ঢাকা ১১:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি

বকেয়া বেতনের দাবিতে হেমায়েতপুরে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৪৫:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • / 14

ছবি সংগৃহীত

 

সাভারের হেমায়েতপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন এবি অ্যাপারেলস পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। সোমবার (২৬ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হেমায়েতপুর-সিঙ্গাইর আঞ্চলিক সড়কে এ অবরোধ শুরু হয়, যা ঘন্টাখানেক স্থায়ী ছিল।

শ্রমিকদের অভিযোগ, এপ্রিল মাসের বেতন এখনো পরিশোধ করেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ। তারা জানান, একাধিকবার মালিকপক্ষের কাছে গিয়েও আশ্বাস ছাড়া কিছুই পাননি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে অবশেষে তারা দুই মাসের বকেয়া বেতন ও আসন্ন ঈদ উপলক্ষে বোনাসের দাবিতে রাস্তায় নামতে বাধ্য হন।

বিক্ষোভের খবর পেয়ে সাভার থানা পুলিশ ও আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে পুলিশ প্রশাসনের মধ্যস্থতায় মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। একপর্যায়ে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের এপ্রিল মাসের বেতন আজই পরিশোধ এবং মে মাসের বেতন ও ঈদের বোনাস ঈদের আগেই দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।

মালিকপক্ষের এই আশ্বাসের পর শ্রমিকরা সড়ক থেকে সরে যান এবং কাজে ফিরে যান। এতে পুনরায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এ বিষয়ে এবি অ্যাপারেলসের মালিক অনন্ত জলিলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুয়েল মিঞা বলেন, “সকালে শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছিলেন। পরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। শুনেছি, মালিকপক্ষের আশ্বাসে সমস্যার সমাধান হয়েছে।”

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, “শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা এপ্রিল মাসের বেতন আজকেই পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর ফলে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়।”

পোশাকশিল্প বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ অর্থনৈতিক খাত হলেও প্রায়শই বেতন ও বোনাস পরিশোধে অসচ্ছলতা দেখা যায়। ফলে শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা এখন নিয়মিত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি ও জবাবদিহিতা ছাড়া এ ধরনের সমস্যা ভবিষ্যতেও বারবার ফিরে আসবে এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

বকেয়া বেতনের দাবিতে হেমায়েতপুরে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

আপডেট সময় ০৬:৪৫:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

 

সাভারের হেমায়েতপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন এবি অ্যাপারেলস পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। সোমবার (২৬ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হেমায়েতপুর-সিঙ্গাইর আঞ্চলিক সড়কে এ অবরোধ শুরু হয়, যা ঘন্টাখানেক স্থায়ী ছিল।

শ্রমিকদের অভিযোগ, এপ্রিল মাসের বেতন এখনো পরিশোধ করেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ। তারা জানান, একাধিকবার মালিকপক্ষের কাছে গিয়েও আশ্বাস ছাড়া কিছুই পাননি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে অবশেষে তারা দুই মাসের বকেয়া বেতন ও আসন্ন ঈদ উপলক্ষে বোনাসের দাবিতে রাস্তায় নামতে বাধ্য হন।

বিক্ষোভের খবর পেয়ে সাভার থানা পুলিশ ও আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে পুলিশ প্রশাসনের মধ্যস্থতায় মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। একপর্যায়ে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের এপ্রিল মাসের বেতন আজই পরিশোধ এবং মে মাসের বেতন ও ঈদের বোনাস ঈদের আগেই দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।

মালিকপক্ষের এই আশ্বাসের পর শ্রমিকরা সড়ক থেকে সরে যান এবং কাজে ফিরে যান। এতে পুনরায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এ বিষয়ে এবি অ্যাপারেলসের মালিক অনন্ত জলিলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুয়েল মিঞা বলেন, “সকালে শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছিলেন। পরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। শুনেছি, মালিকপক্ষের আশ্বাসে সমস্যার সমাধান হয়েছে।”

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, “শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা এপ্রিল মাসের বেতন আজকেই পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর ফলে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়।”

পোশাকশিল্প বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ অর্থনৈতিক খাত হলেও প্রায়শই বেতন ও বোনাস পরিশোধে অসচ্ছলতা দেখা যায়। ফলে শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা এখন নিয়মিত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি ও জবাবদিহিতা ছাড়া এ ধরনের সমস্যা ভবিষ্যতেও বারবার ফিরে আসবে এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।