ঢাকা ০৭:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি

চলছে শাহবাগ ব্লকেড, রাজধানীতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি তীব্রতর

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:০৩:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
  • / 15

ছবি: সংগৃহীত

 

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় আজ শনিবার সকালেও অবরুদ্ধ রয়েছে। ‘শাহবাগ ব্লকেড’ নামে চলমান এই কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। আন্দোলনকারীরা জানায়, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থান চলবে।

শাহবাগে উপস্থিত রয়েছেন জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরাও। তাঁদের স্লোগানে মুখরিত শাহবাগ এলাকাজুড়ে বিরাজ করছে রাজনৈতিক উত্তেজনা। যদিও অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি সেবা প্রদানকারী যানবাহনগুলো চলাচলের সুযোগ পাচ্ছে।

গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত চারটার দিকে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে রাজধানী ও সারাদেশে মহাসড়কে ব্লকেড না দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি লিখেছেন, “শাহবাগ ছাড়া অন্য কোথাও ব্লকেড নয়। জেলাগুলোতে স্বতঃস্ফূর্ত জমায়েত করুন, সমাবেশ করুন, কিন্তু ব্লকেড খুলে দিন।”

এনসিপি ও সমমনা রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকেই শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। এর আগে রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান ও মিন্টো রোড মোড়ে মঞ্চ তৈরি করে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম গতকাল সন্ধ্যায় ফেসবুক পোস্টে আন্দোলনের তিনটি প্রধান দাবি তুলে ধরেন: আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে দলীয় বিচারের বিধান সংযোজন, এবং ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ। এরপর সংগঠনের দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও উত্তরাঞ্চলীয় সংগঠক সারজিস আলমসহ আরও অনেকেই একই দাবি সম্বলিত পোস্ট দেন।

আজ শনিবার বেলা তিনটায় শাহবাগে গণজমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সারা দেশের জুলাই অভ্যুত্থানের স্থানগুলোতেও গণজমায়েত কর্মসূচি পালিত হবে।

নাহিদ ইসলাম আরও জানান, শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি চলমান থাকবে এবং সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে সারা দেশের মানুষ আবারও ঢাকামুখী মার্চ শুরু করবে।

রাজধানীর শাহবাগ এখন আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে, যেখানে দ্বিতীয় অভ্যুত্থান পর্বের ঘোষণা দিয়ে উত্তপ্ত করে তোলা হয়েছে দেশের রাজনীতি।

নিউজটি শেয়ার করুন

চলছে শাহবাগ ব্লকেড, রাজধানীতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি তীব্রতর

আপডেট সময় ১০:০৩:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

 

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় আজ শনিবার সকালেও অবরুদ্ধ রয়েছে। ‘শাহবাগ ব্লকেড’ নামে চলমান এই কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। আন্দোলনকারীরা জানায়, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থান চলবে।

শাহবাগে উপস্থিত রয়েছেন জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরাও। তাঁদের স্লোগানে মুখরিত শাহবাগ এলাকাজুড়ে বিরাজ করছে রাজনৈতিক উত্তেজনা। যদিও অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি সেবা প্রদানকারী যানবাহনগুলো চলাচলের সুযোগ পাচ্ছে।

গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত চারটার দিকে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে রাজধানী ও সারাদেশে মহাসড়কে ব্লকেড না দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি লিখেছেন, “শাহবাগ ছাড়া অন্য কোথাও ব্লকেড নয়। জেলাগুলোতে স্বতঃস্ফূর্ত জমায়েত করুন, সমাবেশ করুন, কিন্তু ব্লকেড খুলে দিন।”

এনসিপি ও সমমনা রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকেই শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। এর আগে রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান ও মিন্টো রোড মোড়ে মঞ্চ তৈরি করে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম গতকাল সন্ধ্যায় ফেসবুক পোস্টে আন্দোলনের তিনটি প্রধান দাবি তুলে ধরেন: আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে দলীয় বিচারের বিধান সংযোজন, এবং ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ। এরপর সংগঠনের দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও উত্তরাঞ্চলীয় সংগঠক সারজিস আলমসহ আরও অনেকেই একই দাবি সম্বলিত পোস্ট দেন।

আজ শনিবার বেলা তিনটায় শাহবাগে গণজমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সারা দেশের জুলাই অভ্যুত্থানের স্থানগুলোতেও গণজমায়েত কর্মসূচি পালিত হবে।

নাহিদ ইসলাম আরও জানান, শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি চলমান থাকবে এবং সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে সারা দেশের মানুষ আবারও ঢাকামুখী মার্চ শুরু করবে।

রাজধানীর শাহবাগ এখন আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে, যেখানে দ্বিতীয় অভ্যুত্থান পর্বের ঘোষণা দিয়ে উত্তপ্ত করে তোলা হয়েছে দেশের রাজনীতি।