ঢাকা ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুধ শুধু পণ্য নয়, আমাদের সংস্কৃতির অংশ: ফরিদা আখতার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৪৫:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
  • / 2

ছবি সংগৃহীত

 

 

“দুধ এখন আর শুধু একটি পণ্য নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতির অংশ,” বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

রবিবার সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) মিলনায়তনে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর আয়োজিত এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমাদের মায়েরা বলেন, ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে।’ দুধের গুরুত্ব আমাদের জীবনধারার সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত।”

তিনি জানান, সরকার প্রাণিসম্পদ খাতে প্রণোদনা বাড়ানোর বিষয়টি আন্তরিকভাবে বিবেচনা করছে। “যেভাবে কৃষি খাতে ভর্তুকি দেওয়া হয়, ঠিক সেভাবেই খামারিরাও যেন প্রণোদনা পায়, সেটি নিশ্চিত করা জরুরি,” বলেন উপদেষ্টা।

তিনি আরো বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রায় এক লাখ ১৮ হাজার টন গুঁড়ো দুধ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়, যার পেছনে ব্যয় হয় প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। “এই ব্যয় কমাতে হলে দেশে উন্নতমানের দুধ উৎপাদন বাড়াতে হবে। এতে দেশের খামারিরা যেমন লাভবান হবে, তেমনি বিদেশি নির্ভরতা কমে আসবে।”

বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে তিনি জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের জন্য প্রাণিসম্পদ খাতে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “এই যোদ্ধারা এক সময় দেশের জন্য লড়েছেন। এখন তাদের কর্মক্ষমতা হয়তো সীমিত, কিন্তু আমরা যেন তাদের মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে পারি সে ব্যবস্থা আমাদেরই নিতে হবে।”

উপদেষ্টা মহিষ ও ছাগলের দুধ নিয়েও গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, “পার্শ্ববর্তী দেশে মহিষের দুধ উৎপাদন বাড়ছে। আমাদের দেশেও মহিষ ও ছাগলের দুধের উৎপাদন বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। ছাগলের দুধে ওষুধি গুণ থাকায় এর চাহিদাও বাড়ছে।”

আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক ডা. মো. জসিম উদ্দিন।

এবারের বিশ্ব দুগ্ধ দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল “দুগ্ধের অপার শক্তিতে, মেতে উঠি এক সাথে”। এই প্রতিপাদ্য নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. বয়জার রহমান।

আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. খালেদা ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রায়হান হাবিব এবং অধ্যাপক ড. আরিফুল ইসলাম।

এর আগে সকালে উপদেষ্টা রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ে শিশুদের মাঝে স্কুল মিল্ক ফিডিং কার্যক্রমের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন এবং একটি কেন্দ্রীয় র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি খাতের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, খামারি প্রতিনিধি এবং শিক্ষাবিদরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

দুধ শুধু পণ্য নয়, আমাদের সংস্কৃতির অংশ: ফরিদা আখতার

আপডেট সময় ০৭:৪৫:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

 

 

“দুধ এখন আর শুধু একটি পণ্য নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতির অংশ,” বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

রবিবার সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) মিলনায়তনে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর আয়োজিত এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমাদের মায়েরা বলেন, ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে।’ দুধের গুরুত্ব আমাদের জীবনধারার সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত।”

তিনি জানান, সরকার প্রাণিসম্পদ খাতে প্রণোদনা বাড়ানোর বিষয়টি আন্তরিকভাবে বিবেচনা করছে। “যেভাবে কৃষি খাতে ভর্তুকি দেওয়া হয়, ঠিক সেভাবেই খামারিরাও যেন প্রণোদনা পায়, সেটি নিশ্চিত করা জরুরি,” বলেন উপদেষ্টা।

তিনি আরো বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রায় এক লাখ ১৮ হাজার টন গুঁড়ো দুধ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়, যার পেছনে ব্যয় হয় প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। “এই ব্যয় কমাতে হলে দেশে উন্নতমানের দুধ উৎপাদন বাড়াতে হবে। এতে দেশের খামারিরা যেমন লাভবান হবে, তেমনি বিদেশি নির্ভরতা কমে আসবে।”

বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে তিনি জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের জন্য প্রাণিসম্পদ খাতে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “এই যোদ্ধারা এক সময় দেশের জন্য লড়েছেন। এখন তাদের কর্মক্ষমতা হয়তো সীমিত, কিন্তু আমরা যেন তাদের মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে পারি সে ব্যবস্থা আমাদেরই নিতে হবে।”

উপদেষ্টা মহিষ ও ছাগলের দুধ নিয়েও গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, “পার্শ্ববর্তী দেশে মহিষের দুধ উৎপাদন বাড়ছে। আমাদের দেশেও মহিষ ও ছাগলের দুধের উৎপাদন বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। ছাগলের দুধে ওষুধি গুণ থাকায় এর চাহিদাও বাড়ছে।”

আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক ডা. মো. জসিম উদ্দিন।

এবারের বিশ্ব দুগ্ধ দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল “দুগ্ধের অপার শক্তিতে, মেতে উঠি এক সাথে”। এই প্রতিপাদ্য নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. বয়জার রহমান।

আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. খালেদা ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রায়হান হাবিব এবং অধ্যাপক ড. আরিফুল ইসলাম।

এর আগে সকালে উপদেষ্টা রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ে শিশুদের মাঝে স্কুল মিল্ক ফিডিং কার্যক্রমের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন এবং একটি কেন্দ্রীয় র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি খাতের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, খামারি প্রতিনিধি এবং শিক্ষাবিদরা উপস্থিত ছিলেন।