১১:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নতুন ফাঁস হওয়া নথিতে ইসরায়েলের সঙ্গে অ্যামাজন ও গুগলের গোপন চুক্তি উন্মোচিত তাইওয়ানে প্রথমবারের মতো প্রো ইসরাইলি লবি AIPAC প্রতিনিধিদলের সফর প্রবল বর্ষণে নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সির রাস্তাঘাট প্লাবিত, যানবাহন ডুবে গেছে পানিতে নিরাপত্তা হুমকিতে সামরিক ঘাঁটিতে আশ্রয় নিলেন ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ‘পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত এক দখলদার দানব’ — যুক্তরাষ্ট্রকে কটাক্ষ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে সম্মত পাকিস্তান-আফগানিস্তান, তুরস্ক-কাতারের মধ্যস্থতায় সমঝোতা প্রথম উড্ডয়ন সম্পন্ন করল নাসার নীরব সুপারসনিক জেট X-59 ‘হ্যাঁ’–‘না’ পোস্টে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া ইবতেদায়ী শিক্ষকদের মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দিলো পুলিশ জুলাই সনদে সাইন করে ভুল করেছেন, এখন কাফফারা দিন: বিএনপিকে নাসীরুদ্দীন

নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু, কিন্তু পাঠ্যবই সংকটে শিক্ষার্থীরা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৩২:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 79

নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু, কিন্তু পাঠ্যবই সংকটে শিক্ষার্থীরা

 

নতুন শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা এখনও প্রয়োজনীয় পাঠ্যবই হাতে পায়নি। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এই বই ছাপার কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ বছর সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে দিতে প্রয়োজন ছিল ৪০ কোটি ১৬ লাখ কপি পাঠ্যবই। তবে এপর্যন্ত মাত্র ৭ কোটি বই ছাপা হয়েছে, যার মধ্যে ৬ কোটি বই উপজেলা পর্যায়ে বিতরণের জন্য পাঠানো হয়েছে। বাকি ৩৩ কোটি বই এখনও ছাপার কাজ শেষ হয়নি। ফলে বছরের প্রথম দিনে সকল শিক্ষার্থীকে সব বই দেওয়া সম্ভব হয়নি।

এখনো দেশের বিভিন্ন ছাপাখানায় বিরামহীন চলছে কাজ এনসিটিবি জানিয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সব শিক্ষার্থীর হাতে অন্ততপক্ষে তিনটি করে বই (বাংলা, ইংরেজি ও গণিত) দেওয়া হয়েছে। তবে, বই ছাপানোর কাজের বর্তমান অবস্থা দেখে এই পরিকল্পনাও পুরোপুরি বাস্তবায়ন হওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৪০ লাখ কপি বই ছাপার সক্ষমতা রাখলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে ফেব্রুয়ারি মাসের আগে সব বই বিতরণ শেষ হওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিজ্ঞাপন

গত বছরের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর নতুন শিক্ষাক্রম কার্যত বাতিল হয়ে যায়। এর ফলে, এক যুগ আগে তৈরি পুরোনো শিক্ষাক্রম অনুযায়ী পাঠ্যবই সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বছরের জন্য ৪৪১টি বই পরিমার্জন করেছে এনসিটিবি। এর মধ্যে বেশ কিছু গদ্য, প্রবন্ধ, উপন্যাস এবং কবিতা বাদ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও ১৯৯০ সালের গণ-অভ্যুত্থানের মতো বিষয়বস্তু নতুন করে সংযোজন করা হয়েছে। এই পরিবর্তনগুলোর ফলে বইয়ের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় আরও বেড়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু, কিন্তু পাঠ্যবই সংকটে শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় ১২:৩২:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫

 

নতুন শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা এখনও প্রয়োজনীয় পাঠ্যবই হাতে পায়নি। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এই বই ছাপার কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ বছর সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে দিতে প্রয়োজন ছিল ৪০ কোটি ১৬ লাখ কপি পাঠ্যবই। তবে এপর্যন্ত মাত্র ৭ কোটি বই ছাপা হয়েছে, যার মধ্যে ৬ কোটি বই উপজেলা পর্যায়ে বিতরণের জন্য পাঠানো হয়েছে। বাকি ৩৩ কোটি বই এখনও ছাপার কাজ শেষ হয়নি। ফলে বছরের প্রথম দিনে সকল শিক্ষার্থীকে সব বই দেওয়া সম্ভব হয়নি।

এখনো দেশের বিভিন্ন ছাপাখানায় বিরামহীন চলছে কাজ এনসিটিবি জানিয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সব শিক্ষার্থীর হাতে অন্ততপক্ষে তিনটি করে বই (বাংলা, ইংরেজি ও গণিত) দেওয়া হয়েছে। তবে, বই ছাপানোর কাজের বর্তমান অবস্থা দেখে এই পরিকল্পনাও পুরোপুরি বাস্তবায়ন হওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৪০ লাখ কপি বই ছাপার সক্ষমতা রাখলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে ফেব্রুয়ারি মাসের আগে সব বই বিতরণ শেষ হওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিজ্ঞাপন

গত বছরের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর নতুন শিক্ষাক্রম কার্যত বাতিল হয়ে যায়। এর ফলে, এক যুগ আগে তৈরি পুরোনো শিক্ষাক্রম অনুযায়ী পাঠ্যবই সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বছরের জন্য ৪৪১টি বই পরিমার্জন করেছে এনসিটিবি। এর মধ্যে বেশ কিছু গদ্য, প্রবন্ধ, উপন্যাস এবং কবিতা বাদ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও ১৯৯০ সালের গণ-অভ্যুত্থানের মতো বিষয়বস্তু নতুন করে সংযোজন করা হয়েছে। এই পরিবর্তনগুলোর ফলে বইয়ের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় আরও বেড়েছে।