ঢাকা ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আসন্ন পাকিস্তান সিরিজের দল ঘোষণা করলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) রাজনৈতিক কর্মসূচি বা বক্তব্যের আগে দলকে হিসেব-নিকেশ করতে হবে: এ্যানি পুলিশের ১১০ কর্মকর্তাকে এসআই থেকে ইন্সপেক্টর পদে উত্তরণ পাকিস্তানে টানা বৃষ্টিতে ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ জনের মৃত্যু, দুর্ভোগে লাখো মানুষ গোয়েন্দা তথ্য ছিল, কিন্তু এমন ব্যাপকতা ধারণা করা যায়নি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা” কিশোরগঞ্জে ব্যবসায়ী সৈয়দুর হত্যা মামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন রাশিয়া-ইউক্রেন পাল্টাপাল্টি ড্রোন হামলার তীব্রতা, দুই পক্ষেই হতাহত ভোটার তালিকা সংযোজনসহ তিনটি অধ্যাদেশের খসড়া উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন অবৈধ ৬২ কোটি টাকার সম্পদের প্রমাণ মিলেছে তারিক সিদ্দিকের: দুদক চকরিয়ায় চুরি করতে গিয়ে পুলিশের স্ত্রীকে ধর্ষণ, আটক ১

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস আজ: নিরাপদ জন্মের অঙ্গীকারে আলোকিত ভবিষ্যতের পথে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:২৮:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / 74

ছবি সংগৃহীত

 

আজ ৭ এপ্রিল, বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘জন্ম হোক সুরক্ষিত, ভবিষ্যৎ হোক আলোকিত’ নতুন প্রজন্মের সুস্থ জীবন নিশ্চিত করতে বিশ্বজুড়ে একটি জোরালো বার্তা বহন করছে। বাংলাদেশেও দিবসটি যথাযথ গুরুত্বসহকারে উদযাপিত হচ্ছে।

এই উপলক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা গ্রহণ করেছে নানামুখী কর্মসূচি। গর্ভবতী মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করা এবং সচেতনতা বাড়ানোই এবারের মূল লক্ষ্য।

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক গুরুত্বপূর্ণ বাণীতে বলেন, “নারী ও শিশুর স্বাস্থ্য উন্নয়নে দেশের প্রতিটি স্তরে সম্মিলিত উদ্যোগ জরুরি। ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার নারী ও শিশুর স্বাস্থ্যকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার এখনো দেশের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। এই হার কমাতে আরও কার্যকর কর্মসূচি, সচেতনতা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য।”

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, ১৯৪৬ সালে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের সিদ্ধান্তে একটি আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সম্মেলনের আয়োজন হয়। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) প্রতিষ্ঠিত হয় এবং দিনটি ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

প্রতি বছর একটি বিশেষ স্বাস্থ্য ইস্যু কেন্দ্র করে দিবসটি পালন করা হয়, যা বৈশ্বিকভাবে গুরুত্ব পায়। এ বছর মাতৃত্বকালীন নিরাপত্তা ও শিশুর সুরক্ষা বিষয়ে ফোকাস করে বিশ্বজুড়ে নীতিনির্ধারক ও জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে এ বছরের বার্তা তাই খুবই স্পষ্ট প্রত্যেকটি শিশুর জন্ম হোক নিরাপদ, আর প্রতিটি ভবিষ্যৎ হোক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও আলোকিত।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস আজ: নিরাপদ জন্মের অঙ্গীকারে আলোকিত ভবিষ্যতের পথে

আপডেট সময় ১১:২৮:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

 

আজ ৭ এপ্রিল, বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘জন্ম হোক সুরক্ষিত, ভবিষ্যৎ হোক আলোকিত’ নতুন প্রজন্মের সুস্থ জীবন নিশ্চিত করতে বিশ্বজুড়ে একটি জোরালো বার্তা বহন করছে। বাংলাদেশেও দিবসটি যথাযথ গুরুত্বসহকারে উদযাপিত হচ্ছে।

এই উপলক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা গ্রহণ করেছে নানামুখী কর্মসূচি। গর্ভবতী মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করা এবং সচেতনতা বাড়ানোই এবারের মূল লক্ষ্য।

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক গুরুত্বপূর্ণ বাণীতে বলেন, “নারী ও শিশুর স্বাস্থ্য উন্নয়নে দেশের প্রতিটি স্তরে সম্মিলিত উদ্যোগ জরুরি। ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার নারী ও শিশুর স্বাস্থ্যকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার এখনো দেশের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। এই হার কমাতে আরও কার্যকর কর্মসূচি, সচেতনতা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য।”

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, ১৯৪৬ সালে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের সিদ্ধান্তে একটি আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সম্মেলনের আয়োজন হয়। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) প্রতিষ্ঠিত হয় এবং দিনটি ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

প্রতি বছর একটি বিশেষ স্বাস্থ্য ইস্যু কেন্দ্র করে দিবসটি পালন করা হয়, যা বৈশ্বিকভাবে গুরুত্ব পায়। এ বছর মাতৃত্বকালীন নিরাপত্তা ও শিশুর সুরক্ষা বিষয়ে ফোকাস করে বিশ্বজুড়ে নীতিনির্ধারক ও জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে এ বছরের বার্তা তাই খুবই স্পষ্ট প্রত্যেকটি শিশুর জন্ম হোক নিরাপদ, আর প্রতিটি ভবিষ্যৎ হোক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও আলোকিত।