ঢাকা ০৭:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
অচল সেন্টমার্টিন দ্বীপে দুর্বিষহ জীবন নতুন নোট আসছে বাজারে, সমাধান মিলছে ছেঁড়া টাকার ঝামেলায় শাসনের পথে র‍্যাবকে নতুন উদ্যমে এগিয়ে চলার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ইউক্রেনের সুমিতে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ৬ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত ২৮ তারিখের মধ্যে শ্রমিকদের পাওনা না দিলে জেল: শ্রম উপদেষ্টা ভারতে মাছ রপ্তানি স্থগিত রেখেছে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা ‘বাংলাদেশ ছাড়া আমার আর কোনো পাসপোর্ট নেই’: উপদেষ্টা খলিলুর রহমান চেয়ারম্যান অপসারণসহ ৪ দফা দাবি, এনবিআরের বিরুদ্ধে অসহযোগের ঘোষণা শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা :মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হিটুর ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে প্রেরণ কোরবানির চামড়ার মূল্যবৃদ্ধির ইঙ্গিত, নির্ধারণ হবে বৃহস্পতিবার: বাণিজ্য উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে বড় সাফল্য বাংলাদেশের, প্রবৃদ্ধি ৪৬%

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৩২:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
  • / 41

ছবি সংগৃহীত

 

দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানিতে নতুন গতি পেল বাংলাদেশ। চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশটির বাজারে ৮০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেশি। এই প্রবৃদ্ধির হার চীন, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া ও ভারতের মতো শীর্ষ রপ্তানিকারকদের মধ্যে সর্বোচ্চ।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, গত জানুয়ারিতে দেশটি ৭২০ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় পোশাক আমদানিকারক দেশ। ২০২৩ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মার্কিন বাজারে রপ্তানি ২৫ শতাংশ কমে ৭২৯ কোটি ডলারে নেমে এলেও, ২০২৪ সালের শেষ দিকে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। সব মিলিয়ে ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ৭৩৪ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় সামান্য হলেও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক আরোপের কারণে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করেন। চীনা পোশাকের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক বসানোর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা বিকল্প সরবরাহকারী খুঁজছেন, যা বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করছে। অনেক বিনিয়োগকারী চীন থেকে তাদের কারখানা সরিয়ে অন্য দেশে নিতে আগ্রহী, আর বাংলাদেশও এই বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য প্রস্তুত হতে পারে।

অটেক্সার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীন ১৬০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি। একই সময়ে, ভিয়েতনাম রপ্তানি করেছে ১৪৪ কোটি ডলারের পোশাক, যা ১৯ দশমিক ৯০ শতাংশ বেশি। তবে বাংলাদেশ যে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, তা ভবিষ্যতে এই বাজারে আরও শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করার আশা জাগাচ্ছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে বড় সাফল্য বাংলাদেশের, প্রবৃদ্ধি ৪৬%

আপডেট সময় ০৭:৩২:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

 

দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানিতে নতুন গতি পেল বাংলাদেশ। চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশটির বাজারে ৮০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেশি। এই প্রবৃদ্ধির হার চীন, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া ও ভারতের মতো শীর্ষ রপ্তানিকারকদের মধ্যে সর্বোচ্চ।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, গত জানুয়ারিতে দেশটি ৭২০ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় পোশাক আমদানিকারক দেশ। ২০২৩ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মার্কিন বাজারে রপ্তানি ২৫ শতাংশ কমে ৭২৯ কোটি ডলারে নেমে এলেও, ২০২৪ সালের শেষ দিকে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। সব মিলিয়ে ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ৭৩৪ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় সামান্য হলেও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক আরোপের কারণে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করেন। চীনা পোশাকের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক বসানোর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা বিকল্প সরবরাহকারী খুঁজছেন, যা বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করছে। অনেক বিনিয়োগকারী চীন থেকে তাদের কারখানা সরিয়ে অন্য দেশে নিতে আগ্রহী, আর বাংলাদেশও এই বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য প্রস্তুত হতে পারে।

অটেক্সার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীন ১৬০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি। একই সময়ে, ভিয়েতনাম রপ্তানি করেছে ১৪৪ কোটি ডলারের পোশাক, যা ১৯ দশমিক ৯০ শতাংশ বেশি। তবে বাংলাদেশ যে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, তা ভবিষ্যতে এই বাজারে আরও শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করার আশা জাগাচ্ছে।