ঢাকা ০২:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মাদারীপুরে মানবপাচার মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ইদ্রিস খাঁ গ্রেফতার স্কুল তহবিলের সংকট: ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে ২৪ রাজ্যের মামলা গাজায় ইসরাইলি হামলায় একদিনে নিহত ৯৪, আহত শতাধিক ফ্রান্স সেনেগাল থেকে শেষ সামরিক ঘাঁটিও তুলে নিচ্ছে, পশ্চিম আফ্রিকায় ৬৫ বছরের উপস্থিতির অবসান ইরানের ওপর আরও হামলার পরিকল্পনায় যুক্তরাষ্ট্র, আলোচনা না হলে টার্গেট ২টি পারমাণবিক স্থাপনা রাশিয়া-চীন জ্বালানি বাণিজ্যে নতুন রেকর্ড, এলপিজি রপ্তানি বাড়ছে ৭৫০,০০০ টনে গোপালগঞ্জে টানা তৃতীয় দিনের মতো কারফিউ পানিবন্দী ১৭ হাজার পরিবার: ২৪০ কোটি টাকার ক্ষতির চিত্র আসন্ন পাকিস্তান সিরিজের দল ঘোষণা করলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) রাজনৈতিক কর্মসূচি বা বক্তব্যের আগে দলকে হিসেব-নিকেশ করতে হবে: এ্যানি

কৃষি ও প্রাণিসম্পদ পালনের কাজকে মর্যাদাপূর্ণ পেশা হিসেবে নিতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:০২:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / 32

ছবি সংগৃহীত

 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, কৃষির উন্নতি ঘটেছে, তবে গোখাদ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনায় ঘাটতি রয়েছে। প্রাণিকূলের খাবার নির্বাচনেও পছন্দ-অপছন্দ রয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘গোখাদ্য কখনো বাণিজ্যিক মুনাফার হাতিয়ার হতে পারে না।’’

আজ সকালে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিএলআরআই) আয়োজিত এক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি জানান, বিএলআরআই নেপিয়ার ঘাস ও ঘাসভিত্তিক খাদ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে কাজ করছে, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে দেশের ঘাস উৎপাদনের জমি সীমিত হওয়ায়, পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণের ওপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

ফরিদা আখতার বলেন, ‘‘কৃষি ও প্রাণিসম্পদ একে অপরের পরিপূরক। তাই কৃষকদের মতো প্রাণিসম্পদ খামারিদেরও সর্বাত্মক সুযোগ-সুবিধা দিতে সরকার কাজ করছে। পৃথক প্রাণিসম্পদ ব্যাংক গঠনের পরিকল্পনা গ্রহণের পাশাপাশি খামারিদের স্বল্পসুদে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করাও সরকারের লক্ষ্য।’’

তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষের প্রয়োজনীয় আমিষের চাহিদা মেটাতে ডিম, দুধ ও মাংস উৎপাদনে খামারিদের অবদান অপরিসীম। কৃষি ও প্রাণিসম্পদ পালনের কাজকে মর্যাদাপূর্ণ পেশা হিসেবে গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি। একই সাথে বিএলআরআই ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বাড়ানোর তাগিদ দেন।

সেমিনারে বিএলআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়ার চার্লস স্টার্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও ডেপুটি ডিরেক্টর ড. ক্যামেরন ক্লার্ক। তিনি বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার যৌথ গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মসূচির সফলতা ও সম্ভাবনা তুলে ধরেন এবং স্থানীয় সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ উৎপাদন বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর আলোকপাত করেন।

প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল রিসার্চের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ড. প্রতিভা সিংহ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. মো. আবু সুফিয়ান জানান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও বিএলআরআইয়ের মধ্যে ইতিবাচক সম্পর্ক রয়েছে এবং উদ্ভাবিত প্রযুক্তি মাঠপর্যায়ে দ্রুত সম্প্রসারণে উদ্যোগ জোরদার করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

সেমিনারে বিএলআরআই, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উদ্যোক্তা ও খামারিরা অংশ নেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

কৃষি ও প্রাণিসম্পদ পালনের কাজকে মর্যাদাপূর্ণ পেশা হিসেবে নিতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৭:০২:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, কৃষির উন্নতি ঘটেছে, তবে গোখাদ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনায় ঘাটতি রয়েছে। প্রাণিকূলের খাবার নির্বাচনেও পছন্দ-অপছন্দ রয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘গোখাদ্য কখনো বাণিজ্যিক মুনাফার হাতিয়ার হতে পারে না।’’

আজ সকালে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিএলআরআই) আয়োজিত এক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি জানান, বিএলআরআই নেপিয়ার ঘাস ও ঘাসভিত্তিক খাদ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে কাজ করছে, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে দেশের ঘাস উৎপাদনের জমি সীমিত হওয়ায়, পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণের ওপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

ফরিদা আখতার বলেন, ‘‘কৃষি ও প্রাণিসম্পদ একে অপরের পরিপূরক। তাই কৃষকদের মতো প্রাণিসম্পদ খামারিদেরও সর্বাত্মক সুযোগ-সুবিধা দিতে সরকার কাজ করছে। পৃথক প্রাণিসম্পদ ব্যাংক গঠনের পরিকল্পনা গ্রহণের পাশাপাশি খামারিদের স্বল্পসুদে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করাও সরকারের লক্ষ্য।’’

তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষের প্রয়োজনীয় আমিষের চাহিদা মেটাতে ডিম, দুধ ও মাংস উৎপাদনে খামারিদের অবদান অপরিসীম। কৃষি ও প্রাণিসম্পদ পালনের কাজকে মর্যাদাপূর্ণ পেশা হিসেবে গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি। একই সাথে বিএলআরআই ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বাড়ানোর তাগিদ দেন।

সেমিনারে বিএলআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়ার চার্লস স্টার্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও ডেপুটি ডিরেক্টর ড. ক্যামেরন ক্লার্ক। তিনি বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার যৌথ গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মসূচির সফলতা ও সম্ভাবনা তুলে ধরেন এবং স্থানীয় সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ উৎপাদন বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর আলোকপাত করেন।

প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল রিসার্চের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ড. প্রতিভা সিংহ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. মো. আবু সুফিয়ান জানান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও বিএলআরআইয়ের মধ্যে ইতিবাচক সম্পর্ক রয়েছে এবং উদ্ভাবিত প্রযুক্তি মাঠপর্যায়ে দ্রুত সম্প্রসারণে উদ্যোগ জোরদার করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

সেমিনারে বিএলআরআই, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উদ্যোক্তা ও খামারিরা অংশ নেন।