ঢাকা ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শাহাদাতের রক্তে রাঙা অবিনাশী চেতনা শীর্ষক কনফারেন্স সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়তের সভাপতি নির্বাচিত হলেন আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান খন্দকার মোশাররফের নেতৃত্বে যমুনায় বিএনপির প্রতিনিধি দল থাইল্যান্ডে পুলিশ হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে ৩ জন নিহত চার দাবিতে এনবিআরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি চলবে রোববার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন প্রধান উপদেষ্টা নবীনগরে গলায় লিচুর বিচি আটকে শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু ভারতের টেস্ট দলের নতুন অধিনায়ক হলেন শুভমান গিল পুঁজিবাজার থেকে উধাও ১৫ হাজার কোটি টাকা: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের বিস্ফোরক দাবি ওষুধ ছাড়াই ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে যেসব খাবার খাবেন!

কুরবানির জন্য দেশীয় গবাদিপশু যথেষ্ট, আমদানির প্রয়োজন নেই: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৫২:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • / 7

ছবি সংগৃহীত

 

চলতি বছর কুরবানির জন্য দেশে ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে, জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। রোববার (৪ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, আসন্ন ঈদ-উল-আযহায় কুরবানির পশুর চাহিদা মেটাতে বিদেশ থেকে কোনো পশু আমদানির প্রয়োজন নেই। অবৈধভাবে যেন পশু না আসে, সে বিষয়েও কঠোর নজরদারি থাকবে।

পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ ও পরিবহনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা বলেন, “আমরা প্রস্তুত। বাজারে যাতে কোনো অস্থিরতা না তৈরি হয়, সে জন্য খামারিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। পশুর দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার বিষয়েও আমরা সচেষ্ট।”

তিনি আরও জানান, সরকার খামারিদের আশ্বস্ত করেছে—দেশীয়ভাবে উৎপাদিত পশু দিয়েই কুরবানির চাহিদা পূরণ সম্ভব। কোনো আমদানির প্রয়োজন হবে না। চাঁদাবাজি ঠেকাতে প্রশাসন সক্রিয় থাকবে এবং বাজারে অস্থিতিশীলতা রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর কুরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে রয়েছে ৫৬ লাখ ২ হাজার ৯০৫টি গরু-মহিষ, ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার ৯২০টি ছাগল-ভেড়া এবং অন্যান্য ৫ হাজার ৫১২টি পশু। চাহিদার তুলনায় প্রায় ২০ লাখ ৬৮ হাজার পশু উদ্বৃত্ত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পশু হৃষ্টপুষ্টকরণ ও নিরাপদ লালন-পালনের বিষয়ে খামারিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৮৩ হাজার ৬৫৬ জন খামারিকে প্রশিক্ষণ, ৬ হাজার ৬০০টি উঠান বৈঠক এবং প্রায় তিন লাখ লিফলেট-পোস্টার বিতরণ করা হয়েছে। স্টেরয়েড ও হরমোন ব্যবহারের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ৫৩ হাজারের বেশি খামার পরিদর্শন করেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এর পাশাপাশি মোবাইল কোর্ট পরিচালনাও চলছে।

পশুবাহী যানবাহনের সুষ্ঠু পরিবহন নিশ্চিত করতে বাস বা লকআপে ছাগল-ভেড়া পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। প্রাণিকল্যাণ আইন ২০১৯ অনুযায়ী পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা বা অনুপযুক্ত পরিবহন শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে।

পশুবাহী ট্রাক ছিনতাই রোধে বিজিবি, পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ বিভাগ যৌথভাবে কাজ করবে। হটলাইন (১৬৩৫৮) চালু থাকবে—যেখানে যেকোনো অভিযোগ জানালে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ছাড়া, হাট বসানো ও যানজট এড়াতে মহাসড়ক ও সেতু এলাকায় হাট বসাতে নিরুৎসাহিত করা হবে। পশুবাহী যানবাহন চলাচলে অগ্রাধিকার ও যানজট নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে একযোগে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সরকারের এ উদ্যোগে আশা করা হচ্ছে, এবারের কুরবানির মৌসুমে পশু সরবরাহ, দাম ও পরিবহনে কোনো ধরণের জটিলতা দেখা দেবে না।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

কুরবানির জন্য দেশীয় গবাদিপশু যথেষ্ট, আমদানির প্রয়োজন নেই: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৭:৫২:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

 

চলতি বছর কুরবানির জন্য দেশে ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে, জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। রোববার (৪ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, আসন্ন ঈদ-উল-আযহায় কুরবানির পশুর চাহিদা মেটাতে বিদেশ থেকে কোনো পশু আমদানির প্রয়োজন নেই। অবৈধভাবে যেন পশু না আসে, সে বিষয়েও কঠোর নজরদারি থাকবে।

পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ ও পরিবহনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা বলেন, “আমরা প্রস্তুত। বাজারে যাতে কোনো অস্থিরতা না তৈরি হয়, সে জন্য খামারিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। পশুর দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার বিষয়েও আমরা সচেষ্ট।”

তিনি আরও জানান, সরকার খামারিদের আশ্বস্ত করেছে—দেশীয়ভাবে উৎপাদিত পশু দিয়েই কুরবানির চাহিদা পূরণ সম্ভব। কোনো আমদানির প্রয়োজন হবে না। চাঁদাবাজি ঠেকাতে প্রশাসন সক্রিয় থাকবে এবং বাজারে অস্থিতিশীলতা রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর কুরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে রয়েছে ৫৬ লাখ ২ হাজার ৯০৫টি গরু-মহিষ, ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার ৯২০টি ছাগল-ভেড়া এবং অন্যান্য ৫ হাজার ৫১২টি পশু। চাহিদার তুলনায় প্রায় ২০ লাখ ৬৮ হাজার পশু উদ্বৃত্ত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পশু হৃষ্টপুষ্টকরণ ও নিরাপদ লালন-পালনের বিষয়ে খামারিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৮৩ হাজার ৬৫৬ জন খামারিকে প্রশিক্ষণ, ৬ হাজার ৬০০টি উঠান বৈঠক এবং প্রায় তিন লাখ লিফলেট-পোস্টার বিতরণ করা হয়েছে। স্টেরয়েড ও হরমোন ব্যবহারের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ৫৩ হাজারের বেশি খামার পরিদর্শন করেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এর পাশাপাশি মোবাইল কোর্ট পরিচালনাও চলছে।

পশুবাহী যানবাহনের সুষ্ঠু পরিবহন নিশ্চিত করতে বাস বা লকআপে ছাগল-ভেড়া পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। প্রাণিকল্যাণ আইন ২০১৯ অনুযায়ী পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা বা অনুপযুক্ত পরিবহন শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে।

পশুবাহী ট্রাক ছিনতাই রোধে বিজিবি, পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ বিভাগ যৌথভাবে কাজ করবে। হটলাইন (১৬৩৫৮) চালু থাকবে—যেখানে যেকোনো অভিযোগ জানালে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ছাড়া, হাট বসানো ও যানজট এড়াতে মহাসড়ক ও সেতু এলাকায় হাট বসাতে নিরুৎসাহিত করা হবে। পশুবাহী যানবাহন চলাচলে অগ্রাধিকার ও যানজট নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে একযোগে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সরকারের এ উদ্যোগে আশা করা হচ্ছে, এবারের কুরবানির মৌসুমে পশু সরবরাহ, দাম ও পরিবহনে কোনো ধরণের জটিলতা দেখা দেবে না।