ঢাকা ১২:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতিসংঘের জুলাই অভ্যুত্থান রিপোর্টকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণে রুল জারি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ-এর ১৭তম প্যাকেজের নিষেধাজ্ঞা: তুরস্ক সহ একাধিক দেশও এর অন্তর্ভুক্ত সুন্দরবন সুরক্ষায় নতুন কৌশলে বন বিভাগ, ফাঁদ জমা দিলে মিলছে পুরস্কার ভারতের অরুণাচলের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করল চীন ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনা নিয়ে সৌদির পূর্ণ সমর্থন আছে: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বনেতাদের সংলাপে আহ্বান নতুন পোপ লিও চতুর্দশের ভিসা সংকটে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে যাত্রী কমেছে, কমেছে রাজস্ব আয় মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ৪৪ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ ডিপ্লোমা নার্সিংকে ডিগ্রির মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে শাহবাগ নার্সিং শিক্ষার্থীদের অবরোধ আইপিএলে ৬ কোটি রুপিতে মোস্তাফিজকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস

ইরানের হুঁশিয়ারি: আক্রমণ হলে কঠোর জবাব পাবে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩৪:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
  • / 19

ছবি সংগৃহীত

 

তেহরান তার ভূখণ্ডে যেকোনো ধরনের হামলার বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাম্প্রতিক হুমকির জবাবে সোমবার এ হুঁশিয়ারি দেয় ইরান। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

এর আগে রোববার ইসরায়েল অভিযোগ করে, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের মাধ্যমে তেল আবিবের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চালানো হামলার সঙ্গে ইরান প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। যদিও এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে তেহরান।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অতীতে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে ইসরায়েল, ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেন, “ইরানের বিরুদ্ধেও সঠিক সময়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক বার্তায় তিনি এই হুমকি প্রকাশ করেন।

এই প্রেক্ষাপটে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, তারা জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তেহরান স্পষ্ট করে জানায়, যদি তাদের ভূখণ্ডে সরাসরি কোনো হামলা চালানো হয়, তাহলে এর দায়দায়িত্ব ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে নিতে হবে এবং তারা কঠোর পরিণামের মুখোমুখি হবে।

ইরান বরাবরই বলে আসছে, হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকলেও, সামরিক অভিযান বা হামলার পরিকল্পনায় তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। অন্যদিকে, ইসরায়েল মনে করছে হুতিদের ব্যবহার করে মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টায় রয়েছে তেহরান।

তবে নতুন করে এই হুমকি-পাল্টা হুমকি দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই অবস্থার অবনতি হলে তা পুরো মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।

বর্তমানে গাজা ও লেবানন সীমান্তে চলমান সংঘর্ষের মধ্যেই ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার এই নতুন উত্তেজনা আরও বড় পরিসরের সংঘাতে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহল পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধানে আহ্বান জানালেও, দুই দেশই নিজেদের অবস্থানে অনড়।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ইরানের হুঁশিয়ারি: আক্রমণ হলে কঠোর জবাব পাবে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় ১০:৩৪:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

 

তেহরান তার ভূখণ্ডে যেকোনো ধরনের হামলার বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাম্প্রতিক হুমকির জবাবে সোমবার এ হুঁশিয়ারি দেয় ইরান। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

এর আগে রোববার ইসরায়েল অভিযোগ করে, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের মাধ্যমে তেল আবিবের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চালানো হামলার সঙ্গে ইরান প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। যদিও এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে তেহরান।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অতীতে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে ইসরায়েল, ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেন, “ইরানের বিরুদ্ধেও সঠিক সময়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক বার্তায় তিনি এই হুমকি প্রকাশ করেন।

এই প্রেক্ষাপটে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, তারা জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তেহরান স্পষ্ট করে জানায়, যদি তাদের ভূখণ্ডে সরাসরি কোনো হামলা চালানো হয়, তাহলে এর দায়দায়িত্ব ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে নিতে হবে এবং তারা কঠোর পরিণামের মুখোমুখি হবে।

ইরান বরাবরই বলে আসছে, হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকলেও, সামরিক অভিযান বা হামলার পরিকল্পনায় তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। অন্যদিকে, ইসরায়েল মনে করছে হুতিদের ব্যবহার করে মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টায় রয়েছে তেহরান।

তবে নতুন করে এই হুমকি-পাল্টা হুমকি দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই অবস্থার অবনতি হলে তা পুরো মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।

বর্তমানে গাজা ও লেবানন সীমান্তে চলমান সংঘর্ষের মধ্যেই ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার এই নতুন উত্তেজনা আরও বড় পরিসরের সংঘাতে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহল পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধানে আহ্বান জানালেও, দুই দেশই নিজেদের অবস্থানে অনড়।