার্শ্ববর্তী বনাঞ্চল এবং বসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় এই অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই আইপিওবি গোষ্ঠীর বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা চলছে। গোষ্ঠীটি স্বাধীন বিয়াফ্রা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে বহুবার সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে এবং স্থানীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা মারাত্মক চাপে পড়েছে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এই ধরনের হামলা শুধু নিরীহ মানুষের প্রাণহানি বাড়াচ্ছে না, বরং গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকেই হুমকির মুখে ফেলছে।

সূত্র: রয়টার্স

নিউজটি শেয়ার করুন

নাইজেরিয়ার ইমো রাজ্যে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ৩০ যাত্রী

আপডেট সময় ০৩:৪৯:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

 

নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ইমো রাজ্যে সন্ত্রাসীদের গুলিতে অন্তত ৩০ জন যাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ ঘটনা নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি।

ঘটনাটি ইমো রাজ্যের ওরু এলাকায় ঘটেছে, যা দীর্ঘদিন ধরেই সহিংসতা ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে চরম উদ্বেগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের এক্স (পূর্বে টুইটার) প্ল্যাটফর্মে জানিয়েছে, এই বর্বর হামলার পেছনে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘ইন্ডিজেনাস পিপল অব বিয়াফ্রা (আইপিওবি)’-এর সন্দেহভাজন সদস্যরা জড়িত।

সন্ত্রাসীরা একযোগে তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে একটি ব্যস্ত মহাসড়ক অবরোধ করে। এরপর শুরু করে এলোপাতাড়ি গুলি চালানো এবং যাত্রীবাহী গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া। এতে ঘটনাস্থলেই বহু যাত্রীর মৃত্যু হয়। অ্যামনেস্টির তথ্যমতে, হামলাকারীরা অন্তত ২০টিরও বেশি গাড়ি ও ট্রাক পুড়িয়ে দেয়।

ইমো রাজ্যের পুলিশ মুখপাত্র হেনরি ওকোয়ে হামলার খবর নিশ্চিত করলেও নিহতের সঠিক সংখ্যা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি রয়টার্সকে জানান, পুলিশের পাল্টা অভিযানে অন্তত একজন হামলাকারী নিহত হয়েছে।

পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘হামলার পরপরই এলাকাটি ঘিরে রেখে একটি পূর্ণাঙ্গ চিরুনি অভিযান শুরু করা হয়েছে। সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করতে পার্শ্ববর্তী বনাঞ্চল এবং বসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় এই অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই আইপিওবি গোষ্ঠীর বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা চলছে। গোষ্ঠীটি স্বাধীন বিয়াফ্রা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে বহুবার সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে এবং স্থানীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা মারাত্মক চাপে পড়েছে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এই ধরনের হামলা শুধু নিরীহ মানুষের প্রাণহানি বাড়াচ্ছে না, বরং গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকেই হুমকির মুখে ফেলছে।

সূত্র: রয়টার্স