ঢাকা ১১:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের নৌ-সুরক্ষায় বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৪০:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৪ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর জন্য এটি এক অত্যন্ত গুরুতর সতর্কবার্তা। ঘটনাটি ইঙ্গিত করে যে, যুক্তরাষ্ট্রের আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যেমন যুদ্ধবিমান, এজিস সিস্টেমে সজ্জিত যুদ্ধজাহাজ এবং ক্লোজ-ইন অস্ত্র ব্যবস্থা (CIWS) এগুলোর ভেদ্যতা এখন আর শুধুমাত্র তাত্ত্বিক নয়, বাস্তবে প্রমাণিত। শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন যদি এসব শক্তিশালী প্রতিরক্ষা বলয় অতিক্রম করতে সক্ষম হয়, তাহলে তা নিঃসন্দেহে নৌবাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থার ভেতরে দুর্বলতার ইঙ্গিত দেয়।

বিশেষ করে, যদি ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের মতো তুলনামূলকভাবে সীমিত সম্পদসম্পন্ন একটি গোষ্ঠী যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের একটি বিমানবাহী রণতরীকে প্রতিরক্ষামূলক কৌশল বদলাতে এবং উচ্চ সতর্কতায় পরিচালিত হতে বাধ্য করে, তাহলে তা কেবল একটি ছোট বিজয় নয় বরং বৈশ্বিক শক্তির ভারসাম্যে বড়সড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত হতে পারে। এটি প্রকাশ করে, তুলনামূলকভাবে কম ব্যয়ে পরিচালিত ছোট এবং সমন্বিত হামলা কতটা বড় রকমের প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে সক্ষম।

এই ধরণের ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের সামরিক কৌশল এবং রণতরীগুলোর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতি ব্যয়বহুল এবং সীমিত সংখ্যক বিমানবাহী রণতরী যদি অপেক্ষাকৃত সস্তা ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ঝুঁকির মুখে পড়ে, তাহলে তা যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি প্রদর্শনের মূল কৌশলের ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।

এই বাস্তবতা সামরিক পরিকল্পনাকারীদের সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন রাখছে: বর্তমান নৌবাহিনীর রণকৌশল কি আগামী দিনের যুদ্ধক্ষেত্রের জন্য যথেষ্ট প্রস্তুত? নাকি সময় এসেছে নতুন ধরনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও কৌশল গড়ে তোলার, যেখানে কম খরচে বড় হুমকি মোকাবিলার দক্ষতা থাকবে?

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রের নৌ-সুরক্ষায় বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন

আপডেট সময় ০৫:৪০:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর জন্য এটি এক অত্যন্ত গুরুতর সতর্কবার্তা। ঘটনাটি ইঙ্গিত করে যে, যুক্তরাষ্ট্রের আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যেমন যুদ্ধবিমান, এজিস সিস্টেমে সজ্জিত যুদ্ধজাহাজ এবং ক্লোজ-ইন অস্ত্র ব্যবস্থা (CIWS) এগুলোর ভেদ্যতা এখন আর শুধুমাত্র তাত্ত্বিক নয়, বাস্তবে প্রমাণিত। শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন যদি এসব শক্তিশালী প্রতিরক্ষা বলয় অতিক্রম করতে সক্ষম হয়, তাহলে তা নিঃসন্দেহে নৌবাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থার ভেতরে দুর্বলতার ইঙ্গিত দেয়।

বিশেষ করে, যদি ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের মতো তুলনামূলকভাবে সীমিত সম্পদসম্পন্ন একটি গোষ্ঠী যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের একটি বিমানবাহী রণতরীকে প্রতিরক্ষামূলক কৌশল বদলাতে এবং উচ্চ সতর্কতায় পরিচালিত হতে বাধ্য করে, তাহলে তা কেবল একটি ছোট বিজয় নয় বরং বৈশ্বিক শক্তির ভারসাম্যে বড়সড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত হতে পারে। এটি প্রকাশ করে, তুলনামূলকভাবে কম ব্যয়ে পরিচালিত ছোট এবং সমন্বিত হামলা কতটা বড় রকমের প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে সক্ষম।

এই ধরণের ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের সামরিক কৌশল এবং রণতরীগুলোর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতি ব্যয়বহুল এবং সীমিত সংখ্যক বিমানবাহী রণতরী যদি অপেক্ষাকৃত সস্তা ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ঝুঁকির মুখে পড়ে, তাহলে তা যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি প্রদর্শনের মূল কৌশলের ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।

এই বাস্তবতা সামরিক পরিকল্পনাকারীদের সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন রাখছে: বর্তমান নৌবাহিনীর রণকৌশল কি আগামী দিনের যুদ্ধক্ষেত্রের জন্য যথেষ্ট প্রস্তুত? নাকি সময় এসেছে নতুন ধরনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও কৌশল গড়ে তোলার, যেখানে কম খরচে বড় হুমকি মোকাবিলার দক্ষতা থাকবে?