ঢাকা ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চীনের যে নির্মাণে হতবাক সারা বিশ্ব

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:৫৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 39

ছবি সংগৃহীত

বিশ্বের চোখ ফেরানো নতুন আরেক স্থাপত্যের জন্ম দিল চীন। দেশটির গুইঝো প্রদেশে নির্মিত হয়েছে এক অবিশ্বাস্য উচ্চতার সেতু ‘হুয়াজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন ব্রিজ’। বিশাল এই নির্মাণ শুধু প্রকৌশল কৌশলের নিদর্শনই নয়, বরং চীনের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতারও প্রতীক হয়ে উঠেছে।

৩.২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে একটি বিশাল গিরিখাতের ওপর দিয়ে। এর ফলে এক সময় যে পথ পাড়ি দিতে এক ঘণ্টা সময় লাগত, এখন তা মাত্র এক মিনিটেই সম্ভব হচ্ছে। ভৌগোলিক প্রতিবন্ধকতা জয় করে শহর ও গ্রামীণ অঞ্চলকে একসূত্রে বাঁধার লক্ষ্যে এই ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে।

‘দ্য মেট্রো’র তথ্য অনুযায়ী, মাত্র দু’মাসেই ইস্পাত কাঠামো বসানো সম্পন্ন হয়, যা প্রকৌশল বিদ্যায় এক অভাবনীয় সাফল্য। সেতুটির ভিডিও প্রকাশের পরপরই তা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। চীনের স্থানীয় মানুষজন ও আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি মহলে সাড়া ফেলে দেয় এই সাফল্য।

এই সেতুটি আইফেল টাওয়ারের চেয়েও প্রায় ২০০ মিটার উঁচু, আর এর ওজন ৩টি আইফেল টাওয়ারের সম্মিলিত ওজনের সমান। নির্মাণ ব্যয় প্রায় ২১ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ড। প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী লি ঝাও বলেন, ‘‘প্রতিদিন চোখের সামনে একটি স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ নিতে দেখার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এখন এটি গর্বের এক অনন্য নিদর্শন।’’

চীনা রাজনীতিবিদ ঝাং শেংলিন জানান, “এই সেতু প্রমাণ করে চীন শুধু ভবিষ্যৎ নয়, বর্তমানেও বিশ্বে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শীর্ষে রয়েছে। গুইঝো প্রদেশকে আন্তর্জাতিক পর্যটনের নতুন গন্তব্যে পরিণত করতেও এটি বড় ভূমিকা রাখবে।”

পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে ব্রিজের পাশে থাকবে কাচের হাঁটার পথ ও উচ্চতাসম্পন্ন বাঞ্জি জাম্পিং স্পট। এর মাধ্যমে শুধু পরিবহনই নয়, বরং বিনোদন ও পর্যটনের নতুন দিগন্তও উন্মোচিত হবে।

চীনের এই ব্যতিক্রমধর্মী প্রকল্প আবারও দেখিয়ে দিল চ্যালেঞ্জকে জয় করাই তাদের স্বভাব, আর উচ্চতাকে ছোঁয়া শুধু কল্পনা নয়, বাস্তবও।

নিউজটি শেয়ার করুন

চীনের যে নির্মাণে হতবাক সারা বিশ্ব

আপডেট সময় ০৯:৫৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

বিশ্বের চোখ ফেরানো নতুন আরেক স্থাপত্যের জন্ম দিল চীন। দেশটির গুইঝো প্রদেশে নির্মিত হয়েছে এক অবিশ্বাস্য উচ্চতার সেতু ‘হুয়াজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন ব্রিজ’। বিশাল এই নির্মাণ শুধু প্রকৌশল কৌশলের নিদর্শনই নয়, বরং চীনের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতারও প্রতীক হয়ে উঠেছে।

৩.২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে একটি বিশাল গিরিখাতের ওপর দিয়ে। এর ফলে এক সময় যে পথ পাড়ি দিতে এক ঘণ্টা সময় লাগত, এখন তা মাত্র এক মিনিটেই সম্ভব হচ্ছে। ভৌগোলিক প্রতিবন্ধকতা জয় করে শহর ও গ্রামীণ অঞ্চলকে একসূত্রে বাঁধার লক্ষ্যে এই ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে।

‘দ্য মেট্রো’র তথ্য অনুযায়ী, মাত্র দু’মাসেই ইস্পাত কাঠামো বসানো সম্পন্ন হয়, যা প্রকৌশল বিদ্যায় এক অভাবনীয় সাফল্য। সেতুটির ভিডিও প্রকাশের পরপরই তা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। চীনের স্থানীয় মানুষজন ও আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি মহলে সাড়া ফেলে দেয় এই সাফল্য।

এই সেতুটি আইফেল টাওয়ারের চেয়েও প্রায় ২০০ মিটার উঁচু, আর এর ওজন ৩টি আইফেল টাওয়ারের সম্মিলিত ওজনের সমান। নির্মাণ ব্যয় প্রায় ২১ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ড। প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী লি ঝাও বলেন, ‘‘প্রতিদিন চোখের সামনে একটি স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ নিতে দেখার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এখন এটি গর্বের এক অনন্য নিদর্শন।’’

চীনা রাজনীতিবিদ ঝাং শেংলিন জানান, “এই সেতু প্রমাণ করে চীন শুধু ভবিষ্যৎ নয়, বর্তমানেও বিশ্বে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শীর্ষে রয়েছে। গুইঝো প্রদেশকে আন্তর্জাতিক পর্যটনের নতুন গন্তব্যে পরিণত করতেও এটি বড় ভূমিকা রাখবে।”

পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে ব্রিজের পাশে থাকবে কাচের হাঁটার পথ ও উচ্চতাসম্পন্ন বাঞ্জি জাম্পিং স্পট। এর মাধ্যমে শুধু পরিবহনই নয়, বরং বিনোদন ও পর্যটনের নতুন দিগন্তও উন্মোচিত হবে।

চীনের এই ব্যতিক্রমধর্মী প্রকল্প আবারও দেখিয়ে দিল চ্যালেঞ্জকে জয় করাই তাদের স্বভাব, আর উচ্চতাকে ছোঁয়া শুধু কল্পনা নয়, বাস্তবও।