ঢাকা ১০:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের দুই দিনে ৩,৬২২ মামলা চাঁদপুরে সেরা সাঁতারু বাছাইয়ে ট্যালেন্ট হান্ট অনুষ্ঠিত, অংশগ্রহণ ২ শতাধিক সাঁতারু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা নিহত, আহত অন্তত ১৫ জন আশুরা আমাদের সত্য ও ন্যায়ের পথে সাহস জোগায়: প্রধান উপদেষ্টা হাতিরঝিলে ‘এগিয়ে বাংলাদেশ’ দৌড় প্রতিযোগিতা, অংশগ্রহণে ৮০০ প্রতিযোগী ইসলামবিরোধী কার্যকলাপে কঠোর অবস্থানের হুঁশিয়ারি খেলাফত আমিরের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটিং ব্যর্থতা, ২৪৯ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ জামালপুরে নগর মাতৃসদনে ভুল চিকিৎসায় এক নবজাতকের মৃত্যু, আটক ২ নার্স দেশে করোনায় ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৬ আওয়ামী নেতাদের দমন-পীড়ন ছিল ইয়াজিদ বাহিনীর সমতুল্য: তারেক রহমান

বিদেশে নির্মিত সব চলচ্চিত্রে ১০০% শুল্কের ঘোষণা ট্রাম্পের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:১৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
  • / 26

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে নির্মিত সব চলচ্চিত্রের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রোববার (স্থানীয় সময়) নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প এ সিদ্ধান্ত জানান।

ট্রাম্পের দাবি, মার্কিন স্টুডিও ও নির্মাতারা দিন দিন বিদেশমুখী হয়ে পড়ায় হলিউড ধ্বংসের পথে। তাই এই অবস্থা থেকে রক্ষা করতে তিনি বিদেশে নির্মিত সব চলচ্চিত্রের ওপর শতভাগ শুল্কারোপের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য বাণিজ্য বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

ট্রাম্প লেখেন, “আমাদের চলচ্চিত্রশিল্প দ্রুতই ধ্বংসের দিকে এগোচ্ছে। বিভিন্ন দেশ যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতাদের বাইরে নিয়ে যেতে প্রণোদনা দিচ্ছে। এতে হলিউডসহ বিভিন্ন অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।”

এই সিদ্ধান্ত এমন সময় এলো, যখন ট্রাম্প আগ্রাসী বাণিজ্যনীতির কারণে দেশি-বিদেশি মহলে ব্যাপক সমালোচিত। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফিরেই তিনি বিভিন্ন দেশের ওপর বড় অঙ্কের শুল্ক আরোপ করেন। এর আগে তিনি চীনের পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

এদিকে গত মাসেই চীন ঘোষণা দেয়, তারা আমদানি করা মার্কিন চলচ্চিত্রের সংখ্যা কমাবে। এই প্রেক্ষাপটেই ট্রাম্পের পাল্টা অবস্থান বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

তবে ঠিক কীভাবে এই নতুন শুল্ক কার্যকর করা হবে বা এতে মার্কিন চলচ্চিত্র বাজারে কী প্রভাব পড়বে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। ট্রাম্পের ঘোষণার পর এ বিষয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি বাণিজ্য দপ্তর।

বিশ্ব চলচ্চিত্রবাজারে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেমার অবস্থান শক্ত হলেও, ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্ত বৈশ্বিক বিনিময়ে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র বাজারে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে উভয় পক্ষের ক্ষতি হতে পারে।

এদিকে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্রশিল্প রক্ষার জন্য ‘চূড়ান্ত চেষ্টা’ হিসেবে দেখলেও, কেউ কেউ এটিকে ‘আত্মঘাতী পদক্ষেপ’ বলেও অভিহিত করছেন।

এখন দেখার বিষয়, তার এই শুল্কনীতি বাস্তবায়নের পথে প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেয় এবং বিশ্ব চলচ্চিত্রে এর প্রভাব কতদূর বিস্তার লাভ করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিদেশে নির্মিত সব চলচ্চিত্রে ১০০% শুল্কের ঘোষণা ট্রাম্পের

আপডেট সময় ১১:১৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে নির্মিত সব চলচ্চিত্রের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রোববার (স্থানীয় সময়) নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প এ সিদ্ধান্ত জানান।

ট্রাম্পের দাবি, মার্কিন স্টুডিও ও নির্মাতারা দিন দিন বিদেশমুখী হয়ে পড়ায় হলিউড ধ্বংসের পথে। তাই এই অবস্থা থেকে রক্ষা করতে তিনি বিদেশে নির্মিত সব চলচ্চিত্রের ওপর শতভাগ শুল্কারোপের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য বাণিজ্য বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

ট্রাম্প লেখেন, “আমাদের চলচ্চিত্রশিল্প দ্রুতই ধ্বংসের দিকে এগোচ্ছে। বিভিন্ন দেশ যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতাদের বাইরে নিয়ে যেতে প্রণোদনা দিচ্ছে। এতে হলিউডসহ বিভিন্ন অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।”

এই সিদ্ধান্ত এমন সময় এলো, যখন ট্রাম্প আগ্রাসী বাণিজ্যনীতির কারণে দেশি-বিদেশি মহলে ব্যাপক সমালোচিত। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফিরেই তিনি বিভিন্ন দেশের ওপর বড় অঙ্কের শুল্ক আরোপ করেন। এর আগে তিনি চীনের পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

এদিকে গত মাসেই চীন ঘোষণা দেয়, তারা আমদানি করা মার্কিন চলচ্চিত্রের সংখ্যা কমাবে। এই প্রেক্ষাপটেই ট্রাম্পের পাল্টা অবস্থান বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

তবে ঠিক কীভাবে এই নতুন শুল্ক কার্যকর করা হবে বা এতে মার্কিন চলচ্চিত্র বাজারে কী প্রভাব পড়বে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। ট্রাম্পের ঘোষণার পর এ বিষয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি বাণিজ্য দপ্তর।

বিশ্ব চলচ্চিত্রবাজারে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেমার অবস্থান শক্ত হলেও, ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্ত বৈশ্বিক বিনিময়ে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র বাজারে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে উভয় পক্ষের ক্ষতি হতে পারে।

এদিকে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্রশিল্প রক্ষার জন্য ‘চূড়ান্ত চেষ্টা’ হিসেবে দেখলেও, কেউ কেউ এটিকে ‘আত্মঘাতী পদক্ষেপ’ বলেও অভিহিত করছেন।

এখন দেখার বিষয়, তার এই শুল্কনীতি বাস্তবায়নের পথে প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেয় এবং বিশ্ব চলচ্চিত্রে এর প্রভাব কতদূর বিস্তার লাভ করে।