ঢাকা ১২:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শিক্ষার্থীদের হামলার নিন্দা সারজিস আলমের, ‘ধিক্কার জানাই এমন আচরণে’ সিন্ধু চুক্তি ভাঙার চিন্তা করবেন না, নয়াদিল্লিকে হুঁশিয়ারি পাক প্রধানমন্ত্রীর বাল্যবিবাহ বিরোধী পোস্টের জেরে প্রাণ গেল তরুণের: গ্রেফতার ৬ জন বাজেটে মৎস্য-প্রাণিসম্পদে বাড়তি ভর্তুকি ও ঋণ সুবিধা চান খাতসংশ্লিষ্টরা কুড়িগ্রাম সীমান্তে বজ্রপাতে ১ বিজিবি সদস্য নিহত, আহত আরো ৪ কোটচাঁদপুরে ট্রেনে অভিযান, ৩ কোটির হেরোইন উদ্ধার মেসির বিবর্ণ দিনে ৩-৩ গোলের রোমাঞ্চকর ড্রয়ে থামল ইন্টার মায়ামি পারমাণবিক কর্মসূচিতে বিধিনিষেধ মানতে প্রস্তুত ইরান, শর্ত শুধু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ২০ ফিলিস্তিনি নিহত, মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৫২ হাজার ভারতের অহংকার চূর্ণ করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী: শেহবাজ শরিফের দাবি

পাপনের ৮০০ কোটি টাকার লেনদেন ও অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:২৭:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
  • / 11

ছবি সংগৃহীত

 

সাবেক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি ও সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন এবং তার স্ত্রীকে ঘিরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য উদঘাটন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়াও দুদকের অনুসন্ধানে পাপন দম্পতির নামে ৩৩ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের খোঁজ মিলেছে।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে কমিশনের অনুমোদন পাওয়ায় পাপন দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক সাইদুজ্জামান। দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় বিসিবির সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালীন সময়েই পাপনের বিরুদ্ধে অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠে। দুদকে জমা পড়া অভিযোগে বলা হয়, বিসিবির শত শত কোটি টাকা অনিয়মের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে দুদক গত ২৮ এপ্রিল বিসিবিকে একটি চিঠি পাঠায়, যেখানে পূর্বাচল স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প, বিপিএলের খরচ, আইসিসির আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে ব্যয়, বিদেশি কোচ নিয়োগ ইত্যাদি মিলিয়ে ২৭টি ভিন্ন ভিন্ন খাতের নথিপত্র চাওয়া হয়।

দুদক সূত্র বলছে, নাজমুল হাসান পাপন আওয়ামী লীগের টিকিটে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এমপি থাকাকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ লুটপাটের অভিযোগও উঠেছে। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে তার এবং স্ত্রীর বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ এবং সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের তথ্য।

এছাড়া বিসিবিতে অর্থ আত্মসাতের আরও একটি পৃথক অনুসন্ধানও চালাচ্ছে দুদক, যা এখনও চলমান রয়েছে। এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দফতরে একাধিক চিঠি পাঠিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

নাজমুল হাসান পাপনের বিরুদ্ধে এতবড় আর্থিক কেলেঙ্কারির তথ্য প্রকাশ্যে আসায় ক্রীড়াঙ্গনসহ রাজনৈতিক অঙ্গনেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দুদক বলছে, তদন্তে আরও নতুন তথ্য পাওয়া গেলে সেটিও মামলার আওতায় আনা হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

পাপনের ৮০০ কোটি টাকার লেনদেন ও অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক

আপডেট সময় ০২:২৭:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

 

সাবেক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি ও সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন এবং তার স্ত্রীকে ঘিরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য উদঘাটন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়াও দুদকের অনুসন্ধানে পাপন দম্পতির নামে ৩৩ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের খোঁজ মিলেছে।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে কমিশনের অনুমোদন পাওয়ায় পাপন দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক সাইদুজ্জামান। দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় বিসিবির সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালীন সময়েই পাপনের বিরুদ্ধে অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠে। দুদকে জমা পড়া অভিযোগে বলা হয়, বিসিবির শত শত কোটি টাকা অনিয়মের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে দুদক গত ২৮ এপ্রিল বিসিবিকে একটি চিঠি পাঠায়, যেখানে পূর্বাচল স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প, বিপিএলের খরচ, আইসিসির আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে ব্যয়, বিদেশি কোচ নিয়োগ ইত্যাদি মিলিয়ে ২৭টি ভিন্ন ভিন্ন খাতের নথিপত্র চাওয়া হয়।

দুদক সূত্র বলছে, নাজমুল হাসান পাপন আওয়ামী লীগের টিকিটে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এমপি থাকাকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ লুটপাটের অভিযোগও উঠেছে। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে তার এবং স্ত্রীর বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ এবং সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের তথ্য।

এছাড়া বিসিবিতে অর্থ আত্মসাতের আরও একটি পৃথক অনুসন্ধানও চালাচ্ছে দুদক, যা এখনও চলমান রয়েছে। এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দফতরে একাধিক চিঠি পাঠিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

নাজমুল হাসান পাপনের বিরুদ্ধে এতবড় আর্থিক কেলেঙ্কারির তথ্য প্রকাশ্যে আসায় ক্রীড়াঙ্গনসহ রাজনৈতিক অঙ্গনেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দুদক বলছে, তদন্তে আরও নতুন তথ্য পাওয়া গেলে সেটিও মামলার আওতায় আনা হবে।