ঢাকা ১২:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গণমাধ্যম সংস্কারে ১২টি নতুন সিদ্ধান্ত, অগ্রাধিকার পাচ্ছে সাংবাদিকদের অধিকার পলিথিন বন্ধে কঠোর অভিযান শিগগিরই শুরু: পরিবেশ উপদেষ্টা বিআরটিসির দরজা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সর্বদা খোলা: চেয়ারম্যান নীলফামারীতে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বালিকা বিদ্যালয়ে এসএসসিতে সবাই ফেল, বইছে সমালোচনার ঝড় নাইজেরিয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ৩০ সশস্ত্র দস্যু নিহত সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১২৮৪ জন তরুণদের হতে হবে ডিজিটাল ভবিষ্যতের সহ-নির্মাতা: জাতিসংঘ মহাসচিব লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে মোংলা বন্দরে রেকর্ড রাজস্ব আদায় ও জাহাজ আগমন ইসির তফসিলে যুক্ত হচ্ছে আরও ৪৬টি প্রতীক, তফসিলে মোট সংখ্যা দাঁড়াবে ১১৫ এসএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু ১১ জুলাই থেকে

বিজয়পুর সীমান্ত দিয়ে ২১ বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করল বিএসএফ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:২৮:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
  • / 3

ছবি সংগৃহীত

 

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বিজয়পুর সীমান্ত দিয়ে আবারও ২১ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ভোর ৫টার দিকে সীমান্তের ১১৪৮/৪ এস পিলারের কাছাকাছি আড়াপাড়া এলাকা দিয়ে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সূত্রে জানা গেছে, পুশ-ইন হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৯ জন তৃতীয় লিঙ্গের এবং ২ জন পুরুষ রয়েছেন। পুশ-ইনের পরপরই বিজিবির সদস্যরা তাদের আটক করে।

আটক ব্যক্তিরা দেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। তারা চট্টগ্রাম, ঢাকার নবাবগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, খিলগাঁও, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জ, পটুয়াখালী, মৌলভীবাজার, টাঙ্গাইল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছেন বলে জানা গেছে।

আটক তৃতীয় লিঙ্গের একজন, নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা সানজানা জানান, প্রায় ১০ বছর আগে তিনি দালালের মাধ্যমে ভারতে পাড়ি জমান। সেখানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। সম্প্রতি দিল্লির বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করে ভারতীয় পুলিশ। এরপর বিএসএফ তাদের বিজয়পুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশ-ইন করে।

নেত্রকোনা ৩১ বিজিবির বিজয়পুর বিওপির কম্পানি কমান্ডার শহীদুল ইসলাম বলেন, “আটক ব্যক্তিদের কেউ ১ বছর, কেউ ২ বছর, আবার কেউ ১০ বছর ধরে ভারতে অবস্থান করছিলেন। তারা মূলত দিল্লিতে কাজের জন্য গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই তাদের আটক করে বিএসএফ আমাদের সীমান্তে ঠেলে দেয়।”

তিনি আরও জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে দুর্গাপুর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত দিয়ে এ ধরনের পুশ-ইনের ঘটনা ঘটছে, যা কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে উদ্বেগজনক। এতে মানবিক ও নিরাপত্তা ইস্যুতে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, নিয়মিত পুশ-ইনের ঘটনায় দুই দেশের সীমান্ত ব্যবস্থাপনার ওপর প্রভাব পড়তে পারে। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা প্রয়োজন।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিজয়পুর সীমান্ত দিয়ে ২১ বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করল বিএসএফ

আপডেট সময় ০২:২৮:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

 

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বিজয়পুর সীমান্ত দিয়ে আবারও ২১ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ভোর ৫টার দিকে সীমান্তের ১১৪৮/৪ এস পিলারের কাছাকাছি আড়াপাড়া এলাকা দিয়ে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সূত্রে জানা গেছে, পুশ-ইন হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৯ জন তৃতীয় লিঙ্গের এবং ২ জন পুরুষ রয়েছেন। পুশ-ইনের পরপরই বিজিবির সদস্যরা তাদের আটক করে।

আটক ব্যক্তিরা দেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। তারা চট্টগ্রাম, ঢাকার নবাবগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, খিলগাঁও, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জ, পটুয়াখালী, মৌলভীবাজার, টাঙ্গাইল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছেন বলে জানা গেছে।

আটক তৃতীয় লিঙ্গের একজন, নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা সানজানা জানান, প্রায় ১০ বছর আগে তিনি দালালের মাধ্যমে ভারতে পাড়ি জমান। সেখানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। সম্প্রতি দিল্লির বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করে ভারতীয় পুলিশ। এরপর বিএসএফ তাদের বিজয়পুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশ-ইন করে।

নেত্রকোনা ৩১ বিজিবির বিজয়পুর বিওপির কম্পানি কমান্ডার শহীদুল ইসলাম বলেন, “আটক ব্যক্তিদের কেউ ১ বছর, কেউ ২ বছর, আবার কেউ ১০ বছর ধরে ভারতে অবস্থান করছিলেন। তারা মূলত দিল্লিতে কাজের জন্য গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই তাদের আটক করে বিএসএফ আমাদের সীমান্তে ঠেলে দেয়।”

তিনি আরও জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে দুর্গাপুর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত দিয়ে এ ধরনের পুশ-ইনের ঘটনা ঘটছে, যা কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে উদ্বেগজনক। এতে মানবিক ও নিরাপত্তা ইস্যুতে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, নিয়মিত পুশ-ইনের ঘটনায় দুই দেশের সীমান্ত ব্যবস্থাপনার ওপর প্রভাব পড়তে পারে। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা প্রয়োজন।