০৭:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
কেনিয়ায় ছোট যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত, ১২ জনের সবাই নিহত হওয়ার আশঙ্কা ইলন মাস্কের নতুন উদ্যোগ — এআই-চালিত “Grokipedia” চালু বিপুল সংখ্যক জামিন দেওয়ায় ৩ বিচারপতির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি নির্বাচনে প্রতি কেন্দ্রে আনসার থাকবে ১৩ জন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমলাদের দায়িত্ব কমিয়ে আনা হবে: আমীর খসরু শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই, অন্য প্রতীক দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি: ইসি সচিব হানিফসহ ৪ জনের অভিযোগ গঠন নিয়ে শুনানি আজ পারমাণবিক চালিত আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে পরীক্ষার ঘোষণা পুতিনের নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার।

এনায়েত উল্লাহ ও পরিবারের ১৯০টি যানবাহন জব্দের নির্দেশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৩৯:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • / 90

ছবি সংগৃহীত

 

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ঢাকার পরিবহন খাতে প্রভাব বিস্তারকারী এনা পরিবহনের মালিক ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাবেক মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ এবং তার স্ত্রী-সন্তানের নামে থাকা ১৯০টি যানবাহন জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৪ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

দুদকের উপপরিচালক মো. সাইদুজ্জামান খন্দকার আদালতে আবেদনের মাধ্যমে জানান, খন্দকার এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী পরিবহন থেকে প্রতিদিন প্রায় এক কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুদক। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এনায়েত উল্লাহ এবং তার পরিবারের মালিকানাধীন যানবাহনগুলো জব্দ করা জরুরি।

আদালতের আদেশ অনুযায়ী, জব্দের আওতায় আসা গাড়িগুলোর মালিকানা রয়েছে এনায়েত উল্লাহ, তার স্ত্রী নার্গিস সামসাদ, ছেলে রিদওয়ানুল আশিক নিলয় এবং মেয়ে চামশে জাহান নিশির নামে। এছাড়া, তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট দুটি প্রতিষ্ঠান এনা পরিবহন ও স্টারলাইন স্পেশাল লিমিটেডের নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি একই আদালত খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, তার স্ত্রী ও সন্তানদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপরই খন্দকার এনায়েত উল্লাহ দেশত্যাগ করেন। তিনি শুধু পরিবহন মালিক সমিতির নেতা ছিলেন না, বরং ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সহ-সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন।

দুর্নীতির অভিযোগ ও বিশাল সম্পদের অনুসন্ধানের পরিপ্রেক্ষিতে এনায়েত উল্লাহ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ শুরু করেছে দুদক। এরই অংশ হিসেবে এ আদেশকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এনায়েত উল্লাহ ও পরিবারের ১৯০টি যানবাহন জব্দের নির্দেশ

আপডেট সময় ০৭:৩৯:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

 

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ঢাকার পরিবহন খাতে প্রভাব বিস্তারকারী এনা পরিবহনের মালিক ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাবেক মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ এবং তার স্ত্রী-সন্তানের নামে থাকা ১৯০টি যানবাহন জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৪ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

দুদকের উপপরিচালক মো. সাইদুজ্জামান খন্দকার আদালতে আবেদনের মাধ্যমে জানান, খন্দকার এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী পরিবহন থেকে প্রতিদিন প্রায় এক কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুদক। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এনায়েত উল্লাহ এবং তার পরিবারের মালিকানাধীন যানবাহনগুলো জব্দ করা জরুরি।

আদালতের আদেশ অনুযায়ী, জব্দের আওতায় আসা গাড়িগুলোর মালিকানা রয়েছে এনায়েত উল্লাহ, তার স্ত্রী নার্গিস সামসাদ, ছেলে রিদওয়ানুল আশিক নিলয় এবং মেয়ে চামশে জাহান নিশির নামে। এছাড়া, তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট দুটি প্রতিষ্ঠান এনা পরিবহন ও স্টারলাইন স্পেশাল লিমিটেডের নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি একই আদালত খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, তার স্ত্রী ও সন্তানদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপরই খন্দকার এনায়েত উল্লাহ দেশত্যাগ করেন। তিনি শুধু পরিবহন মালিক সমিতির নেতা ছিলেন না, বরং ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সহ-সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন।

দুর্নীতির অভিযোগ ও বিশাল সম্পদের অনুসন্ধানের পরিপ্রেক্ষিতে এনায়েত উল্লাহ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ শুরু করেছে দুদক। এরই অংশ হিসেবে এ আদেশকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছেন সংশ্লিষ্টরা।