হেলথ টিপস
হঠাৎ প্যানিক অ্যাটাক হলে তাৎক্ষণিক করণীয়
আমাদের আধুনিক জীবনযাত্রায় মানসিক চাপ একটি অতি পরিচিত বিষয়। কাজের চাপ, সম্পর্কের জটিলতা, অর্থনৈতিক চাপ ইত্যাদিসহ আরো বিভিন্ন কারণে অনেকেই প্রতিদিন মানসিক চাপে ভুগছেন। এই মানসিক চাপ থেকে অনেক সময় হঠাৎ প্যানিক অ্যাটাক ঘটে। প্যানিক অ্যাটাক হল এক ধরনের আকস্মিক মানসিক এবং শারীরিক প্রতিক্রিয়া যা তখন ঘটে যখন কোনো ব্যক্তি অত্যন্ত ভীত বা উদ্বিগ্ন হয়। প্যানিক অ্যাটাক সাধারণত স্বল্প সময়ের জন্য ঘটে, তবে এর প্রভাব মারাত্মক হতে পারে। প্যানিক অ্যাটাকের সময় মানুষ হঠাৎ করে অস্বস্তি অনুভব করে এবং হৃদপিণ্ডের গতি বেড়ে যায়, শরীরে ঘাম জমে, শ্বাসকষ্ট হয়, এবং মনে হয় যেন কিছু ভয়ানক ঘটতে চলেছে। এই ধরনের অনুভূতি প্রায়শই অকারণেই হয়ে থাকে, কিন্তু আক্রান্ত ব্যক্তি এই সময়ে মারাত্মক আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
তাৎক্ষণিক করণীয়
শ্বাস নিয়ন্ত্রণ করা: প্যানিক অ্যাটাকের সময় শ্বাস দ্রুত হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে গভীরভাবে শ্বাস নেওয়া প্রয়োজন। ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নিন, পাঁচ সেকেন্ড ধরে রাখুন, তারপর ধীরে ধীরে ছেড়ে দিন। এটি শরীরকে শান্ত করতে সাহায্য করে।
জমে থাকা শক্তি নিঃসরণ করুন: প্যানিক অ্যাটাকের সময় শরীরের ভেতরে প্রচুর শক্তি সঞ্চিত হয়। এই শক্তি নিঃসরণের জন্য কিছু শারীরিক ব্যায়াম করতে পারেন, যেমন হাঁটা বা হালকা দৌড়।
ফোকাস পরিবর্তন করুন: প্যানিক অ্যাটাকের সময় মন অন্য দিকে সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। নিজেকে অন্য কোনো সহজ কাজে ব্যস্ত রাখতে চেষ্টা করুন। কোনো মজার ভিডিও দেখুন, গান শুনুন, বা কারো সাথে কথা বলুন। অনেক সময় প্যানিক অ্যাটাকের কারণ হতে পারে আশেপাশের পরিবেশ। যদি কোনো স্থান বা পরিবেশে থেকে প্যানিক অ্যাটাক অনুভূত হয়, সেখান থেকে বের হয়ে আসুন এবং একটি শান্ত জায়গায় চলে যান।
পানি পান করুন: প্যানিক অ্যাটাকের সময় শরীরে ঘাম জমতে পারে, ফলে শরীরের পানি কমে যেতে পারে। সেই মুহূর্তে এক গ্লাস পানি পান করুন।
প্যানিক অ্যাটাক থেকে মুক্তি পাওয়ার পর লাইফস্টাইলে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে যেন এটি পুনরায় না ঘটে। নিয়মিত ব্যায়াম করা, পর্যাপ্ত ঘুমানো, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, এবং মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততার মাঝে কিছুটা সময় নিজের জন্য রেখে ধ্যান বা যোগব্যায়াম করা মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে।