ঢাকা ০৭:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আইপিএলে ৬ কোটি রুপিতে মোস্তাফিজকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস রামগঞ্জে বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যা আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ঢাবি ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবী ছাত্রদলের ব্যাংকে সুশাসন নিশ্চিত হবে, আমানতকারীদের স্বার্থেই কাজ করছি: গভর্নর যুক্তরাষ্ট্র-সিরিয়া সম্পর্কের নব অধ্যায়: রিয়াদে ট্রাম্প-আল-শারার ঐতিহাসিক বৈঠক সিলেট সীমান্ত দিয়ে ১৬ জনকে পুশইন করল বিএসএফ, আটক বিজিবির ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে উল্লাসে মেতে উঠলো সিরিয়ার জনতা আটারি সীমান্তে ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে একজন করে সেনা বন্দিবিনিময় দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে রাজশাহী নার্সিং কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা

সাতক্ষীরার ২০৩ কিমি সীমান্তে কড়া নজরদারি, বিজিবির টহলে নিরাপত্তা জোরদার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৫২:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
  • / 10

ছবি: সংগৃহীত

 

ভারত ও পাকিস্তানের চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে সাতক্ষীরার ২০৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত এলাকায় বাসিন্দাদের মধ্যে উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে। তবে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির বাড়তি টহল এবং গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করায় এলাকায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।

বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, সাতক্ষীরায় ৩৬ কিলোমিটার ডাঙা ও ১৬৭ কিলোমিটার নদী সীমান্ত রয়েছে। এই দীর্ঘ সীমান্তরক্ষায় নিয়োজিত রয়েছে বিজিবির ৩৩ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা, যারা দিনরাত সতর্ক প্রহরায় নিয়োজিত আছেন।

সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিজিবির নীরব নজরদারির পাশাপাশি রয়েছে নিয়মিত টহল। স্থানীয়রাও সীমান্তের দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখছেন। তারা জানিয়েছেন, সীমান্ত পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক রয়েছে। তবে পাশের দেশের সীমান্তরক্ষী বিএসএফ সদস্যদের আনাগোনা কিছুটা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা এলাকাবাসীকে শঙ্কিত করছে।

সীমান্তের এক জনপ্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম মিলন বলেন, “ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা থাকলেও সাতক্ষীরার সীমান্ত এখনো শান্ত। তবে পূর্বে যেখানে প্রতি ৫০০ গজে একজন বিএসএফ সদস্য অবস্থান করতেন, সেখানে এখন ৩০০ গজ পরপর দেখা যাচ্ছে, যা কিছুটা চিন্তার কারণ। যদি কোনও অপতৎপরতা শুরু হয়, আমরা বিজিবির সঙ্গে একযোগে তা প্রতিহত করব।”

স্থানীয় বাসিন্দারাও জানিয়েছেন, অনুপ্রবেশ বা চোরাচালান ঠেকাতে তারা বিজিবির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত।

জেলা কোর কমিটির সভাপতি ও সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ জানান, “সাতক্ষীরা একটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্ত জেলা। ভারত অংশে সীমান্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় নিরাপত্তা রক্ষায় আমাদের দিক থেকেও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন জরুরি। এ লক্ষ্যে কাজ চলমান।”

সীমান্তে যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি ও স্থানীয় প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলেও তিনি জানান।

সীমান্তে উত্তেজনা থাকলেও বিজিবি ও এলাকাবাসীর একতাবদ্ধ ভূমিকা সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা

সাতক্ষীরার ২০৩ কিমি সীমান্তে কড়া নজরদারি, বিজিবির টহলে নিরাপত্তা জোরদার

আপডেট সময় ১২:৫২:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

 

ভারত ও পাকিস্তানের চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে সাতক্ষীরার ২০৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত এলাকায় বাসিন্দাদের মধ্যে উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে। তবে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির বাড়তি টহল এবং গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করায় এলাকায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।

বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, সাতক্ষীরায় ৩৬ কিলোমিটার ডাঙা ও ১৬৭ কিলোমিটার নদী সীমান্ত রয়েছে। এই দীর্ঘ সীমান্তরক্ষায় নিয়োজিত রয়েছে বিজিবির ৩৩ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা, যারা দিনরাত সতর্ক প্রহরায় নিয়োজিত আছেন।

সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিজিবির নীরব নজরদারির পাশাপাশি রয়েছে নিয়মিত টহল। স্থানীয়রাও সীমান্তের দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখছেন। তারা জানিয়েছেন, সীমান্ত পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক রয়েছে। তবে পাশের দেশের সীমান্তরক্ষী বিএসএফ সদস্যদের আনাগোনা কিছুটা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা এলাকাবাসীকে শঙ্কিত করছে।

সীমান্তের এক জনপ্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম মিলন বলেন, “ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা থাকলেও সাতক্ষীরার সীমান্ত এখনো শান্ত। তবে পূর্বে যেখানে প্রতি ৫০০ গজে একজন বিএসএফ সদস্য অবস্থান করতেন, সেখানে এখন ৩০০ গজ পরপর দেখা যাচ্ছে, যা কিছুটা চিন্তার কারণ। যদি কোনও অপতৎপরতা শুরু হয়, আমরা বিজিবির সঙ্গে একযোগে তা প্রতিহত করব।”

স্থানীয় বাসিন্দারাও জানিয়েছেন, অনুপ্রবেশ বা চোরাচালান ঠেকাতে তারা বিজিবির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত।

জেলা কোর কমিটির সভাপতি ও সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ জানান, “সাতক্ষীরা একটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্ত জেলা। ভারত অংশে সীমান্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় নিরাপত্তা রক্ষায় আমাদের দিক থেকেও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন জরুরি। এ লক্ষ্যে কাজ চলমান।”

সীমান্তে যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি ও স্থানীয় প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলেও তিনি জানান।

সীমান্তে উত্তেজনা থাকলেও বিজিবি ও এলাকাবাসীর একতাবদ্ধ ভূমিকা সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে।