ঢাকা ০২:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প

গাজায় পোলিও টিকাদান স্থগিত, ৬ লাখ শিশু ঝুঁকিতে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:১০:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
  • / 17

ছবি সংগৃহীত

গাজা উপত্যকা ইসরায়েলি আগ্রাসনে পরিণত হয়েছে এক বিপর্যস্ত ধ্বংসস্তূপে। ধ্বংস হয়েছে ঘরবাড়ি, স্কুল, হাসপাতালসহ সমস্ত জীবনযাপনের অবকাঠামো। ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। অবরোধের কারণে ত্রাণ প্রবেশ না করায় ভয়াবহ খাদ্য সংকটে দিন কাটাচ্ছে গাজার বাসিন্দারা। এরমধ্যে বিভিন্ন রোগের আশঙ্কাও বাড়ছে।

এই সংকটময় পরিস্থিতিতে গাজায় পোলিও টিকাদান কর্মসূচি স্থগিত হওয়ায় নতুন করে বিপদের মুখে পড়েছে হাজার হাজার শিশু। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র খলিল দেকরান সতর্ক করে বলেছেন, অবিলম্বে টিকাদান শুরু না হলে এটি এক ভয়াবহ স্বাস্থ্য বিপর্যয়ে রূপ নিতে পারে।

আল জাজিরার বরাতে জানা যায়, বুধবার এক বিবৃতিতে খলিল দেকরান বলেন, “পোলিও ভ্যাকসিন সকল শিশুর কাছে দ্রুত পৌঁছানো না গেলে আমরা সামনে একটি বাস্তব বিপর্যয় দেখবো। শিশুদের জীবন রাজনৈতিক চাপে ব্যবহারের জায়গা হতে পারে না।”

তিনি জানান, গত ২ মার্চ থেকে ইসরায়েলের কঠোর অবরোধের কারণে গাজায় কোনো ধরনের চিকিৎসা সামগ্রী প্রবেশ করতে পারছে না। এতে প্রায় ৬ লাখ ২ হাজার শিশু পোলিওর মতো মারাত্মক রোগে স্থায়ী পক্ষাঘাত ও দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক অক্ষমতার ঝুঁকিতে পড়েছে।

গাজায় দুই দশকের বেশি সময় পর গত বছর প্রথমবারের মতো পোলিও রোগ ফিরে আসে। সে সময় এক ১০ মাস বয়সী শিশু এই রোগে আক্রান্ত হয়। এরপর জাতিসংঘ, ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন সংস্থার যৌথ উদ্যোগে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর এবং চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিন দফা টিকাদান কর্মসূচি পরিচালিত হয়।

কিন্তু চলমান যুদ্ধ ও অবরোধের ফলে এই কার্যক্রম আবারও থেমে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পোলিওসহ অন্যান্য সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়বে।

গাজার শিশুদের জীবন রক্ষায় আন্তর্জাতিক সহায়তা এবং টিকাদান কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার দাবি জানিয়েছেন মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় পোলিও টিকাদান স্থগিত, ৬ লাখ শিশু ঝুঁকিতে

আপডেট সময় ১১:১০:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

গাজা উপত্যকা ইসরায়েলি আগ্রাসনে পরিণত হয়েছে এক বিপর্যস্ত ধ্বংসস্তূপে। ধ্বংস হয়েছে ঘরবাড়ি, স্কুল, হাসপাতালসহ সমস্ত জীবনযাপনের অবকাঠামো। ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। অবরোধের কারণে ত্রাণ প্রবেশ না করায় ভয়াবহ খাদ্য সংকটে দিন কাটাচ্ছে গাজার বাসিন্দারা। এরমধ্যে বিভিন্ন রোগের আশঙ্কাও বাড়ছে।

এই সংকটময় পরিস্থিতিতে গাজায় পোলিও টিকাদান কর্মসূচি স্থগিত হওয়ায় নতুন করে বিপদের মুখে পড়েছে হাজার হাজার শিশু। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র খলিল দেকরান সতর্ক করে বলেছেন, অবিলম্বে টিকাদান শুরু না হলে এটি এক ভয়াবহ স্বাস্থ্য বিপর্যয়ে রূপ নিতে পারে।

আল জাজিরার বরাতে জানা যায়, বুধবার এক বিবৃতিতে খলিল দেকরান বলেন, “পোলিও ভ্যাকসিন সকল শিশুর কাছে দ্রুত পৌঁছানো না গেলে আমরা সামনে একটি বাস্তব বিপর্যয় দেখবো। শিশুদের জীবন রাজনৈতিক চাপে ব্যবহারের জায়গা হতে পারে না।”

তিনি জানান, গত ২ মার্চ থেকে ইসরায়েলের কঠোর অবরোধের কারণে গাজায় কোনো ধরনের চিকিৎসা সামগ্রী প্রবেশ করতে পারছে না। এতে প্রায় ৬ লাখ ২ হাজার শিশু পোলিওর মতো মারাত্মক রোগে স্থায়ী পক্ষাঘাত ও দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক অক্ষমতার ঝুঁকিতে পড়েছে।

গাজায় দুই দশকের বেশি সময় পর গত বছর প্রথমবারের মতো পোলিও রোগ ফিরে আসে। সে সময় এক ১০ মাস বয়সী শিশু এই রোগে আক্রান্ত হয়। এরপর জাতিসংঘ, ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন সংস্থার যৌথ উদ্যোগে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর এবং চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিন দফা টিকাদান কর্মসূচি পরিচালিত হয়।

কিন্তু চলমান যুদ্ধ ও অবরোধের ফলে এই কার্যক্রম আবারও থেমে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পোলিওসহ অন্যান্য সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়বে।

গাজার শিশুদের জীবন রক্ষায় আন্তর্জাতিক সহায়তা এবং টিকাদান কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার দাবি জানিয়েছেন মানবাধিকার সংস্থাগুলো।