ঢাকা ০৮:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নীলফামারীতে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বালিকা বিদ্যালয়ে এসএসসিতে সবাই ফেল, বইছে সমালোচনার ঝড় নাইজেরিয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ৩০ সশস্ত্র দস্যু নিহত সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১২৮৪ জন তরুণদের হতে হবে ডিজিটাল ভবিষ্যতের সহ-নির্মাতা: জাতিসংঘ মহাসচিব লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে মোংলা বন্দরে রেকর্ড রাজস্ব আদায় ও জাহাজ আগমন ইসির তফসিলে যুক্ত হচ্ছে আরও ৪৬টি প্রতীক, তফসিলে মোট সংখ্যা দাঁড়াবে ১১৫ এসএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু ১১ জুলাই থেকে এসএসসি-সমমান পরীক্ষায় পাস করেনি ১৩৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেউই পাহাড় ধ্বসে আশঙ্কায় বান্দরবানের ৯০টি রিসোর্ট বন্ধ মানিকগঞ্জে সাপের কামড়ে মৃত্যু নয়, গাফিলতিতেই গেল ৬ বছরের মুন্নির প্রাণ

বকশীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ৭ বাংলাদেশিকে পুশইন করল বিএসএফ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৫৪:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
  • / 3

ছবি সংগৃহীত

 

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর সীমান্ত দিয়ে চার নারীসহ সাতজন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ভোরে উপজেলার ধানুয়া কামালপুর এলাকার ১০৮৩ নম্বর সীমান্ত পিলারের কাছ দিয়ে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয় বিএসএফ। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি টের পেয়ে তাদের আটক করে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

আটকদের মধ্যে রয়েছে খুলনা, ফরিদপুর, বাগেরহাট ও বরগুনা জেলার বাসিন্দারা।

আটককৃতরা হলেন বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার কাশেম আলীর ছেলে এনায়েত খাঁ (৫৫), একই উপজেলার বেলায়েত খাঁ-এর ছেলে মোহাম্মদ ইসলাম (২২), ফরিদপুর জেলার মেহবুব আলীর ছেলে কোরবান আলী (২০) ও তার মা তাছলিমা বেগম (৫০), খুলনার খালিশপুর এলাকার সোহাগ মিয়ার মেয়ে সুমি আক্তার (৩০) ও তার বোন রেমি আক্তার (২০), এবং বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার রুস্তম আলীর মেয়ে মায়া আক্তার (৩২)।

ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোতালেব মিয়া জানান, “ভোরে খবর পাই ভারত থেকে কয়েকজনকে পুশ-ইন করা হয়েছে। এরপর আমরা গ্রামবাসীদের নিয়ে সীমান্তে গিয়ে তাদের আটক করি। তারা সবাই আগে দালালের মাধ্যমে কাজের সন্ধানে ভারতের বিভিন্ন শহরে গিয়েছিল। সম্প্রতি ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিদের পুশ-ইন করছে, সেই ধারাবাহিকতায় আজকের ঘটনাটি ঘটেছে।”

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, “ধানুয়া কামালপুর সীমান্ত দিয়ে সাতজনকে পুশ-ইন করার পর স্থানীয়রা তাদের আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে। বর্তমানে তাদের বিষয়ে আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”

স্থানীয় প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের বিস্তারিত তথ্য যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সীমান্তবর্তী এলাকায় এভাবে পুশ-ইন এর ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও সীমান্ত রক্ষীদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে নজরদারি জোরদার করার কথা বলা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বকশীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ৭ বাংলাদেশিকে পুশইন করল বিএসএফ

আপডেট সময় ১১:৫৪:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

 

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর সীমান্ত দিয়ে চার নারীসহ সাতজন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ভোরে উপজেলার ধানুয়া কামালপুর এলাকার ১০৮৩ নম্বর সীমান্ত পিলারের কাছ দিয়ে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয় বিএসএফ। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি টের পেয়ে তাদের আটক করে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

আটকদের মধ্যে রয়েছে খুলনা, ফরিদপুর, বাগেরহাট ও বরগুনা জেলার বাসিন্দারা।

আটককৃতরা হলেন বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার কাশেম আলীর ছেলে এনায়েত খাঁ (৫৫), একই উপজেলার বেলায়েত খাঁ-এর ছেলে মোহাম্মদ ইসলাম (২২), ফরিদপুর জেলার মেহবুব আলীর ছেলে কোরবান আলী (২০) ও তার মা তাছলিমা বেগম (৫০), খুলনার খালিশপুর এলাকার সোহাগ মিয়ার মেয়ে সুমি আক্তার (৩০) ও তার বোন রেমি আক্তার (২০), এবং বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার রুস্তম আলীর মেয়ে মায়া আক্তার (৩২)।

ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোতালেব মিয়া জানান, “ভোরে খবর পাই ভারত থেকে কয়েকজনকে পুশ-ইন করা হয়েছে। এরপর আমরা গ্রামবাসীদের নিয়ে সীমান্তে গিয়ে তাদের আটক করি। তারা সবাই আগে দালালের মাধ্যমে কাজের সন্ধানে ভারতের বিভিন্ন শহরে গিয়েছিল। সম্প্রতি ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিদের পুশ-ইন করছে, সেই ধারাবাহিকতায় আজকের ঘটনাটি ঘটেছে।”

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, “ধানুয়া কামালপুর সীমান্ত দিয়ে সাতজনকে পুশ-ইন করার পর স্থানীয়রা তাদের আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে। বর্তমানে তাদের বিষয়ে আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”

স্থানীয় প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের বিস্তারিত তথ্য যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সীমান্তবর্তী এলাকায় এভাবে পুশ-ইন এর ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও সীমান্ত রক্ষীদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে নজরদারি জোরদার করার কথা বলা হয়েছে।