ঢাকা ০৭:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
যারা নির্বাচন বয়কট করবে, নিজেরাই মাইনাস হয়ে যাবে: সালাহউদ্দিন আহমদ শ্রীবরদীতে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্পেইন অস্ট্রেলিয়ার ১০ বিলিয়ন ডলারের উইন্ড ফার্ম প্রকল্প বাতিল কোস্টগার্ডের হাতে ধরা পড়ল ৪১৩ কোটি টাকার অবৈধ জাল ডাকসু প্রচারণায় কঠোর শৃঙ্খলা জারি, প্রার্থীদের জন্য নতুন নির্দেশনা চীন সফরে যাচ্ছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধি দল ঢাকা অঞ্চলের ৩১৬ দাবি-আপত্তির শুনানি করছে নির্বাচন কমিশন ফেডারেল রিজার্ভ গভর্নর লিসা কুককে অপসারণের ঘোষণা ট্রাম্পের “প্রত্যাবাসনের পথ: যুক্তরাষ্ট্র-চীনের দ্বন্দ্বে রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ” যুদ্ধ শেষ হলেও রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে : ফিনল্যান্ড

৪০ দিনে নিবন্ধন চেয়ে ইসিতে ৬৫ দলের আবেদন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৫৬:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • / 30

ছবি: সংগৃহীত

 

দেশের রাজনীতির ময়দানে হঠাৎ করেই দেখা দিয়েছে নতুন রাজনৈতিক দলের জোয়ার। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ২০ মার্চ জারি করা গণবিজ্ঞপ্তির পর মাত্র ৪০ দিনের ব্যবধানে ৬৫টি নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদন করেছে। এই সময়ের মধ্যে দল গঠনের প্রবণতা যেন একপ্রকার হিড়িকে পরিণত হয়েছে।

এইসব নতুন দলের নাম শুনলেই অনেক সময় বিস্মিত হতে হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ‘বাংলাদেশ বেকার সমাজ’, ‘বাংলাদেশ সংসারবন্দি পার্টি’, ‘বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণময় পার্টি’, ‘ইউক্লিয়াস পার্টি’, ‘আ-আম জনতা পার্টি’ ইত্যাদি। নামগুলোতে রাজনৈতিক আদর্শের চেয়ে যেনো চটকদারতা বেশি।

বিশ্লেষকদের মতে, এমন প্রবণতা গণতান্ত্রিক চর্চার পরিচয় দিলেও এর পেছনে রয়েছে নানা হিসেব-নিকেশ। অনেকেই রাজনৈতিক পরিচিতি তৈরির উদ্দেশ্যে দল গঠন করছে, যা ভবিষ্যতে ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক সুবিধা আদায়ে ব্যবহৃত হতে পারে। কারও কারও লক্ষ্য থাকে সরকারঘনিষ্ঠ জোটে জায়গা করে নেওয়া কিংবা সংলাপের টেবিলে আসন পাওয়া।

নতুন দলের আত্মপ্রকাশের ধরনও বৈচিত্র্যময়—কেউ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে, কেউ ভার্চুয়াল মাধ্যমে, আবার কেউ শুধু নিবন্ধনের আবেদনেই সীমাবদ্ধ। অনেক দলের নেই তৃণমূল কাঠামো, নেই কর্মসূচি কিংবা জনসম্পৃক্ততা।

তবে এসব দলের নেতারা বলছেন ভিন্ন কথা। বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণময় পার্টির চেয়ারম্যান মো. শিপন ভূঁইয়া বলেন, “আমরা ক্ষমতার জন্য দল গঠন করিনি, জনগণের সেবার জন্য রাজনীতিতে এসেছি।”

জনতা পার্টি বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, “আমরা কোনো ‘কিংস পার্টি’ বা ‘কুইন্স পার্টি’ নই। আমরা নিজেদের শক্তিতেই নির্বাচন করতে চাই।”

আলোচিত ডেসটিনি গ্রুপের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিনও গঠন করেছেন ‘আ-আম জনতা পার্টি’। তিনি বলেন, “রাজনীতিতে সরাসরি সম্পৃক্ত না হলে দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ সীমিত। ব্যবসা দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব হলেও নীতিনির্ধারণে ভূমিকা রাখতে হলে রাজনীতিই পথ।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ বলেন, “নতুন দল গঠনের মূল উদ্দেশ্য অনেক সময়ই রাজনৈতিক পরিচিতি অর্জন। এই পরিচিতি পরবর্তীতে বিভিন্ন স্বার্থে ব্যবহৃত হয় ব্যক্তিগত, অর্থনৈতিক কিংবা রাজনৈতিক।”

