ঢাকা ১১:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গা/জা/য় ইসরায়েলি হামলায় আরো নিহত ৬১, ক্ষুধার্ত গাজাবাসী সিআইডি প্রধান হলেন ছিবগাত উল্লাহ বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও ভিসা সহজীকরণে আগ্রহী সংযুক্ত আরব আমিরাত সীমান্ত নিরাপত্তায় কড়াকড়ি, পুলিশ সুপারদের সতর্ক থাকার বার্তা আইজিপির ছয় দফা দাবিতে বরিশাল নার্সিং কলেজে অনির্দিষ্টকালের জন্য শাটডাউন পাকিস্তানের জবাবি হামলায় ভারতের মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫ রূপগঞ্জে ফসলি জমি কেটে বালুভরাট, প্রতিবাদে মানববন্ধন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে ইসির প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদন ঢাকা রেঞ্জের নতুন ডিআইজি হলেন ডিএমপির সাবেক ডিবি প্রধান রেজাউল করিম মল্লিক শীর্ষে অনলাইন রিটার্ন দাখিল: আয়কর সেবায় নতুন রেকর্ড

সাইবার নিরাপত্তা আইন পুনর্গঠন: বাতিল ৯টি ধারা, গেজেট আসছে শিগগিরই

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:৫৫:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
  • / 3

ছবি সংগৃহীত

 

সাইবার সুরক্ষা আইন সংশোধনের মাধ্যমে প্রস্তাবিত নতুন অধ্যাদেশে ইন্টারনেটকে প্রথমবারের মতো মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। একইসঙ্গে, অনলাইন জুয়াকে নিষিদ্ধ করা, সাইবার স্পেসে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং যৌন হয়রানিকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টিও এতে যোগ হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ মে) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান তিনি। ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, সভায় সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া উপস্থাপন করা হয়েছে এবং কিছু সংশোধনের পর চলতি সপ্তাহেই গেজেট আকারে এটি প্রকাশ হতে পারে।

আইন উপদেষ্টা বলেন, “আগের আইনের ৯টি ধারা সম্পূর্ণভাবে বাতিল করা হয়েছে, যেগুলোর ভিত্তিতে ৯৫ শতাংশ মামলা হয়েছিল। এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই হয়রানিমূলক ছিল এবং নতুন অধ্যাদেশের প্রবর্তনের পর এসব মামলা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।”

তিনি আরও জানান, মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংরক্ষণে সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা হয়েছে। শুধুমাত্র দুটি বিষয়কে অপরাধ হিসেবে রাখা হয়েছে: এক, নারী ও শিশুর প্রতি যৌন নির্যাতনমূলক কনটেন্ট প্রকাশ ও হুমকি প্রদান এবং দুই, ধর্মীয় ঘৃণা ছড়ানো, যার মাধ্যমে সহিংসতা উসকে দেওয়া হয়। এসব অপরাধকে কঠোরভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে যাতে সাধারণ নাগরিক হয়রানির শিকার না হন।

একইসঙ্গে, দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথমবারের মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে সংঘটিত সাইবার অপরাধকে শাস্তিযোগ্য করা হয়েছে বলে জানান আসিফ নজরুল।

মত প্রকাশের বিষয়ক এই দুটি অভিযোগ আমলি আদালতে বিচারাধীন হবে। এমন কোনো মামলা দায়ের হলে ম্যাজিস্ট্রেট চাইলে প্রি-ট্রায়াল পর্যায়ে সেটি খারিজ করে দিতে পারবেন। যদি প্রমাণ পাওয়া যায় মামলাটি ভিত্তিহীন কিংবা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, তাহলে ম্যাজিস্ট্রেট ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তা বাতিলের আদেশ দিতে পারবেন, চার্জশিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না।

বাতিল হওয়া বিতর্কিত ধারাগুলোর মধ্যে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় পতাকা বা শহীদদের বিষয়ে ‘বিদ্বেষ, বিভ্রান্তি বা কুৎসামূলক’ তথ্য ছড়ানোর শাস্তির বিধান, মানহানিকর তথ্য প্রকাশের ধারা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা তৈরি করতে পারে এমন বক্তব্য বা কনটেন্ট প্রকাশ

নিউজটি শেয়ার করুন

সাইবার নিরাপত্তা আইন পুনর্গঠন: বাতিল ৯টি ধারা, গেজেট আসছে শিগগিরই

আপডেট সময় ০৮:৫৫:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

 

সাইবার সুরক্ষা আইন সংশোধনের মাধ্যমে প্রস্তাবিত নতুন অধ্যাদেশে ইন্টারনেটকে প্রথমবারের মতো মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। একইসঙ্গে, অনলাইন জুয়াকে নিষিদ্ধ করা, সাইবার স্পেসে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং যৌন হয়রানিকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টিও এতে যোগ হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ মে) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান তিনি। ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, সভায় সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া উপস্থাপন করা হয়েছে এবং কিছু সংশোধনের পর চলতি সপ্তাহেই গেজেট আকারে এটি প্রকাশ হতে পারে।

আইন উপদেষ্টা বলেন, “আগের আইনের ৯টি ধারা সম্পূর্ণভাবে বাতিল করা হয়েছে, যেগুলোর ভিত্তিতে ৯৫ শতাংশ মামলা হয়েছিল। এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই হয়রানিমূলক ছিল এবং নতুন অধ্যাদেশের প্রবর্তনের পর এসব মামলা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।”

তিনি আরও জানান, মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংরক্ষণে সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা হয়েছে। শুধুমাত্র দুটি বিষয়কে অপরাধ হিসেবে রাখা হয়েছে: এক, নারী ও শিশুর প্রতি যৌন নির্যাতনমূলক কনটেন্ট প্রকাশ ও হুমকি প্রদান এবং দুই, ধর্মীয় ঘৃণা ছড়ানো, যার মাধ্যমে সহিংসতা উসকে দেওয়া হয়। এসব অপরাধকে কঠোরভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে যাতে সাধারণ নাগরিক হয়রানির শিকার না হন।

একইসঙ্গে, দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথমবারের মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে সংঘটিত সাইবার অপরাধকে শাস্তিযোগ্য করা হয়েছে বলে জানান আসিফ নজরুল।

মত প্রকাশের বিষয়ক এই দুটি অভিযোগ আমলি আদালতে বিচারাধীন হবে। এমন কোনো মামলা দায়ের হলে ম্যাজিস্ট্রেট চাইলে প্রি-ট্রায়াল পর্যায়ে সেটি খারিজ করে দিতে পারবেন। যদি প্রমাণ পাওয়া যায় মামলাটি ভিত্তিহীন কিংবা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, তাহলে ম্যাজিস্ট্রেট ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তা বাতিলের আদেশ দিতে পারবেন, চার্জশিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না।

বাতিল হওয়া বিতর্কিত ধারাগুলোর মধ্যে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় পতাকা বা শহীদদের বিষয়ে ‘বিদ্বেষ, বিভ্রান্তি বা কুৎসামূলক’ তথ্য ছড়ানোর শাস্তির বিধান, মানহানিকর তথ্য প্রকাশের ধারা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা তৈরি করতে পারে এমন বক্তব্য বা কনটেন্ট প্রকাশ