ঢাকা ০৪:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শ্রমিক ও মালিকের ভারসাম্য রক্ষায় শ্রম আইন নতুনভাবেসংশোধন হচ্ছে : শ্রম উপদেষ্টা শামীম ওসমানের ছেলে অয়নের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেশের উন্নয়নে কৃষক-শ্রমিক-শিক্ষকসহ সবাই অবদান রাখছে: মির্জা ফখরুল সাবেক এনআইডি ডিজি সালেহ উদ্দিনের এনআইডি ‘ব্লকড’ কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা, ঘরে ফিরছেন জেলেরা ভারতকে আগে আক্রমণ নয়, প্রতিশোধ হবে কঠোর: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের বিশাখাপত্তনমে মন্দিরের দেয়াল ধসে ৮ জনের মৃত্য হাওরের বজ্রবৃষ্টিতে একাধিক মৃত্যু, বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা ঢাকায় শ্রমিক সমাবেশের ঘোষণা জামায়াতের ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে বিএনপির উদ্বেগ, শর্ত প্রকাশের দাবি

রাজধানীতে টানা তিন দিন ছুটিতে তিন দলের বড় সমাবেশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:৫৯:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১৩ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত

 

আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে টানা তিন দিনের সরকারি ছুটি। এই ছুটিকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকায় পৃথকভাবে তিনটি রাজনৈতিক দল ও সংগঠন বড় পরিসরে জনসমাবেশ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে। এতে শহরে জনসমাগম এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে জনমনে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

প্রথম দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার (১ মে) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে দুপুর ২টায় শ্রমিক সমাবেশ করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এই সমাবেশের আয়োজন করছে দলটির অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সমাবেশে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হবেন। উপস্থিত থাকবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। ঢাকার বাইরেও নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইলসহ আশপাশের জেলা থেকেও নেতাকর্মীরা এই সমাবেশে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।

পরের দিন, শুক্রবার (২ মে) বিকেল ৩টায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সমাবেশ করবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের সামনে। দলটির দাবি, আওয়ামী লীগের বিচার, নিবন্ধন বাতিল ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে। এনসিপির ঢাকা মহানগর শাখার ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অন্তত ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষের অংশগ্রহণের সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে।

ছুটির শেষ দিন, শনিবার (৩ মে) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটি গত এক মাস ধরে এই কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের প্রধান দাবি, সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রায় ৩০০টি মামলা প্রত্যাহার। এছাড়াও ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বর, ২০২১ সালের মার্চ এবং ২০২৪ সালের বিভিন্ন ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের ‘হত্যার বিচার’ দাবি করা হবে। অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল, সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন, এবং ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম নিপীড়নের প্রতিবাদ।

টানা ছুটির এই তিন দিনে তিনটি বড় সমাবেশ ঘিরে ঢাকার সড়ক ও জনজীবনে প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও রয়েছে সতর্ক অবস্থানে।

নিউজটি শেয়ার করুন

রাজধানীতে টানা তিন দিন ছুটিতে তিন দলের বড় সমাবেশ

আপডেট সময় ০৯:৫৯:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

 

আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে টানা তিন দিনের সরকারি ছুটি। এই ছুটিকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকায় পৃথকভাবে তিনটি রাজনৈতিক দল ও সংগঠন বড় পরিসরে জনসমাবেশ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে। এতে শহরে জনসমাগম এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে জনমনে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

প্রথম দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার (১ মে) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে দুপুর ২টায় শ্রমিক সমাবেশ করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এই সমাবেশের আয়োজন করছে দলটির অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সমাবেশে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হবেন। উপস্থিত থাকবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। ঢাকার বাইরেও নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইলসহ আশপাশের জেলা থেকেও নেতাকর্মীরা এই সমাবেশে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।

পরের দিন, শুক্রবার (২ মে) বিকেল ৩টায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সমাবেশ করবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের সামনে। দলটির দাবি, আওয়ামী লীগের বিচার, নিবন্ধন বাতিল ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে। এনসিপির ঢাকা মহানগর শাখার ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অন্তত ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষের অংশগ্রহণের সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে।

ছুটির শেষ দিন, শনিবার (৩ মে) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটি গত এক মাস ধরে এই কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের প্রধান দাবি, সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রায় ৩০০টি মামলা প্রত্যাহার। এছাড়াও ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বর, ২০২১ সালের মার্চ এবং ২০২৪ সালের বিভিন্ন ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের ‘হত্যার বিচার’ দাবি করা হবে। অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল, সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন, এবং ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম নিপীড়নের প্রতিবাদ।

টানা ছুটির এই তিন দিনে তিনটি বড় সমাবেশ ঘিরে ঢাকার সড়ক ও জনজীবনে প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও রয়েছে সতর্ক অবস্থানে।