ঢাকা ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার অস্ত্রবিরতির আলোচনা ইসরায়েলের হামলা ও অবরোধে গাজায় একদিনেই ৭১ জনের প্রাণহানি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে হেফাজতের বৈঠক: নীতিগত আলোচনা আবহাওয়ার সতর্কতা: ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস আওয়ামী লীগের আমলে ব্যাংকের ৮০ শতাংশ অর্থ পাচার হয়ে গেছে অর্থ উপদেষ্টা রেলপথ গুলোকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে চায় সরকার আরো ১৪ রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার আসামি ধরতে গিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের ওপর হামলা, এসআই গুরুতর আহত নোয়াখালীতে ৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ ২ মাদক কারবারি আটক নিরাপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয় নিশ্চিত করতেই চার্জশীট দিতে দেরী হচ্ছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৬ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইউজিসিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৩৯:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • / 29

ছবি সংগৃহীত

 

১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা না করায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এ এস এম কাসেম স্বাক্ষরিত এক চিঠি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) পাঠানো হয়। সেখানে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ইউজিসি বিষয়টি পর্যালোচনা করে শিগগিরই পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে জানা গেছে।

শাস্তির মুখে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো:
ঢাকার মোহাম্মদপুরে অবস্থিত দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, সাতমসজিদ রোডের ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ, সিদ্ধেশ্বরীর স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, রাজারবাগের দ্য মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি, গুলশানের প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি এবং বনানীর প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি।

এছাড়া আছে শ্যামলীর আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, পান্থপথের সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি, মিরপুরের বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস, সিলেটের নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, কিশোরগঞ্জের ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, ফেনীর ফেনী ইউনিভার্সিটি, কুমিল্লার ব্রিটানিয়া ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রামের পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং চিটাগং ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর ধারা ১২(১) অনুযায়ী সাময়িক অনুমতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষাকার্যক্রম শুরু করেনি। আইন অনুযায়ী এটি গুরুতর লঙ্ঘন।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর হওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন ধরে এ নিয়ম উপেক্ষা করে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উচ্চশিক্ষার মান নিশ্চিত করতে এ ধরনের নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও একাডেমিক পরিবেশ বজায় রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া প্রয়োজন।

ইউজিসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে শিগগিরই তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

১৬ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইউজিসিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ

আপডেট সময় ০৩:৩৯:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

 

১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা না করায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এ এস এম কাসেম স্বাক্ষরিত এক চিঠি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) পাঠানো হয়। সেখানে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ইউজিসি বিষয়টি পর্যালোচনা করে শিগগিরই পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে জানা গেছে।

শাস্তির মুখে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো:
ঢাকার মোহাম্মদপুরে অবস্থিত দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, সাতমসজিদ রোডের ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ, সিদ্ধেশ্বরীর স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, রাজারবাগের দ্য মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি, গুলশানের প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি এবং বনানীর প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি।

এছাড়া আছে শ্যামলীর আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, পান্থপথের সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি, মিরপুরের বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস, সিলেটের নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, কিশোরগঞ্জের ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, ফেনীর ফেনী ইউনিভার্সিটি, কুমিল্লার ব্রিটানিয়া ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রামের পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং চিটাগং ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর ধারা ১২(১) অনুযায়ী সাময়িক অনুমতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষাকার্যক্রম শুরু করেনি। আইন অনুযায়ী এটি গুরুতর লঙ্ঘন।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর হওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন ধরে এ নিয়ম উপেক্ষা করে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উচ্চশিক্ষার মান নিশ্চিত করতে এ ধরনের নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও একাডেমিক পরিবেশ বজায় রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া প্রয়োজন।

ইউজিসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে শিগগিরই তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।