তিনি আরও বলেন, “দু-একটি ব্যতিক্রম দল বাদ দিলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব দলের পেছনে থাকে স্পষ্ট আর্থিক বা ব্যক্তিগত এজেন্ডা।”

নিউজটি শেয়ার করুন

৪০ দিনে নিবন্ধন চেয়ে ইসিতে ৬৫ দলের আবেদন

আপডেট সময় ০২:৫৬:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

 

দেশের রাজনীতির ময়দানে হঠাৎ করেই দেখা দিয়েছে নতুন রাজনৈতিক দলের জোয়ার। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ২০ মার্চ জারি করা গণবিজ্ঞপ্তির পর মাত্র ৪০ দিনের ব্যবধানে ৬৫টি নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদন করেছে। এই সময়ের মধ্যে দল গঠনের প্রবণতা যেন একপ্রকার হিড়িকে পরিণত হয়েছে।

এইসব নতুন দলের নাম শুনলেই অনেক সময় বিস্মিত হতে হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ‘বাংলাদেশ বেকার সমাজ’, ‘বাংলাদেশ সংসারবন্দি পার্টি’, ‘বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণময় পার্টি’, ‘ইউক্লিয়াস পার্টি’, ‘আ-আম জনতা পার্টি’ ইত্যাদি। নামগুলোতে রাজনৈতিক আদর্শের চেয়ে যেনো চটকদারতা বেশি।

বিশ্লেষকদের মতে, এমন প্রবণতা গণতান্ত্রিক চর্চার পরিচয় দিলেও এর পেছনে রয়েছে নানা হিসেব-নিকেশ। অনেকেই রাজনৈতিক পরিচিতি তৈরির উদ্দেশ্যে দল গঠন করছে, যা ভবিষ্যতে ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক সুবিধা আদায়ে ব্যবহৃত হতে পারে। কারও কারও লক্ষ্য থাকে সরকারঘনিষ্ঠ জোটে জায়গা করে নেওয়া কিংবা সংলাপের টেবিলে আসন পাওয়া।

নতুন দলের আত্মপ্রকাশের ধরনও বৈচিত্র্যময়—কেউ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে, কেউ ভার্চুয়াল মাধ্যমে, আবার কেউ শুধু নিবন্ধনের আবেদনেই সীমাবদ্ধ। অনেক দলের নেই তৃণমূল কাঠামো, নেই কর্মসূচি কিংবা জনসম্পৃক্ততা।

তবে এসব দলের নেতারা বলছেন ভিন্ন কথা। বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণময় পার্টির চেয়ারম্যান মো. শিপন ভূঁইয়া বলেন, “আমরা ক্ষমতার জন্য দল গঠন করিনি, জনগণের সেবার জন্য রাজনীতিতে এসেছি।”

জনতা পার্টি বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, “আমরা কোনো ‘কিংস পার্টি’ বা ‘কুইন্স পার্টি’ নই। আমরা নিজেদের শক্তিতেই নির্বাচন করতে চাই।”

আলোচিত ডেসটিনি গ্রুপের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিনও গঠন করেছেন ‘আ-আম জনতা পার্টি’। তিনি বলেন, “রাজনীতিতে সরাসরি সম্পৃক্ত না হলে দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ সীমিত। ব্যবসা দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব হলেও নীতিনির্ধারণে ভূমিকা রাখতে হলে রাজনীতিই পথ।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ বলেন, “নতুন দল গঠনের মূল উদ্দেশ্য অনেক সময়ই রাজনৈতিক পরিচিতি অর্জন। এই পরিচিতি পরবর্তীতে বিভিন্ন স্বার্থে ব্যবহৃত হয় ব্যক্তিগত, অর্থনৈতিক কিংবা রাজনৈতিক।”

তিনি আরও বলেন, “দু-একটি ব্যতিক্রম দল বাদ দিলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব দলের পেছনে থাকে স্পষ্ট আর্থিক বা ব্যক্তিগত এজেন্ডা।”