০৬:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

বকেয়া বেতনের দাবিতে হেমায়েতপুরে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৪৫:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • / 81

ছবি সংগৃহীত

 

সাভারের হেমায়েতপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন এবি অ্যাপারেলস পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। সোমবার (২৬ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হেমায়েতপুর-সিঙ্গাইর আঞ্চলিক সড়কে এ অবরোধ শুরু হয়, যা ঘন্টাখানেক স্থায়ী ছিল।

শ্রমিকদের অভিযোগ, এপ্রিল মাসের বেতন এখনো পরিশোধ করেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ। তারা জানান, একাধিকবার মালিকপক্ষের কাছে গিয়েও আশ্বাস ছাড়া কিছুই পাননি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে অবশেষে তারা দুই মাসের বকেয়া বেতন ও আসন্ন ঈদ উপলক্ষে বোনাসের দাবিতে রাস্তায় নামতে বাধ্য হন।

বিজ্ঞাপন

বিক্ষোভের খবর পেয়ে সাভার থানা পুলিশ ও আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে পুলিশ প্রশাসনের মধ্যস্থতায় মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। একপর্যায়ে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের এপ্রিল মাসের বেতন আজই পরিশোধ এবং মে মাসের বেতন ও ঈদের বোনাস ঈদের আগেই দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।

মালিকপক্ষের এই আশ্বাসের পর শ্রমিকরা সড়ক থেকে সরে যান এবং কাজে ফিরে যান। এতে পুনরায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এ বিষয়ে এবি অ্যাপারেলসের মালিক অনন্ত জলিলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুয়েল মিঞা বলেন, “সকালে শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছিলেন। পরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। শুনেছি, মালিকপক্ষের আশ্বাসে সমস্যার সমাধান হয়েছে।”

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, “শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা এপ্রিল মাসের বেতন আজকেই পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর ফলে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়।”

পোশাকশিল্প বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ অর্থনৈতিক খাত হলেও প্রায়শই বেতন ও বোনাস পরিশোধে অসচ্ছলতা দেখা যায়। ফলে শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা এখন নিয়মিত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি ও জবাবদিহিতা ছাড়া এ ধরনের সমস্যা ভবিষ্যতেও বারবার ফিরে আসবে এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

বকেয়া বেতনের দাবিতে হেমায়েতপুরে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

আপডেট সময় ০৬:৪৫:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

 

সাভারের হেমায়েতপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন এবি অ্যাপারেলস পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। সোমবার (২৬ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হেমায়েতপুর-সিঙ্গাইর আঞ্চলিক সড়কে এ অবরোধ শুরু হয়, যা ঘন্টাখানেক স্থায়ী ছিল।

শ্রমিকদের অভিযোগ, এপ্রিল মাসের বেতন এখনো পরিশোধ করেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ। তারা জানান, একাধিকবার মালিকপক্ষের কাছে গিয়েও আশ্বাস ছাড়া কিছুই পাননি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে অবশেষে তারা দুই মাসের বকেয়া বেতন ও আসন্ন ঈদ উপলক্ষে বোনাসের দাবিতে রাস্তায় নামতে বাধ্য হন।

বিজ্ঞাপন

বিক্ষোভের খবর পেয়ে সাভার থানা পুলিশ ও আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে পুলিশ প্রশাসনের মধ্যস্থতায় মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। একপর্যায়ে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের এপ্রিল মাসের বেতন আজই পরিশোধ এবং মে মাসের বেতন ও ঈদের বোনাস ঈদের আগেই দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।

মালিকপক্ষের এই আশ্বাসের পর শ্রমিকরা সড়ক থেকে সরে যান এবং কাজে ফিরে যান। এতে পুনরায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এ বিষয়ে এবি অ্যাপারেলসের মালিক অনন্ত জলিলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুয়েল মিঞা বলেন, “সকালে শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছিলেন। পরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। শুনেছি, মালিকপক্ষের আশ্বাসে সমস্যার সমাধান হয়েছে।”

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, “শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা এপ্রিল মাসের বেতন আজকেই পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর ফলে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়।”

পোশাকশিল্প বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ অর্থনৈতিক খাত হলেও প্রায়শই বেতন ও বোনাস পরিশোধে অসচ্ছলতা দেখা যায়। ফলে শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা এখন নিয়মিত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি ও জবাবদিহিতা ছাড়া এ ধরনের সমস্যা ভবিষ্যতেও বারবার ফিরে আসবে এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।