ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিহত ১, আহত অন্তত ৩০

- আপডেট সময় ১১:০৬:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
- / 17
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের মকরমপট্টি গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে একজন নিহত ও অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। রবিবার (৪ এপ্রিল) রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষ চলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মকরমপট্টি গ্রামে দবির মাতুব্বর (৬০) ও বজলু মুন্সি (৬২) নামে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। সেই পুরনো দ্বন্দ্বের জেরে রবিবার সন্ধ্যায় দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় বজলু মুন্সির পক্ষের কুদ্দুস মোল্লা (৫৫) কে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত কুদ্দুস মোল্লা ওই গ্রামের হাজী হামেদ মোল্লার ছেলে। তার তিন ছেলে রয়েছে, যার মধ্যে বড় দুইজন প্রবাসে অবস্থান করছেন এবং ছোট ছেলে মিঠুন মোল্লা বাড়ির জমিজমা দেখাশোনা করেন।
নিহতের ছেলে মিঠুন মোল্লা বলেন, “আমার বাবাকে গলায় কোপ দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।” নিহতের ভাই ফেরদৌস মোল্লা (৫০) জানান, “১০ বছর ধরে আমাদের সঙ্গে ওদের দ্বন্দ্ব চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমার ভাইকে হত্যা করেছে।”
এদিকে সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে অনেকেই ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন ফেরদৌস মোল্লা (৫০), আমির বেপারী (৫৪), রেজ্জাক শেখ (৫০), মো. স্বাধীন মুন্সি (১৮), সাজ্জাদ শেখ (১৯), দ্বীন ইসলাম (৪১), রিজু মিয়া (২৫), সোহাগ মোল্লা (২৫), বায়েজিদ মিয়া (২৩), হাসান মোল্লা (৪০), ইলিয়াস মুন্সি (৫৫), নুর ইসলাম (৩২), এবং জহুরুল শেখ (৪৫)।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. তানসিভ জুবায়ের বলেন, “সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন এবং আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”
ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, “ঘারুয়া ইউনিয়নের মকরমপট্টি গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”
এই ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে।