১০:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
শোকের ছায়া জাকসুতে সহকারী অধ্যাপকের মৃ-ত্যু প্রবাসী বাংলাদেশিদের অভ্যর্থনায় জাপানে এনসিপি নেতারা গ্রাফটিং টমেটো চাষে নতুন সম্ভাবনা, বাহুবলে কৃষকদের সফলতা বলসোনারোকে ২৭ বছরের সাজা দিল ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্ট ইউরোপীয় ইউনিয়ন ১৫০ বিলিয়ন SAFE প্রতিরক্ষা কর্মসূচিতে তুরস্ক-দক্ষিণ কোরিয়াকে আমন্ত্রণ জানালো ইসরায়েলি হামলার ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়ে গেছে ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ভোট বানচালের ক্ষমতা কারও নেই: প্রেস সচিব রাকসু নির্বাচনে ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’ নামে প্যানেল ঘোষণা জুলাই সনদের ভিত্তিতেই আগামী নির্বাচন হবে: তাহের জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা ছাত্রদলের

প্রখ্যাত তেলেগু অভিনেতা কোটা শ্রীনিবাস রাও আর নেই, চলচ্চিত্র অঙ্গনে শোকের ছায়া

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:২৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
  • / 31

ছবি সংগৃহীত

 

 

তেলেগু চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা ও প্রাক্তন বিধায়ক কোটা শ্রীনিবাস রাও আর নেই। রোববার (১৩ জুলাই) ভোররাতে হায়দরাবাদের ফিল্মনগর এলাকায় নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন এই বরেণ্য অভিনেতা।

কোটা রেখে গেছেন স্ত্রী রুক্মিণী ও দুই কন্যাকে। তার একমাত্র পুত্র কোটা প্রসাদ রাও ২০১০ সালে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান।

ভিলেন, চরিত্রাভিনেতা কিংবা কমেডিয়ান প্রতিটি রূপেই তেলেগু সিনেমাপ্রেমীদের হৃদয় জয় করেছিলেন কোটা শ্রীনিবাস রাও। তেলেগু ছাড়াও তিনি তামিল, হিন্দি, কন্নড় ও মালয়ালম ভাষার ছবিতে অভিনয় করেন। প্রায় ৭৫০টি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি, যার মধ্যে তামিল ভাষায় ৩০টি, হিন্দিতে ১০টি, কন্নড়ে ৮টি এবং একটি মালয়ালম চলচ্চিত্র রয়েছে। তার শেষ তেলেগু সিনেমা ‘সুবর্ণ সুন্দরী’ মুক্তি পেয়েছিল ২০২৩ সালে।

১৯৪২ সালের ১০ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলার কাঙ্কিপাড়ু গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কোটা। তার মা কোটা সীতারামা অনসূইয়াম্মা ছোটবেলা থেকেই তার অভিনয়ের প্রতি আগ্রহকে উৎসাহ দিয়ে গেছেন। ছাত্রজীবনেই থিয়েটারে অভিনয় শুরু করেন তিনি।

চলচ্চিত্রে আসার আগে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াতে চাকরি করতেন কোটা এবং সেই সঙ্গে থিয়েটারেও নিয়মিতভাবে অভিনয় করতেন। ১৯৭৮ সালে ‘প্রাণম খারেদু’ ছবির মাধ্যমে তেলেগু সিনেমায় তার অভিষেক ঘটে।

অভিনয়ে অসাধারণ অবদানের জন্য তিনি ৯টি নন্দী পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৫ সালে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে তাকে পদ্মশ্রী সম্মান প্রদান করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি।

চলচ্চিত্রের পাশাপাশি রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন কোটা। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রার্থী হিসেবে ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিজয়ওয়াড়া (পূর্ব) বিধানসভা আসনের এমএলএ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

কোটা শ্রীনিবাস রাওয়ের মৃত্যুতে তেলেগু চলচ্চিত্র শিল্পে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ভারতীয় সিনেমা ও সংস্কৃতির অঙ্গনে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রখ্যাত তেলেগু অভিনেতা কোটা শ্রীনিবাস রাও আর নেই, চলচ্চিত্র অঙ্গনে শোকের ছায়া

আপডেট সময় ১১:২৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

 

 

তেলেগু চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা ও প্রাক্তন বিধায়ক কোটা শ্রীনিবাস রাও আর নেই। রোববার (১৩ জুলাই) ভোররাতে হায়দরাবাদের ফিল্মনগর এলাকায় নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন এই বরেণ্য অভিনেতা।

কোটা রেখে গেছেন স্ত্রী রুক্মিণী ও দুই কন্যাকে। তার একমাত্র পুত্র কোটা প্রসাদ রাও ২০১০ সালে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান।

ভিলেন, চরিত্রাভিনেতা কিংবা কমেডিয়ান প্রতিটি রূপেই তেলেগু সিনেমাপ্রেমীদের হৃদয় জয় করেছিলেন কোটা শ্রীনিবাস রাও। তেলেগু ছাড়াও তিনি তামিল, হিন্দি, কন্নড় ও মালয়ালম ভাষার ছবিতে অভিনয় করেন। প্রায় ৭৫০টি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি, যার মধ্যে তামিল ভাষায় ৩০টি, হিন্দিতে ১০টি, কন্নড়ে ৮টি এবং একটি মালয়ালম চলচ্চিত্র রয়েছে। তার শেষ তেলেগু সিনেমা ‘সুবর্ণ সুন্দরী’ মুক্তি পেয়েছিল ২০২৩ সালে।

১৯৪২ সালের ১০ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলার কাঙ্কিপাড়ু গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কোটা। তার মা কোটা সীতারামা অনসূইয়াম্মা ছোটবেলা থেকেই তার অভিনয়ের প্রতি আগ্রহকে উৎসাহ দিয়ে গেছেন। ছাত্রজীবনেই থিয়েটারে অভিনয় শুরু করেন তিনি।

চলচ্চিত্রে আসার আগে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াতে চাকরি করতেন কোটা এবং সেই সঙ্গে থিয়েটারেও নিয়মিতভাবে অভিনয় করতেন। ১৯৭৮ সালে ‘প্রাণম খারেদু’ ছবির মাধ্যমে তেলেগু সিনেমায় তার অভিষেক ঘটে।

অভিনয়ে অসাধারণ অবদানের জন্য তিনি ৯টি নন্দী পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৫ সালে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে তাকে পদ্মশ্রী সম্মান প্রদান করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি।

চলচ্চিত্রের পাশাপাশি রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন কোটা। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রার্থী হিসেবে ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিজয়ওয়াড়া (পূর্ব) বিধানসভা আসনের এমএলএ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

কোটা শ্রীনিবাস রাওয়ের মৃত্যুতে তেলেগু চলচ্চিত্র শিল্পে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ভারতীয় সিনেমা ও সংস্কৃতির অঙ্গনে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।