ঢাকা ০৬:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নীলফামারীতে ট্রাক্টরের চাপায় ইজিবাইক যাত্রী নিহত আমাদের সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে হবে: জাতিসংঘ মহাসচিব যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে ভুয়া চিকিৎসক আটক অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যকর পদক্ষেপে মূল্যস্ফীতির হার কমছে: প্রেস সচিব জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়কাল নিয়ে আমরা কোনো বক্তব্য করিনি: নাহিদ ইসলাম রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে সংশোধনী প্রস্তাব আনছে ঐকমত্য কমিশন: আলী রীয়াজ জাপানের দ্বীপপুঞ্জে ১৬০০ বার ভূমিকম্পের আঘাত, আতঙ্কিত দ্বীপবাসী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ, আদেশ ১০ জুলাই শেরপুরে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে শিশুর মৃত্যু, আহত ৫ অস্ট্রেলিয়ায় বিষাক্ত মাশরুম খাইয়ে শ্বশুর-শাশুড়ি হত্যা, গৃহবধূ দোষী সাব্যস্ত

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার রাফিউল হাসান গ্রেপ্তার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:১৬:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
  • / 20

ছবি: সংগৃহীত

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সহিংসতার ঘটনায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার (প্রক্টর কার্যালয়) রাফিউল হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক দুইটার দিকে রংপুর নগরের গণেশপুর এলাকায় তাঁর নিজ বাসা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।

রংপুর মহানগরের তাজহাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোসাদ্দেকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাফিউল হাসানের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়েরকৃত মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। গোপন সূত্রে তাঁর অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন গত মঙ্গলবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সহিংসতার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলার বাদী হিসেবে নাম রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার হারুন অর রশিদের। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সদস্যসহ মোট ৭১ জনকে নামীয় আসামি করা হয়েছে। একই সঙ্গে আরও ৮০-১০০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে।

এজাহারে বলা হয়, গত বছরের ১১ জুলাই আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু সাঈদের ওপর হামলা এবং ১৬ জুলাই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ রয়েছে, পুলিশ ও বহিরাগতরা মিলে লাঠিসোঁটা, রড, ছুরি, রামদা, কিরিচ ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে ছাত্রদের ওপর আক্রমণ চালান। এমনকি পুলিশের গুলিতেও নিরস্ত্র শিক্ষার্থীরা আহত হন।

মামলায় রাফিউল হাসানের নাম ৪৩ নম্বর আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একই মামলায় ৪৬ নম্বর আসামি হিসেবে থাকা সহকারী রেজিস্ট্রার (ডেসপাস শাখা) মোকতারুল ইসলামকেও গতকাল সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে নতুন করে উদ্বেগ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ছাত্রদের দাবি, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ওপর এ ধরনের দমন-পীড়ন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার রাফিউল হাসান গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৪:১৬:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সহিংসতার ঘটনায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার (প্রক্টর কার্যালয়) রাফিউল হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক দুইটার দিকে রংপুর নগরের গণেশপুর এলাকায় তাঁর নিজ বাসা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।

রংপুর মহানগরের তাজহাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোসাদ্দেকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাফিউল হাসানের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়েরকৃত মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। গোপন সূত্রে তাঁর অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন গত মঙ্গলবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সহিংসতার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলার বাদী হিসেবে নাম রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার হারুন অর রশিদের। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সদস্যসহ মোট ৭১ জনকে নামীয় আসামি করা হয়েছে। একই সঙ্গে আরও ৮০-১০০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে।

এজাহারে বলা হয়, গত বছরের ১১ জুলাই আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু সাঈদের ওপর হামলা এবং ১৬ জুলাই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ রয়েছে, পুলিশ ও বহিরাগতরা মিলে লাঠিসোঁটা, রড, ছুরি, রামদা, কিরিচ ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে ছাত্রদের ওপর আক্রমণ চালান। এমনকি পুলিশের গুলিতেও নিরস্ত্র শিক্ষার্থীরা আহত হন।

মামলায় রাফিউল হাসানের নাম ৪৩ নম্বর আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একই মামলায় ৪৬ নম্বর আসামি হিসেবে থাকা সহকারী রেজিস্ট্রার (ডেসপাস শাখা) মোকতারুল ইসলামকেও গতকাল সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে নতুন করে উদ্বেগ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ছাত্রদের দাবি, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ওপর এ ধরনের দমন-পীড়ন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।