শ্রমিকের দুঃখ-দুর্দশা তুলে ধরতে চাই জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার: তারেক রহমান

- আপডেট সময় ০৬:৫০:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
- / 21
মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের আয়োজনে আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দুঃখ, দুর্দশা ও সম্ভাবনার কথাগুলো যেন রাষ্ট্রের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছে—সে জন্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ ও সরকার প্রয়োজন। কারণ জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জনগণের কথা শুনতে বাধ্য।”
বৃহস্পতিবার (১ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এ সমাবেশে তিনি লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
‘মে দিবস দিচ্ছে ডাক, বৈষম্য নিপাত যাক’ স্লোগানে বেলা ২টা ১০ মিনিটে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। নয়াপল্টন থেকে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত সড়কটি রূপ নেয় জনসমুদ্রে, যেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত শ্রমিকরা লাল টুপি ও গেঞ্জি পরে যোগ দেন। শ্রমিকদের কণ্ঠে ধ্বনিত হয় ঐতিহাসিক স্লোগান—‘দুনিয়ার মজদুর এক হও, লড়াই করো’। পাশাপাশি ‘অবিলম্বে সংসদ নির্বাচন চাই’—এই দাবিও প্রতিনিয়ত উঠেছে সমাবেশজুড়ে।
সমাবেশে বক্তৃতাকালে তারেক রহমান আরও বলেন, “একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধি নির্ধারিত হতে পারে। যারা ভোটে নির্বাচিত নয়, তারা শ্রমিকদের কথা শোনে না, ন্যায্য অধিকার দেয় না।”
জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল এই দিন তাদের ১২ দফা দাবি উত্থাপন করে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচন, ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচার, সব প্রতিষ্ঠানে ডে-কেয়ার সেন্টার চালু, বন্ধ হয়ে যাওয়া শিল্প কারখানা পুনরায় চালু, নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন, আউটসোর্সিং বন্ধ করে স্থায়ী পদ সৃষ্টি, শ্রমিকদের অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার, শ্রমিক হত্যা ও নির্যাতনের বিচার, নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিত, ন্যূনতম মজুরি ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণ, বৈষম্যহীন পে-স্কেল ঘোষণা, কালাকানুন বাতিল এবং নিত্যপণ্যের দাম কমানো।
সমাবেশে শ্রমিক নেতারা বলেন, দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও আয় বৈষম্যের এই সময়ে একটি গণতান্ত্রিক ও শ্রমিকবান্ধব সরকার ছাড়া কোনো সমাধান সম্ভব নয়।