ঢাকা ০৩:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প

সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিএনপির অঙ্গীকার ছিল, আছে, থাকবে: মির্জা ফখরুল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:১৩:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • / 39

ছবি সংগৃহীত

 

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে বিএনপি সবসময় ছিল, এখনও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। তিনি বলেন, “ক্ষমতায় থাকুক বা না থাকুক, বিএনপি কখনোই অন্যের মতামত দমন করার পক্ষে নয়। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা করা আমাদের নীতিগত অবস্থান।”

রোববার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে সম্পাদক পরিষদের আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। আমরা অতীতে সাংবাদিকদের ওপর যে নিপীড়ন হয়েছে, তার বিরুদ্ধে কথা বলেছি, এখনো বলছি। কখনোই অন্যের মতকে জোর করে চাপিয়ে দেওয়াকে সমর্থন করব না।”

তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে সংবাদমাধ্যমের সামনে কথা বলতে গিয়ে আতঙ্ক কাজ করে। কোনো কোনো প্রেস বা সোশ্যাল মিডিয়া কীভাবে বক্তব্য উপস্থাপন করবে, সেটা নিয়ে উদ্বেগ থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে যেভাবে ব্যক্তিগত চরিত্র হননের প্রবণতা বেড়েছে, তা আমাদের জন্য গভীর উদ্বেগের।”

সংস্কারের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে ‘সংস্কারবিরোধী’ অপপ্রচার চালানো হলেও বাস্তবতা ভিন্ন। তিনি জানান, “আমরাই একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় ব্যবস্থায় গিয়েছি, রাষ্ট্রপতি শাসিত পদ্ধতি থেকে সংসদীয় পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনেছি। এমনকি অনেক আপত্তির পরও আমরাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি সংবিধানে এনেছি। এগুলো অস্বীকার করে ইতিহাস বিকৃতি করা হচ্ছে, যার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে।”

বিএনপি মহাসচিব দাবি করেন, “সংবাদপত্রের স্বাধীনতা প্রথম উন্মুক্ত করেছিল বিএনপি সরকার। বাকশাল শাসনামলে যেখানে সব পত্রিকা বন্ধ ছিল, সেখানে আমরাই প্রথম মিডিয়ার প্রসার ঘটিয়েছি। আজকের আকাশমাধ্যমের সূচনা আমাদের হাত ধরেই। আমাদের সময় সাংবাদিকদের ওপর নিপীড়ন তুলনামূলকভাবে অনেক কম ছিল।”

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা অপরিহার্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, “গণতন্ত্র মানে কারও মত জোর করে চাপিয়ে দেওয়া নয়। আমি যা বলব সেটাই ঠিক, আর আমার মত ছাড়া সব ভুল এই দৃষ্টিভঙ্গি গণতন্ত্রের পরিপন্থী। সংবাদমাধ্যম আমার কথা বললে ঠিক, আর না বললে ভুল এমন চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।”

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম। সঞ্চালনা করেন সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ। এতে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিএনপির অঙ্গীকার ছিল, আছে, থাকবে: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ০৫:১৩:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

 

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে বিএনপি সবসময় ছিল, এখনও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। তিনি বলেন, “ক্ষমতায় থাকুক বা না থাকুক, বিএনপি কখনোই অন্যের মতামত দমন করার পক্ষে নয়। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা করা আমাদের নীতিগত অবস্থান।”

রোববার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে সম্পাদক পরিষদের আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। আমরা অতীতে সাংবাদিকদের ওপর যে নিপীড়ন হয়েছে, তার বিরুদ্ধে কথা বলেছি, এখনো বলছি। কখনোই অন্যের মতকে জোর করে চাপিয়ে দেওয়াকে সমর্থন করব না।”

তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে সংবাদমাধ্যমের সামনে কথা বলতে গিয়ে আতঙ্ক কাজ করে। কোনো কোনো প্রেস বা সোশ্যাল মিডিয়া কীভাবে বক্তব্য উপস্থাপন করবে, সেটা নিয়ে উদ্বেগ থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে যেভাবে ব্যক্তিগত চরিত্র হননের প্রবণতা বেড়েছে, তা আমাদের জন্য গভীর উদ্বেগের।”

সংস্কারের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে ‘সংস্কারবিরোধী’ অপপ্রচার চালানো হলেও বাস্তবতা ভিন্ন। তিনি জানান, “আমরাই একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় ব্যবস্থায় গিয়েছি, রাষ্ট্রপতি শাসিত পদ্ধতি থেকে সংসদীয় পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনেছি। এমনকি অনেক আপত্তির পরও আমরাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি সংবিধানে এনেছি। এগুলো অস্বীকার করে ইতিহাস বিকৃতি করা হচ্ছে, যার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে।”

বিএনপি মহাসচিব দাবি করেন, “সংবাদপত্রের স্বাধীনতা প্রথম উন্মুক্ত করেছিল বিএনপি সরকার। বাকশাল শাসনামলে যেখানে সব পত্রিকা বন্ধ ছিল, সেখানে আমরাই প্রথম মিডিয়ার প্রসার ঘটিয়েছি। আজকের আকাশমাধ্যমের সূচনা আমাদের হাত ধরেই। আমাদের সময় সাংবাদিকদের ওপর নিপীড়ন তুলনামূলকভাবে অনেক কম ছিল।”

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা অপরিহার্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, “গণতন্ত্র মানে কারও মত জোর করে চাপিয়ে দেওয়া নয়। আমি যা বলব সেটাই ঠিক, আর আমার মত ছাড়া সব ভুল এই দৃষ্টিভঙ্গি গণতন্ত্রের পরিপন্থী। সংবাদমাধ্যম আমার কথা বললে ঠিক, আর না বললে ভুল এমন চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।”

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম। সঞ্চালনা করেন সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ। এতে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা।