১১:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

কঙ্গো নদীতে নৌকা ডুবে ৫০ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ শতাধিক 

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩৭:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / 51

ছবি সংগৃহীত

 

কঙ্গোর উত্তরের এমবানদাকা শহরের কাছাকাছি কঙ্গো নদীতে একটি যাত্রীবাহী নৌকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর সেটি ডুবে যাওয়ায় অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং নিখোঁজ রয়েছেন আরও শতাধিক যাত্রী। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতের এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় চার শতাধিক যাত্রীবোঝাই নৌকাটি সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং রেড ক্রসের সহায়তায় বুধবার সকাল থেকেই উদ্ধারকাজ চলছে। ইতোমধ্যে ১০০ জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের অনেকেই আগুনে দগ্ধ হয়েছেন এবং তাদেরকে এমবানদাকা টাউন হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

নদী কমিশনার কমপিটেন্ট লোয়োকো জানান, মটরচালিত কাঠের তৈরি নৌকাটি অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল নিয়ে যাত্রা করেছিল। মাঝপথে রান্নার সময় আগুন ধরে গেলে যাত্রীদের মধ্যে হঠাৎ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই প্রাণ রক্ষায় নদীতে ঝাঁপ দেন, কিন্তু সাঁতার না জানার কারণে অনেকেরই প্রাণ রক্ষা সম্ভব হয়নি।

তিনি আরও বলেন, “নৌকাটিতে রান্নার ব্যবস্থাও ছিল, যা নিরাপত্তা ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তোলে।” নারী ও শিশুসহ বেশ কয়েকজন যাত্রী পানিতে তলিয়ে যান।

কঙ্গোতে সড়কপথের অনুপোযুক্ত অবকাঠামোর কারণে নৌপথই সাধারণ যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম। ফলে কাঠ দিয়ে তৈরি নৌকাগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল পরিবহন সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অনিয়ন্ত্রিত ও ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত ব্যবস্থাই বারবার প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

আল জাজিরার সাংবাদিক অ্যালেইন উয়াকানি জানান, “উদ্ধারকর্মীরা ছিল অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, ফলে শুরুতেই দ্রুত সাড়া দিতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে কার্যকর উদ্ধার তৎপরতা চালানো কঠিন হয়ে পড়ে।”

উল্লেখ্য, এটি প্রথম নয়। গত বছরের ডিসেম্বরে একইভাবে ৪০০ যাত্রী নিয়ে একটি ফেরি ডুবে গেলে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়। তার আগের মাসেই পূর্বাঞ্চলে আরেকটি দুর্ঘটনায় ৭৮ জনের প্রাণহানি ঘটে।

কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান জোরদার করেছে। এই ধরণের দুর্ঘটনা রোধে এবং নিরাপদ নৌ চলাচল নিশ্চিতে সরকারের আরও কঠোর নজরদারি ও নীতিমালা প্রণয়ন এখন সময়ের দাবি।

নিউজটি শেয়ার করুন

কঙ্গো নদীতে নৌকা ডুবে ৫০ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ শতাধিক 

আপডেট সময় ১০:৩৭:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

 

কঙ্গোর উত্তরের এমবানদাকা শহরের কাছাকাছি কঙ্গো নদীতে একটি যাত্রীবাহী নৌকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর সেটি ডুবে যাওয়ায় অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং নিখোঁজ রয়েছেন আরও শতাধিক যাত্রী। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতের এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় চার শতাধিক যাত্রীবোঝাই নৌকাটি সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং রেড ক্রসের সহায়তায় বুধবার সকাল থেকেই উদ্ধারকাজ চলছে। ইতোমধ্যে ১০০ জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের অনেকেই আগুনে দগ্ধ হয়েছেন এবং তাদেরকে এমবানদাকা টাউন হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

নদী কমিশনার কমপিটেন্ট লোয়োকো জানান, মটরচালিত কাঠের তৈরি নৌকাটি অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল নিয়ে যাত্রা করেছিল। মাঝপথে রান্নার সময় আগুন ধরে গেলে যাত্রীদের মধ্যে হঠাৎ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই প্রাণ রক্ষায় নদীতে ঝাঁপ দেন, কিন্তু সাঁতার না জানার কারণে অনেকেরই প্রাণ রক্ষা সম্ভব হয়নি।

তিনি আরও বলেন, “নৌকাটিতে রান্নার ব্যবস্থাও ছিল, যা নিরাপত্তা ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তোলে।” নারী ও শিশুসহ বেশ কয়েকজন যাত্রী পানিতে তলিয়ে যান।

কঙ্গোতে সড়কপথের অনুপোযুক্ত অবকাঠামোর কারণে নৌপথই সাধারণ যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম। ফলে কাঠ দিয়ে তৈরি নৌকাগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল পরিবহন সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অনিয়ন্ত্রিত ও ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত ব্যবস্থাই বারবার প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

আল জাজিরার সাংবাদিক অ্যালেইন উয়াকানি জানান, “উদ্ধারকর্মীরা ছিল অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, ফলে শুরুতেই দ্রুত সাড়া দিতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে কার্যকর উদ্ধার তৎপরতা চালানো কঠিন হয়ে পড়ে।”

উল্লেখ্য, এটি প্রথম নয়। গত বছরের ডিসেম্বরে একইভাবে ৪০০ যাত্রী নিয়ে একটি ফেরি ডুবে গেলে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়। তার আগের মাসেই পূর্বাঞ্চলে আরেকটি দুর্ঘটনায় ৭৮ জনের প্রাণহানি ঘটে।

কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান জোরদার করেছে। এই ধরণের দুর্ঘটনা রোধে এবং নিরাপদ নৌ চলাচল নিশ্চিতে সরকারের আরও কঠোর নজরদারি ও নীতিমালা প্রণয়ন এখন সময়ের দাবি।