ঢাকা ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামালের ৫৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ভাটারায় প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভীতি প্রদর্শনের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে ডিবি চাঞ্চল্যকর ছিনতাইয়ের ঘটনায় মোটরসাইকেল ও দেশীয় অস্ত্রসহ পেশাদার ছিনতাইকারী শাকিলকে গ্রেফতার করেছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ যুদ্ধবিরতিতে ফিলিস্তিনিদের ‘না’, প্রস্তাবে যা বলেছে ইসরায়েল ড. ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন তালেবান আর সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নয়, রায় দিল রাশিয়া গুগল এখন অস্ত্র ও নজরদারির জন্য এআই তৈরি করছে ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে বন্দুকধারীর হামলায় ৫ জন নিহত, ৪ জন আহত — সন্দেহভাজন আটক ইসরায়েল সীমান্তের কাছে হিজবুল্লাহকে হটাতে কাজ করছে লেবানন সেনাবাহিনী সিরিয়ার স্বৈরশাসকের মূল্যবান সম্পদ পাচারে গোপন বিমান মিশন

ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় বাংলাদেশ, অর্থবছরে ৩.৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এডিবির

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৫২:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৫০৭ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশের অর্থনীতি চলতি অর্থবছরে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলেও আগামী বছর ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশাবাদ জানিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বুধবার (৯ এপ্রিল) প্রকাশিত সংস্থাটির ‘এডিবি ডেভেলপমেন্ট আউটলুক’ প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ, যা ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৫ দশমিক ১ শতাংশে।

চলতি অর্থবছরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটায় প্রবৃদ্ধির গতি কমেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এ বছর সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ২ শতাংশে পৌঁছাতে পারে, তবে পরের বছর তা কমে ৮ শতাংশে নামবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এডিবি বলছে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করা এবং নীতিনির্ধারণে স্বচ্ছতা বজায় রাখলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে আরও শক্তিশালী অবস্থানে ফিরে আসবে।

তবে প্রতিবেদনটি সতর্ক করে বলেছে, নির্বাচনী ব্যয় বৃদ্ধি, রাজনৈতিক উত্তেজনা, বৈশ্বিক বাজারে অনিশ্চয়তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্কনীতি বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।

এই পরিস্থিতিতে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থার সংস্কার অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছে সংস্থাটি।

বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের জন্য এখন মূল চাবিকাঠি হবে স্থিতিশীলতা ও কাঠামোগত সংস্কার। দক্ষ জনশক্তি উন্নয়ন, প্রযুক্তিনির্ভর উৎপাদন খাত গড়ে তোলা এবং টেকসই ব্যাংকিং খাতের উপর গুরুত্ব দিতে হবে।

এডিবির এই প্রতিবেদনে দেশীয় অর্থনীতির জন্য যেমন চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয়েছে, তেমনি ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদের বার্তাও দেওয়া হয়েছে। সময়মতো কার্যকর নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ আবারও গতিশীল প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরতে পারবে এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় বাংলাদেশ, অর্থবছরে ৩.৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এডিবির

আপডেট সময় ১১:৫২:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

 

বাংলাদেশের অর্থনীতি চলতি অর্থবছরে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলেও আগামী বছর ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশাবাদ জানিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বুধবার (৯ এপ্রিল) প্রকাশিত সংস্থাটির ‘এডিবি ডেভেলপমেন্ট আউটলুক’ প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ, যা ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৫ দশমিক ১ শতাংশে।

চলতি অর্থবছরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটায় প্রবৃদ্ধির গতি কমেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এ বছর সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ২ শতাংশে পৌঁছাতে পারে, তবে পরের বছর তা কমে ৮ শতাংশে নামবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এডিবি বলছে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করা এবং নীতিনির্ধারণে স্বচ্ছতা বজায় রাখলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে আরও শক্তিশালী অবস্থানে ফিরে আসবে।

তবে প্রতিবেদনটি সতর্ক করে বলেছে, নির্বাচনী ব্যয় বৃদ্ধি, রাজনৈতিক উত্তেজনা, বৈশ্বিক বাজারে অনিশ্চয়তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্কনীতি বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।

এই পরিস্থিতিতে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থার সংস্কার অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছে সংস্থাটি।

বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের জন্য এখন মূল চাবিকাঠি হবে স্থিতিশীলতা ও কাঠামোগত সংস্কার। দক্ষ জনশক্তি উন্নয়ন, প্রযুক্তিনির্ভর উৎপাদন খাত গড়ে তোলা এবং টেকসই ব্যাংকিং খাতের উপর গুরুত্ব দিতে হবে।

এডিবির এই প্রতিবেদনে দেশীয় অর্থনীতির জন্য যেমন চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয়েছে, তেমনি ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদের বার্তাও দেওয়া হয়েছে। সময়মতো কার্যকর নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ আবারও গতিশীল প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরতে পারবে এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।