০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
হাদিকে গুলি: প্রধান আসামি ফয়সালের বাবা–মা গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার সেই মুসলিমকে ‘জাতীয় হিরো’ আখ্যা দিয়ে যা বললেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে সন্ধ্যায় ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা জনসমাগমের মধ্যে দক্ষিণখানে যুবলীগ নেতা খুন জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা গাজায় যুদ্ধবিরতি মানতে ইসরায়েলকে হোয়াইট হাউসের সতর্কবার্তা, নেতানিয়াহুকে সরাসরি বার্তা শিশু সাজিদের মৃত্যু: ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ মানুষকে ভয় দেখাতেই এসব হামলা: রিজওয়ানা আটকের পর যা বললেন গুলিতে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক হান্নান মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

এনায়েত উল্লাহ ও পরিবারের ১৯০টি যানবাহন জব্দের নির্দেশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৩৯:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • / 130

ছবি সংগৃহীত

 

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ঢাকার পরিবহন খাতে প্রভাব বিস্তারকারী এনা পরিবহনের মালিক ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাবেক মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ এবং তার স্ত্রী-সন্তানের নামে থাকা ১৯০টি যানবাহন জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৪ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

দুদকের উপপরিচালক মো. সাইদুজ্জামান খন্দকার আদালতে আবেদনের মাধ্যমে জানান, খন্দকার এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী পরিবহন থেকে প্রতিদিন প্রায় এক কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুদক। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এনায়েত উল্লাহ এবং তার পরিবারের মালিকানাধীন যানবাহনগুলো জব্দ করা জরুরি।

আদালতের আদেশ অনুযায়ী, জব্দের আওতায় আসা গাড়িগুলোর মালিকানা রয়েছে এনায়েত উল্লাহ, তার স্ত্রী নার্গিস সামসাদ, ছেলে রিদওয়ানুল আশিক নিলয় এবং মেয়ে চামশে জাহান নিশির নামে। এছাড়া, তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট দুটি প্রতিষ্ঠান এনা পরিবহন ও স্টারলাইন স্পেশাল লিমিটেডের নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি একই আদালত খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, তার স্ত্রী ও সন্তানদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপরই খন্দকার এনায়েত উল্লাহ দেশত্যাগ করেন। তিনি শুধু পরিবহন মালিক সমিতির নেতা ছিলেন না, বরং ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সহ-সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন।

দুর্নীতির অভিযোগ ও বিশাল সম্পদের অনুসন্ধানের পরিপ্রেক্ষিতে এনায়েত উল্লাহ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ শুরু করেছে দুদক। এরই অংশ হিসেবে এ আদেশকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এনায়েত উল্লাহ ও পরিবারের ১৯০টি যানবাহন জব্দের নির্দেশ

আপডেট সময় ০৭:৩৯:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

 

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ঢাকার পরিবহন খাতে প্রভাব বিস্তারকারী এনা পরিবহনের মালিক ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাবেক মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ এবং তার স্ত্রী-সন্তানের নামে থাকা ১৯০টি যানবাহন জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৪ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

দুদকের উপপরিচালক মো. সাইদুজ্জামান খন্দকার আদালতে আবেদনের মাধ্যমে জানান, খন্দকার এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী পরিবহন থেকে প্রতিদিন প্রায় এক কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুদক। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এনায়েত উল্লাহ এবং তার পরিবারের মালিকানাধীন যানবাহনগুলো জব্দ করা জরুরি।

আদালতের আদেশ অনুযায়ী, জব্দের আওতায় আসা গাড়িগুলোর মালিকানা রয়েছে এনায়েত উল্লাহ, তার স্ত্রী নার্গিস সামসাদ, ছেলে রিদওয়ানুল আশিক নিলয় এবং মেয়ে চামশে জাহান নিশির নামে। এছাড়া, তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট দুটি প্রতিষ্ঠান এনা পরিবহন ও স্টারলাইন স্পেশাল লিমিটেডের নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি একই আদালত খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, তার স্ত্রী ও সন্তানদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপরই খন্দকার এনায়েত উল্লাহ দেশত্যাগ করেন। তিনি শুধু পরিবহন মালিক সমিতির নেতা ছিলেন না, বরং ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সহ-সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন।

দুর্নীতির অভিযোগ ও বিশাল সম্পদের অনুসন্ধানের পরিপ্রেক্ষিতে এনায়েত উল্লাহ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ শুরু করেছে দুদক। এরই অংশ হিসেবে এ আদেশকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছেন সংশ্লিষ্টরা।