মিরসরাইয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত

- আপডেট সময় ১০:১৯:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
- / 6
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আজিজুর রহমান চৌধুরী ও বারইয়ারহাট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মঈন উদ্দিন লিটনসহ অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় গোলাম মাওলা নামের একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (২৯ জুন) রাত ৯টার দিকে বারইয়ারহাট পৌর এলাকার কাশবন রেস্টুরেন্ট সংলগ্ন জোবেদা ফার্মেসির সামনে এ সংঘর্ষ ঘটে।
হামলার প্রতিবাদে সোমবার জোরারগঞ্জ থানার সামনে বিক্ষোভ করেছে আজিজুর রহমান চৌধুরীর সমর্থকরা।
আহত উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আজিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, “রবিবার রাতে মঈন উদ্দিন লিটনসহ কয়েকজন নেতাকর্মী নিয়ে কাশবন রেস্টুরেন্টে চা-নাস্তা খেতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে বের হওয়ার সময় আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। সাবেক সদস্যসচিব গাজী নিজাম ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজীর অনুসারীরা এই হামলা করেছে। আমাদের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তারা এই ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “পুলিশকে ফোন দিয়েও কোনো সাড়া পাইনি। তারা আমাদের ঘিরে ফেলেছিল।”
অন্যদিকে মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব গাজী নিজাম উদ্দিন পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, “বারইয়ারহাট বড় বাজার এলাকায় আমাদের ছাত্রদল ও যুবদলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী দাঁড়িয়ে ছিল। তখন আজিজুর রহমান চৌধুরীর সমর্থকেরা তাদের নিয়ে কটূক্তি করলে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে তারাই প্রথমে হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমাদের শাফায়েত হোসেন শুভ, শাহীন আলম নিশাত, তানবীর হোসেন, মো. বাদশা ও জাহিদুল ইসলামসহ অনেকে আহত হয়েছেন।”
মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, আহত চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহত গোলাম মাওলাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম বলেন, “প্রাথমিকভাবে বিষয়টি দলীয় কোন্দল মনে হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”