যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে সম্পত্তি গোপনের অভিযোগ, দুদকের তদন্তে নতুন মোড়

- আপডেট সময় ০১:২৯:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
- / 21
যুক্তরাজ্যের এমপি ও সাবেক সিটি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে অবস্থিত একটি ছয় লাখ পাউন্ড মূল্যের ফ্ল্যাটের মালিকানা গোপনের অভিযোগ উঠেছে। ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল এক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে দাবি করেছে, এই ফ্ল্যাটটি এখনও টিউলিপ সিদ্দিকের নামে রয়েছে, যদিও তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একে বোন আজমিনার নামে বলে উল্লেখ করেছেন।
খবরে বলা হয়, ঢাকা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ফ্ল্যাটটির প্রকৃত মালিক এখনো টিউলিপ নিজেই। যদিও টিউলিপ দাবি করছেন, ২০০২ সালে তার বাবা-মা তাকে ফ্ল্যাটটি উপহার দেন এবং ২০১৫ সালে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর তা আইনগতভাবে তার ছোট বোন আজমিনার নামে হস্তান্তর করেন।
তবে বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে উঠে এসেছে ভিন্ন চিত্র। তারা জানায়, হস্তান্তরের জন্য ব্যবহার করা ‘হেবা দলিল’টি ছিল জাল, এবং এতে যে ব্যারিস্টারের স্বাক্ষর রয়েছে বলে দাবি করা হয়, তিনি তা অস্বীকার করেছেন। এমনকি স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।
ফ্ল্যাটটির মালিকানা এখন বাংলাদেশের আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। এদিকে, ফ্ল্যাটটি বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে জব্দ করেছে এবং তদন্তও চলছে।
টিউলিপের আইনজীবী পল থোয়েট জানান, একটি হেবা দলিল সম্পূর্ণ বৈধ পদ্ধতিতে তৈরি হয়েছে এবং ফ্ল্যাটটি মূলত তার পরিবারেরই যৌথ সম্পত্তি ছিল। ভাড়া বাবদ প্রাপ্ত অর্থ সবসময় আজমিনা পেতেন বলেও তিনি দাবি করেন।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশি আইনে যেকোনো সম্পত্তি হস্তান্তরের জন্য সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে আনুষ্ঠানিক নথিভুক্তি বাধ্যতামূলক। নথিভুক্তি ছাড়া হেবা দলিল দিয়ে মালিকানা হস্তান্তরের দাবি টিকবে না।
এই ঘটনার ফলে শুধু যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতেই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও টিউলিপ সিদ্দিকের ওপর নজরদারি বেড়েছে। এখন দেখার বিষয়, আদালত ও দুদকের অনুসন্ধান কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।